কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: রাত পোহালেই রবিবার ৷ আর আগামিকাল সনাতন ধর্মের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠান শুরু হবে ৷ গঙ্গাবরণ করে সেই জল দিয়ে পুজো করে ব্রিগেডের সেই জায়গায় মণ্ডপ করা হবে ৷ আর আজ, শনিবার প্রস্তুতি পর্ব একেবারেই শেষের দিকে। সনাতন সংস্কৃতি সংসদ, মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রম, অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের পক্ষ এই মেগা গীতা পাঠের কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ আরও অন্যান্য নেতা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। সাধু-সন্তরা দিনরাত কাজ করে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য কাজ করেছেন। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আজ দিল্লি থেকে রাত 11.20 মিনিটে কলকাতা বিমান বন্দরে পৌঁছবেন। তারপরে সেখান থেকে সরাসরি ব্রিগেডে প্রস্তুতি দেখতে যাবেন। আগামিকাল ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের জন্য এক লক্ষ মানুষ উপস্থিত থাকবেন।
পাশাপাশি দর্শক এবং আরও ভক্তবৃন্দরা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য রাজ্যের থেকে 1500 সাধু সন্ত উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সঙ্গে বিহার, বাংলাদেশ, ওড়িশা-সহ অন্যান্য রাজ্য থেকেও বহু মানুষের আসার কথা রয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত 1 লক্ষ 30 হাজারের উপর ফর্ম রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে। দু'টি মঞ্চ করা হয়েছে। মূল মঞ্চে যেখানে গীতা রাখা থাকবে সেখানেই বসবেন শঙ্করাচার্য ও পুরীর মন্দিরের দৈতাপতী। আগামিকাল সকাল 9টা থেকেই শুরু হয়ে যাবে অনুষ্ঠান।
সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এছাড়াও ব্রিগেডের অনুষ্ঠান চত্বরজুড়ে হবে শোভাযাত্রা। খোল, ধামসা মাদল কর্তাল এবং শঙ্খ বাজিয়ে শোভাযাত্রা করা হবে। তারপর শুরু হবে আরতি পর্ব। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আগামিকাল আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সবাইকে। এছাড়াও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সমস্ত বিধায়ক, সাংসদদের, বিশিষ্ট আইনজীবী, ব্যবসায়ী, পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ঘনশ্যাম আগরওয়ালকে। এক লক্ষ নারী-পুরুষ সমবেত কণ্ঠে একসঙ্গে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ করবেন।
এই অনুষ্ঠান গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেতে চলেছে। সেই সঙ্গে ওইদিন পঞ্চাশ হাজার শঙ্খ ধ্বনি বেজে উঠবে। এটিও বিশ্ব রেকর্ড করবে বলে জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে এই গীতা পাঠ কর্মসূচিতে যে বঙ্গ বিজেপির একটা যোগ রয়েছে সেই বিষয় একটা জল্পনা চলছে। তবে এই বিষয় সাধুরা আগেই জানিয়েছিলেন, এটি একটি ধর্মীয় কর্মসূচি ৷ এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও যোগ নেই। সাধুদের কাছে সমস্ত রাজনৈতিক দলই এক।
আরও পড়ুন: