কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর: মশাকে জব্দ করতে প্রায় 70 হাজার টাকা খরচের পরিকল্পনা । খরচা করবে লালবাজার । সূত্রের খবর, আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের জন্যই এই পরিকল্পনা । কিন্তু প্রায় 70 হাজার টাকা দিয়ে কীভাবে মশা নিধন করবে লালবাজার ? জানা গিয়েছে, আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের জন্য এ বার কেনা হবে একটি অত্যাধুনিক মানের পেট্রলচালিত যন্ত্র ।
এ বিষয়ে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক যুগ্ম নগরপাল পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক বলেন, সংশ্লিষ্ট যন্ত্রটি ভিনরাজ্যের । তাতে পেট্রল ভরা থাকবে । আর মশা নিধনের জন্য সেখানে প্রায় 25 লিটার মশা মারার তেল । যন্ত্রটি চালালেই সেখান থেকে বেরোবে ধোঁয়া । আর সেই ধোঁয়াই মারবে মশা । লালবাজার সূত্রের খবর, এই মশা মারার তেল গোটা বডিগার্ড লাইন্সে ছড়ানো সম্ভব হবে । এতে মশা নিধন করে রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ ।
আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে রয়েছে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন আইপিএস আধিকারিকদের কোয়ার্টার । সেখানে পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা থাকেন । এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকের দফতর থেকে শুরু করে সেখানে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর অফিসও রয়েছে । রয়েছে পুলিশের ব্যারাক । সেখানে প্রায় হাজার খানেক পুলিশকর্মী এবং তাঁদের পরিবারেরা থাকে । ফলে সেখানে যদি ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়, তবে তা অবশ্যই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ।
আরও পড়ুন: আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অনেকটাই কমবে ডেঙ্গি, নবান্নে জানালেন মুখ্যসচিব
ভেজা আবহাওয়া । আর কলকাতার রাস্তায় আনাচে কানাচে জমে আছে জল । সেখানেই জন্মাচ্ছে মশার লার্ভা । ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি-র মতো অসুখ ৷ ডেঙ্গি ইতিমধ্যেই রাজ্য তথা কলকাতায় বেশ কয়েকজনের প্রাণ কেড়েছে । সতর্ক রয়েছে পৌরসভাও । নবান্নের তরফে স্বাস্থ্যকর্তাদের দেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ সতর্কবার্তা । পুজোর আগে বিভিন্ন সময় আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সেই বৈঠক করবেন পুলিশকর্তারা । ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েলের তরফে প্রত্যেকটা থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তাঁদের নিজের নিজের থানা এলাকায় যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয় ।
পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ট্রাফিকের তরফ থেকেও শহরের 25টি ট্রাফিক গার্ডের অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ট্রাফিক গার্ডগুলির বাইরে যে সব বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়ি, মোটরবাইক দাঁড় করানো থাকে, সেইগুলিতে কোনও ভাবেই যাতে বৃষ্টির জল জমে না থাকে ৷