কলকাতা, 10 ডিসেম্বর: কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্টদের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং কর্তব্যরত অবস্থায় হেনস্থার হাত থেকে তাঁদের বাঁচাতে কয়েক বছর আগে বডি ক্য়ামেরা (Body Camera) ব্যবহারের রীতি শুরু হয় ৷ সেই ব্যবস্থা এখনও চলছে ৷ মূলত কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টকে যদি শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়, কিংবা তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হলে, সার্জেন্টের বুকে লাগানো কালো রংয়ের এই বডি ক্যামেরায় তোলা ছবি ঘটনার সাক্ষ্য বা প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ কিন্তু, এই বডি ক্যামেরাগুলি লাগাতার রোদে, জলে ব্যবহার করা হয় ৷ ফলে সেগুলি এখনও ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখতে চায় লালবাজার (Lalbazar) ৷
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের 25টি ট্রাফিক গার্ডের প্রত্যেকটির অধীনে থাকা সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক সার্জেন্টের ব্যবহার করা বডি ক্যামেরাগুলির বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে, তা লালবাজারের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে ৷ বডি ক্যামেরাগুলির কর্মক্ষমতা কমেছে কিনা, কমলে কতটা কমেছে, তাতে কত স্পষ্ট ছবি উঠছে ইত্যাদি তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে ৷ আগামী সপ্তাহে এই তথ্যগুলিই রিপোর্ট আকারে লিখিতভাবে লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: উস্তাদ রশিদ খানের গাড়ি-কাণ্ডে পুলিশকে তোপ বামেদের, বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ সিপি'র
চলতি সপ্তাহেই উস্তাদ রশিদ খানের গাড়িচালক এবং তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ যদিও সেই ঘটনায় নগরপাল বিনীত গোয়েল সরাসরি উস্তাদ রশিদ খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ৷ এরপর একটি বিশেষ দল গঠন করে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি ৷ এ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে ৷
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই লালবাজারের তরফ থেকে প্রত্যেকটি থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যখনই কোনও গাড়িতে নাকাচেকিং করা হবে, তখন যেন গোটা ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হয় ৷ এছাড়াও রাস্তায় যেখানে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, সেইসব জায়গা চিহ্নিত করে, সেখানেই নাকাচেকিংয়ের বন্দোবস্ত করতে হবে ৷