ETV Bharat / state

মির্জ়ার গ্রেপ্তারি নিয়ে রাজ্যকে ত্রিমুখী আক্রমণ বাম-কংগ্রেস-BJP-র - নারদ কাণ্ডে মির্জার গ্রেপ্তারি

নারদ কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তার । আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয় IPS এস এম এইচ মির্জ়াকে । আর এই গ্রেপ্তারের পরই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ বিরোধীদের ।

photo
author img

By

Published : Sep 26, 2019, 9:56 PM IST

কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর : নারদ কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তার । আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয় IPS এস এম এইচ মির্জ়াকে । আর এই গ্রেপ্তারের পরই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ বিরোধীদের । কখনও বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের মন্তব্য 'নিছই নাটক, ' কখনও এক পা এগিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ 'এটা গট আপ ।' আর BJP নেতা মুকুল রায়ের মন্তব্য, 'তদন্তের স্বার্থে সবাইকে সহযোগিতা করা উচিত ।'

আজ মির্জ়ার গ্রেপ্তারির পরেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন সুজন । কেন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার প্রায় সাড়ে তিন বছর এই IPS-কে গ্রেপ্তার করা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বাম নেতা । পাশাপাশি তাঁর দাবি, যা হয়েছে তা প্রত্যাশিতই । এটা হওয়ারই ছিল । এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলে সুজনের মন্তব্য, "মুখ্যমন্ত্রী সেসময় বলেছিলেন, আগে জানলে নির্বাচনে লড়াইয়ের টিকিট দিতেন না । কিন্তু তাঁদেরই পরবর্তীকালে টিকিট দিয়েছেন । বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হওয়া উচিত ।" নারদ কেলেঙ্কারিকে এক নজিরবিহীন দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন সুজন ।

শুনে নিন বক্তব্য...

অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানও নারদ ইশুতে BJP-তৃণমূলের সমঝোতার প্রসঙ্গ আনছেন । তাঁর মতে, এসব নিছকই একটা নাটক । মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা । তৃণমূলের পাশাপাশি BJP-কে কটাক্ষ করে মান্নানের দাবি, "BJP কোনও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নয়ই বলে আসল অপরাধীদের ধরতে চাইছে না । দু-একজনকে ধরে নাটক করছে । " পাশাপাশি আজ ফের একবার তৃণমূলকে BJP-র বি-টিম বলে কটাক্ষ করে রাজ্যে বাম-কংগ্রেস সমঝোতার পক্ষে সওয়াল করেন মান্নান ।

মির্জার গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি BJP । দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি, "মহালয়ার আগেই বোধন শুরু হয়ে গেছে । দশমীর মধ্যেই অনেক নিরঞ্জন হবে ।" তবে, নারদ প্রসঙ্গে অনেকটা সমতা বজায় রেখে মন্তব্য শোনা গেছে মুকুল রায়ের গলায় । নারদ কাণ্ডে CBI-র খাঁড়া ঝুলতে থাকা মুকুলের দাবি, তিনি নির্দোষ । একই সঙ্গে তিনি বলেন, "তদন্তের স্বার্থে CBI-কে সহযোগিতা করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত ।"

কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর : নারদ কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তার । আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয় IPS এস এম এইচ মির্জ়াকে । আর এই গ্রেপ্তারের পরই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ বিরোধীদের । কখনও বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের মন্তব্য 'নিছই নাটক, ' কখনও এক পা এগিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ 'এটা গট আপ ।' আর BJP নেতা মুকুল রায়ের মন্তব্য, 'তদন্তের স্বার্থে সবাইকে সহযোগিতা করা উচিত ।'

আজ মির্জ়ার গ্রেপ্তারির পরেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন সুজন । কেন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার প্রায় সাড়ে তিন বছর এই IPS-কে গ্রেপ্তার করা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বাম নেতা । পাশাপাশি তাঁর দাবি, যা হয়েছে তা প্রত্যাশিতই । এটা হওয়ারই ছিল । এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলে সুজনের মন্তব্য, "মুখ্যমন্ত্রী সেসময় বলেছিলেন, আগে জানলে নির্বাচনে লড়াইয়ের টিকিট দিতেন না । কিন্তু তাঁদেরই পরবর্তীকালে টিকিট দিয়েছেন । বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হওয়া উচিত ।" নারদ কেলেঙ্কারিকে এক নজিরবিহীন দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন সুজন ।

শুনে নিন বক্তব্য...

অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানও নারদ ইশুতে BJP-তৃণমূলের সমঝোতার প্রসঙ্গ আনছেন । তাঁর মতে, এসব নিছকই একটা নাটক । মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা । তৃণমূলের পাশাপাশি BJP-কে কটাক্ষ করে মান্নানের দাবি, "BJP কোনও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নয়ই বলে আসল অপরাধীদের ধরতে চাইছে না । দু-একজনকে ধরে নাটক করছে । " পাশাপাশি আজ ফের একবার তৃণমূলকে BJP-র বি-টিম বলে কটাক্ষ করে রাজ্যে বাম-কংগ্রেস সমঝোতার পক্ষে সওয়াল করেন মান্নান ।

মির্জার গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি BJP । দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি, "মহালয়ার আগেই বোধন শুরু হয়ে গেছে । দশমীর মধ্যেই অনেক নিরঞ্জন হবে ।" তবে, নারদ প্রসঙ্গে অনেকটা সমতা বজায় রেখে মন্তব্য শোনা গেছে মুকুল রায়ের গলায় । নারদ কাণ্ডে CBI-র খাঁড়া ঝুলতে থাকা মুকুলের দাবি, তিনি নির্দোষ । একই সঙ্গে তিনি বলেন, "তদন্তের স্বার্থে CBI-কে সহযোগিতা করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত ।"

Intro:এস এম এইচ মির্জা গ্রেফতারের ঘটনাটিকে নাটক বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান । বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী আইপিএস অফিসারের গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গটিকে ম্যাচ ফিক্সিং বলে মন্তব্য করেছেন। কড়া ভাষায় সিবিআই এবং রাজ্য সরকারের নিন্দা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী।


Body:নারদা কাণ্ডে আইপিএস অফিসার এস এম এইচ মির্জা গ্রেফতারের পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতৃত্ব।
নারদা কান্ড ঘটে যাওয়ার এত পরে কেন ওই আইপিএস অফিসারকে গ্রেফতার করা হল তা জানতে চেয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। সমগ্র বিষয়টিকে তিনি ম্যাচ-ফিক্সিং বলে উল্লেখ করেছেন। সাড়ে তিন বছর পর কেন ওই আইপিএস অফিসার কে গ্রেফতার করা হল! আরো আগে কেন তাকে গ্রেফতার করা হলো না? প্রশ্ন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর।
নারদা কাণ্ডে যার যার নাম আছে সবাই গ্রেফতার হবে। যা হবার তাই হয়েছে। এরা গ্রেফতার হবেনই। এটি প্রত্যাশিত ছেলে বলে মন্তব্য করেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় বলেছিলেন আগে জানলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিট দিতেন না। কিন্তু পরে মুখ্যমন্ত্রী তাদেরই টিকিট দিয়ে মন্ত্রী করেছেন। তারা দলের জন্য এবং ব্যক্তির জন্য টাকা তুলে দিয়েছেন। নিজের জন্য টাকা তুলেছেন আইপিএস অফিসার। মুখ্যমন্ত্রী তাকে টাকা তোলার কাজ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সুজন। মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা বোধ হওয়া উচিত সমগ্র বিষয়টিতে। তৃণমূল দলের জন্য একজন আইপিএস অফিসার টাকা তুলছে। যা নজিরবিহীন ঘটনা বলে মনে করেন বাম পরিষদীয় দলনেতা। গোটা বিষয়টি কে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দেন তিনি। সিবিআই কে কেন এতদিন অপেক্ষা করতে হলো। কেনইবা কণ্ঠস্বর পরীক্ষার নাম করে দীর্ঘ সময় নষ্ট করা হলো তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে বাম পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে।
একে একে সবাই গ্রেফতার হবে। কারণ শ্রীঘর ছাড়া এদের থাকার কোনো বিকল্প জায়গা নেই বলে মন্তব্য করেছেন সুজন চক্রবর্তী। শাসক দল এবং নিজেদের জন্য মানুষকে প্রতারিত করেছেন আইপিএস অফিসার। শাসকদলের জন্য নিলর্জ্জভাবে টাকা তুলেছেন তিনি। মানুষকে ফাঁসিয়েছে, প্রতারিত করেছে, অন্যায় ভাবে। প্রতারিত মানুষকে আরো বিপদে ফেলেছে এই আইপিএস অফিসার। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এদের জেল ছাড়া অন্য কোন থাকার জায়গা নেই। যারা যত বড় অপরাধী, তারা বিজেপি তে গিয়ে হাজির হচ্ছে। যে বিজেপিতে যেতে পারছেনা, সে তৃণমূলে থেকে বিজেপিতে যাবো যাবো ভাব করছে। রাজীব কুমার বড় অফিসার ছিলেন। একটা সম্মানের ব্যাপার ছিল রাজ্যের। ক্রিমিনালের মত তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সিবিআই তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। এটা অসম্ভব ব্যাপার। রাজ্য সরকার ও জানে না রাজীব কুমার কোথায়? এটা বিশ্বাস করতে হবে? ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা। সমগ্র বিষয়টিকে তিনি ম্যাচ-ফিক্সিং বলে উল্লেখ করেন। রাজীব কুমারকে ধরা মানে মুখ্যমন্ত্রীর কান অবধি ধরা। এখানে মুখ্যমন্ত্রী বাঘ। আর দিল্লিতে অমিত শাহের সামনে গিয়ে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেজা বিড়াল হয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করলেন সুজন চক্রবর্তী। রাজীব কুমার অবধি যা করছো করো, পিসি ভাইপোকে টেনো না। এমনটাই বোধহয় বলতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দাবি সুজনের। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের যত বাড়ি, সব একটি পরিবারের হাতে কেন থাকবে? মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তাকে কটাক্ষ করলেন সুজন চক্রবর্তী। কিসের রেহাই? অপরাধীরা ধরা পড়বেই হয় নারদা, নয় চিটফান্ড কাণ্ডের জন্য। তৃণমূল কংগ্রেসকে ফেক দল বলে মন্তব্য করেন সুজন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানান, বিজেপি দেখাচ্ছে তারা তৃণমূলের কত বড় শত্রু। আসলে সবটাই নাটক। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। চুনোপুটিকে গ্রেফতার করছে। আসল লোকদের ছেড়ে দিয়েছে। বিজেপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে নয় বলেই, আসল অপরাধীদের ধরতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন আব্দুল মান্নান। দু একজনকে ধরে নাটক করছে। বাম এবং কংগ্রেস ঐক্য হলে পরাজিত হবে তৃণমূল এবং বিজেপি শক্তি। দাবি আব্দুল মান্নানের। বিজেপির বি টিম বলেও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন তিনি। ক্ষমতায় এসে প্রতারিত মানুষের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.