কলকাতা, 4 ডিসেম্বর: মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাক্তন না-করা পর্যন্ত তিনি কোনও অনুষ্ঠানে থাকলে সেখানে যাবেন না বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সোমবার তীব্র ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "যতদিন পর্যন্ত না মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে প্রাক্তন করব এবং ওনার পরিবারকে জেলে ঢোকাব, ততদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অনুষ্ঠানে থাকলে আমি সেখানে যাব না।"
উল্লেখ্য, বিধানসভার সংগ্রহশালার অনুষ্ঠানে ডাক পাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই বিষয় মন্তব্য করতে গিয়ে এদিন বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী এভাবেই হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের উদ্দেশে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আমি 82 সাল থেকে বাবার (শিশির অধিকারী) হাত ধরে গ্যালারিতে বসতাম। তবে এইরকম নিম্ন মানসিকতার মানুষ আগে কখনও দেখিনি। বাবা সাহেব আম্বেদকরকে যাঁরা মানে না, তারা তো আমাকে মানবে না। ওরা সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে স্বচ্ছন্দ ছিল। কিন্তু বিজেপি বা আমার সঙ্গে স্বচ্ছন্দ নয়। তাই আমাকে ডাকা হয়নি। কার্ডে নাম ছাপানো হয়নি। কোনও অসুবিধা নেই। তাছাড়া আমি সাসপেন্ডেড। ওই খুনি মমতার সঙ্গে একই আসনে যে বসবে তাঁর গায়েও রক্ত লাগবে।"
তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভালো ফলের পরেই এদিন রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি শিবিরে উল্লাসের ছবি ধরা পড়ে। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা আনন্দ করতে করতে প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্রে মোদির স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভার বাইরে আসেন। তারপর আবার "মমতা চোর" বলে স্লোগানও তোলেন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু বলেন, "গীতা পাঠের দিন জমায়েত কাকে বলে শহরবাসী দেখবে।" এদিন তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়ের পাঠানো চিঠিকে 'ভয়ংকর' বলেও উল্লেখ করেন। বিরোধী দলনেতা বলেন, "তাহলে অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পর যদি কোনও বিধায়কের শৌচালয় যেতে হয় তবে সেই ক্ষেত্রেও অনুমতি নিতে হবে ? আসলে সরকার ভয় পেয়েছে।"
আরও পড়ুন