কলকাতা, 17 জুন:ভাঙড় ও ক্যানিং পরিদর্শন নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসকদলের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ শুক্রবার কুণাল ঘোষের তোপের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যপাল ৷ আর শনিবার রাজ্যপালের সমালোচনায় বিধায়ক মদন মিত্র ৷ রাজ্যপালকে নিশানা করে কখনও শকুন আবার কখনও দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের অভিনয়ের তুলনা টানলেন কামারহাটির বিধায়ক ৷
পঞ্চায়েত নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে মনোনয়ন পেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে ৷ গোলা-গুলি, বোমাবাজিতে প্রাণ গিয়েছে একাধিক কর্মী-সমর্থকের ৷ সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়, চোপড়া ও ক্যানিং ৷ এমতাবস্থায় শুক্রবার ভাঙড় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল ৷ খতিয়ে দেখেন সেখানকার পরিস্থিতি ৷ কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও ৷ তারপরেই শাসক শিবিরের কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যপাল বোসকে ৷
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি রাজ্যপালকে বেলাগাম আক্রমণ করেন মদন মিত্র ৷ বলেন, "কানে বিড়ি গুঁজে রজনীকান্তের বাজার খারাপ করে দেবেন রাজ্যপাল। এত ভালো অভিনয় করেন তিনি।" ইতিমধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই নির্দেশে খুশি কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, "যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট হত তাহলে বলতো ফাঁকায় গোল দিল ৷ আমাদের কাউকে থাকতে দিল না। পৃথিবীতে প্রথমবার মনোনয়নের জমা দেওয়ার দিন শেষের পরেও আদালতের নির্দেশে বসিরহাটে মনোনয়ন জমা পড়েছে। এর ফলে বিরোধীদের বলার কোনও মুখ নেই।"
তারপরেই তিনি আক্রমণ করতে থাকেন রাজ্যপালকে। রাজ্যপাল দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলা ভাষা শিখতে চেয়েছিলেন ৷ এমনকী, রাজভবনে হাতেখড়িও হয়েছিল তাঁর ৷ সেই প্রসঙ্গ টেনে মদন বলেন, "ওনাকে অ-আ নয়, খুন-জখম-বোমা শেখানো উচিত ছিল।" একই সঙ্গে তিনি টেনে আনেন রজনীকান্তের প্রসঙ্গ। বলেন, "শকুন থাকে আকাশে নজর থাকে ভাগাড়ে। এখন দেখছি শকুন থাকে আকাশে, নজর থাকে ভাঙড়ে, কেন?"
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের ডাকলেও গেলেন না রাজ্য নির্বাচন কমিশনার
কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে খরচ কে দেবে, তা নিয়েও মদন মিত্র প্রশ্ন তোলেন ৷ এমনকী এদিন ভোট প্রসঙ্গে বাইরন বিশ্বাস নিয়েও মুখ খোলেন বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, "সাগরদিঘির বাইরণকে চাপ দিতে হয়েছে নাকি, সে তো সাতদিনে আয়রন হয়ে গিয়েছে। বেকার অন্যদলে ভোট দিয়ে লাভ কি! যাকেই ভোট দেবেন, সাত দিনের মধ্যে তৃণমূলে চলে আসবেন। তার থেকে ডাইরেক্ট তৃণমূলকেই দিন ৷"