কলকাতা, 28 এপ্রিল : লকডাউনে রাস্তাঘাটে বন্ধ প্রায় সব দোকানপাট । খোলা নেই খাবারের দোকানগুলি । হাসপাতালের আশপাশের খাবারের দোকানগুলিও বন্ধ । এদিকে লকডাউনে দূর দূরান্ত থেকে হাসপাতালে এসে রোজ বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেকেই । পরিবহন পরিষেবা বন্ধ থাকায় হাসপাতালেই থেকে যেতে হচ্ছে রোগী পরিবারকে । কিন্তু হাসপাতালে থাকলেও খাবার পাচ্ছে না তারা । শিশুমঙ্গল হাসপাতালে এমনই মানুষদের রোজ খাওয়াচ্ছেন কাঁকুড়গাছির একটি ক্লাব ।
শিশুমঙ্গল হাসপাতালে ভরতি থাকা শিশুদের পরিবারের মানুষজন লকডাউনের কারণে দু'বেলা খাবার পাচ্ছিলেন না । এই খবর পৌঁছায় স্থানীয় ক্লাব সদস্যদের কাছে । এরপর থেকে তাঁরা উদ্যোগ নেন নিজেরাই খাবার রান্না করে পরিবেশন করবেন । লকডাউন শুরুর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই কাজে নেমে পড়েন । হাসপাতালের পাশে অস্থায়ী একটি রান্নাঘর তৈরি করে সেখানেই ভাত, ডাল, সবজি, ডিম বা মাছ রান্না শুরু হয় ।
লকডাউনে ঘরে থাকার বদলে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য দিনভর পথে থাকছেন কাঁকুড়গাছির ওই ক্লাবের সদস্যরা । শিশুমঙ্গল হাসপাতালে ভরতি থাকা শিশুদের অভিভাবক ও পরিজনরা যাতে খিদের কষ্টে না ভোগেন তার জন্য প্রতিদিন রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। টানা একমাস ধরে রোজ একাজ করছেন । যতদিন না লকডাউন উঠছে ততদিন হাসপাতালে ভরতি শিশুদের কথা ভেবে এভাবেই তাদের পরিবার ও আত্মীয়-পরিজনদের পরিষেবা দিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। কোরোনা আতঙ্ক সরিয়ে রেখে হাসপাতালে পরিষেবা দিতে ব্যস্ত তাঁরা । এবিষয়ে ক্লাবের সদস্য রঞ্জিত দে বলেন, "দূর-দূরান্ত থেকে হাসপাতলে আসা মানুষগুলি বড় অসহায় । এঁদের পাশে থাকাটা আমাদের নৈতিক কর্তব্য । আপাতত লকডাউন যতদিন না শেষ হয় ততদিন পর্যন্ত এই পরিষেবা চলবে ।"