কলকাতা, 11 অক্টোবর: পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India) অর্থাৎ পিএফআইয়ের সকল অফিসগুলিতে তল্লাশি অভিযানের পর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সংগঠনটিকে। কিন্তু তলায় তলায় এই সংগঠন নিজেদের রূপ এবং নাম পরিবর্তন করে পূর্বতন কার্যকলাপই বহাল রাখছে ৷ গোপন সূত্রে এমন খবর পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসল কলকাতা পুলিশ।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ এবং অন্যান্য জেলা পুলিশ-সহ বিভিন্ন কমিশনারেট এবং ভবানী ভবনের তরফে রাজ্য পুলিশের প্রতিটি থানাকে এই বিষয়ে অবগত থাকার জন্য মেল পাঠানো হয়েছে।
লালবাজার (Lalbazar on PFI) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার কর্মকর্তারা নিজেদের কর্মকাণ্ডগুলিকে এখনও পর্যন্ত বহাল রেখেছে এবং আভ্যন্তরীণভাবে নিজেদের সংগঠনের ভোলবদল করে কর্মকাণ্ডে আসীন থাকছে এই খবর আসার পরেই গোয়েন্দা দফতরের তরফ থেকে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার নেতা-নেত্রীদের উপর নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই কলকাতা তথা রাজ্য পিএফআইয়ের নেতা কর্মীদের একটি তালিকা তৈরি করেছে গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই পিএফআই এবং তাদের শাখা সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর আগে দেশব্যাপী পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় কলকাতার তিলজলায় পিএফআইয়ের অফিসেও তল্লাশি চালায় এনআইএ-র গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: পিএফআই-এর মতো আরএসএস-কেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি লালুর
অভিযোগ, সেই সময় অফিসের একটি খামের ভিতর বেশ কয়েক হাজার টাকা এবং কোন ক্ষেত্রে কত টাকা কাদের দেওয়া হয়েছে তার একটি হিসাব ইতিমধ্যেই পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যে লেনদেন হয়েছিল তার উপরেও বিশেষভাবে নজর রাখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। গোয়েন্দাদের দাবি সংগঠনের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হওয়ার পর সক্রিয়তা বন্ধ হয়ে গেলেও এনজিওর নাম করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।