কলকাতা, 27 নভেম্বর: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা 100 দিনের কাজ-সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিতদের বাড়িতে আর্থিক সাহায্য পাঠালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির অমিত শাহের সভার আগে তৃণমূলের এই আর্থিক সাহায্য নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। কয়েক হাজার বঞ্চিতদের কীভাবে টাকা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সুজন চক্রবর্তী। সোমবার তিনি বলেন, "তৃণমূলের তরফে প্রচার করা হচ্ছে বঞ্চিতদের কয়েক হাজার কোটি টাকা দেবেন। আমি জানি না সাংসদ অভিষেকের বেতন কত ? তাহলে এখানেই স্পষ্ট সাদা-কালো মিলিয়ে বিপুল টাকা আছে ? যার থেকে তৃণমূল নেতারা এসব টাকা দিচ্ছেন ৷"
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "এত লুটের টাকা আছে সেখান থেকে দেবেন। কয়লা আছে, শিক্ষা আছে, বালি আছে। আগে গরু ছিল, এখন আবার রেশন যোগ হয়েছে। এত বিপুল টাকা থেকে এই টাকা দেবেন। চিন্তা নেই। এখন খোকাবাবু যা বলে দিদি তা বলে না। আর দিদি যা বলে খোকাবাবু তা বলে না। ওদের ঠিক করতে বলুন, কে কার কথা মানবে। উৎপাতের ধন চিৎপাতে দেবেন। ভোট আসছে লুঠ করা মাল দিয়ে দাও। সেটাই করবে।" শুধু তৃণমূলকে নয়। বিজেপিকেও এদিন আক্রমণ করেছেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "বিজেপির 29 তারিখের মিটিং ভরানোর দায়িত্ব নিয়েছে তৃণমূল। আর যাঁরা দশ বছরে রাজ্যের মানুষের সমস্যার কথা জানতে পারেননি তারা এতদিন বাদে একটা সভা করে, ড্রপ বক্স করে জানবেন এটা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।"
তাজপুরে বন্দর তৈরি নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা চলছে রাজ্যের। রবিবার এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা ৷ যা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে সিপিএমের সুজনের দাবি, শিল্পমন্ত্রীর বিবৃতির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির কোন মিল পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে তাজপুর বন্দর নিয়ে নতুন করে টেন্ডার ডাকার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: