কলকাতা, 29 জুন : পেট্রল-ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে যৌথভাবে পথে নামল বাম-কংগ্রেস । সামাজিক দূরত্ব মেনে রেড রোডে বিক্ষোভ দেখায় তারা ।
আন্তর্জাতিক বাজারে যখন অপরিশোধিত তেলের দাম কমছে তখন এদেশে বেড়েই চলেছে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম । অবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে রেড রোডে যৌথভাবে বিক্ষোভ দেখাল বাম ও কংগ্রেস ।
পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদকে সামনে রেখে তৃণমূল এবং BJPকে বার্তা দিল রাজ্যের দুই বিরোধী দল। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যৌথভাবে পথ চলা এবং তৃণমূল ও BJP-এর বিরুদ্ধে বার্তা দিতে এই প্রথম পথে নামল প্রদেশ কংগ্রেস। সঙ্গে বামফ্রন্টও।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, "কর্পোরেটের স্বার্থে মোদি সরকারের মানুষ মারার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। পেট্রল-ডিজ়েলের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষের উপরে বোঝা বেড়েছে । কেন্দ্রীয় সরকার কর্পোরেট সংস্থার বুদ্ধিতে চলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার ফলে । আগামী দিনে সংকট আরও গভীর জায়গায় পৌঁছাবে । রাজ্যের মানুষকে বিপদে ফেলে দিচ্ছে BJP সরকার ।"
তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের মতো রাজ্য সরকারও শিক্ষাব্যবস্থাকে কর্পোরেট ছোঁয়ায় নিয়ে যেতে চাইছে। পড়ুয়াদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেই কারণে অচলাবস্থা তৈরি করছে শিক্ষাক্ষেত্রে। ডিজিটাল শিক্ষার নামে শিক্ষা সংকোচনের নীতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রাজ্যের মানুষকে রাস্তায় বার করে দিয়ে পরিবহন ব্যবস্থাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত।"
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, "জনবিরোধী কেন্দ্রীয় সরকারকে উৎখাত করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারেরও কোন হুঁশ নেই। লাগাতার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজ্যের সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিবাদ করছে না। এর থেকেই বোঝা যায় দুই সরকারের মধ্যে আঁতাত রয়েছে। আগামী দিনে মানুষ এদের পরিত্যাগ করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের আচ্ছে দিনের নমুনা মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।"