ETV Bharat / state

পরিবারের কথা গোপন রেখেই মহিলার সঙ্গে সহবাস, গর্ভবতী হয়ে পড়ায় খুনের হুমকি !

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস । গর্ভবতী হয়ে পড়ায় মেরে ফেলার হুমকি । পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সাহায্য না মেলায় হাইকোর্টে মহিলা ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jun 29, 2019, 7:22 PM IST

Updated : Jun 29, 2019, 7:41 PM IST

কলকাতা, 29 জুন : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাস করেছেন । কিন্তু গর্ভবতী হয়ে পড়ায় এখন মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে মহিলাকে । পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সাহায্য । অবশেষে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ মহিলা ।

পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা প্রিয়া( নাম পরিবর্তিত) । তাঁর অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমানেরই সুজন(নাম পরিবর্তিত) বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করেছেন । কিন্তু এখন তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়ায় মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে । সপ্তাহ খানেক আগে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন প্রিয়া । তাঁর অভিযোগ, পুলিশ সাহায্য করেনি । তাই গতকাল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের সিঙ্গল বেঞ্চে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা দায়ের করেন । জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে এই মামলার শুনানি ।

প্রিয়ার আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরি জানান, উনি সিঙ্গল মাদার । 9 বছরের ছেলে রয়েছে । পেশায় LIC এজেন্ট । সেই সূত্রেই 2016 সালে পূর্ব বর্ধমানের সুজনের সঙ্গে আলাপ হয় । এলাকায় নামডাক রয়েছে সুজনের । প্রিয়ার থেকে একটি মেডিক্লেম পলিসি করান সুজন । তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় । দু'জন পূর্ব বর্ধমানে একটি রেস্তরাঁও খোলেন । তখনও প্রিয়া জানতেন না সুজন বিবাহিত । তাঁর দুই সন্তান রয়েছে । সুজন প্রিয়াকে জানিয়েছিলেন, তিনি অবিবাহিত এবং প্রিয়াকে বিয়ে করবেন । 2018 সালে দক্ষিণেশ্বরে প্রিয়াকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন সুজন । তারপর সেখানেই ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে প্রিয়ার সঙ্গে সহবাস করেন । এরপর একাধিকবার সহবাস করেন দু'জন । গর্ভবতী হন প্রিয়া । চলতি বছরের 5 জুন দু'জনের মধ্যে এ নিয়ে ঝগড়া হয় । সুজনকে বিয়ে করার কথা বলেন প্রিয়া । তখনই জানতে পারেন, সুজন বিবাহিত । তারপর থেকেই সুজন ফোনে প্রিয়া ও তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ।

কলকাতা, 29 জুন : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাস করেছেন । কিন্তু গর্ভবতী হয়ে পড়ায় এখন মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে মহিলাকে । পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সাহায্য । অবশেষে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ মহিলা ।

পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা প্রিয়া( নাম পরিবর্তিত) । তাঁর অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমানেরই সুজন(নাম পরিবর্তিত) বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করেছেন । কিন্তু এখন তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়ায় মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে । সপ্তাহ খানেক আগে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন প্রিয়া । তাঁর অভিযোগ, পুলিশ সাহায্য করেনি । তাই গতকাল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের সিঙ্গল বেঞ্চে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা দায়ের করেন । জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে এই মামলার শুনানি ।

প্রিয়ার আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরি জানান, উনি সিঙ্গল মাদার । 9 বছরের ছেলে রয়েছে । পেশায় LIC এজেন্ট । সেই সূত্রেই 2016 সালে পূর্ব বর্ধমানের সুজনের সঙ্গে আলাপ হয় । এলাকায় নামডাক রয়েছে সুজনের । প্রিয়ার থেকে একটি মেডিক্লেম পলিসি করান সুজন । তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় । দু'জন পূর্ব বর্ধমানে একটি রেস্তরাঁও খোলেন । তখনও প্রিয়া জানতেন না সুজন বিবাহিত । তাঁর দুই সন্তান রয়েছে । সুজন প্রিয়াকে জানিয়েছিলেন, তিনি অবিবাহিত এবং প্রিয়াকে বিয়ে করবেন । 2018 সালে দক্ষিণেশ্বরে প্রিয়াকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন সুজন । তারপর সেখানেই ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে প্রিয়ার সঙ্গে সহবাস করেন । এরপর একাধিকবার সহবাস করেন দু'জন । গর্ভবতী হন প্রিয়া । চলতি বছরের 5 জুন দু'জনের মধ্যে এ নিয়ে ঝগড়া হয় । সুজনকে বিয়ে করার কথা বলেন প্রিয়া । তখনই জানতে পারেন, সুজন বিবাহিত । তারপর থেকেই সুজন ফোনে প্রিয়া ও তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ।

Intro:বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, হাইকোর্টেরদ্বারস্থ মহিলা Body:
মানস নস্কর---

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক করেছেন, গর্ভবতী হয়ে পড়ার পর মেরে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন পূর্ব বর্ধমান এলাকার প্রভাবশালী ঐ ডাক্তার -হাইকোর্টের দ্বারস্থ ভদ্রমহিলা

কলকাতা ২৯ জুনঃ
পূর্ব বর্ধমান এলাকার এক মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক করেছেন এলাকারই এক অত্যন্ত প্রভাবশালী ডাক্তার । এখন যখন গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন ঐ মহিলা, তখন মেরে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সপ্তাহ খানেক আগে। কিন্ত তেমনভাবে সাড়া মেলেনি।অবশেষে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার মামলা করেছেন ঐ মহিলা। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের সিংগল বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়েছে। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুনানি।

ঐ ভদ্রমহিলার আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরী জানালেন, পূর্ব বর্ধমান এলাকার ঐ ভদ্রমহিলা একজন সিংগল মাদার,৯ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলে যখন খুব ছোট সেই সময়ই বিচ্ছেদ হয়ে যায় উনাদের। এরপর ভদ্রমহিলা একজন LIC এজেন্ট হিসাবে নিজের জীবন নির্বাহ করেন।২০১৬ সালে LIC র সুত্রেই পূর্ব বর্ধমান এলাকার এক ডাক্তারের সঙ্গে আলাপ হয় উনার। বলাজায় ভদ্র লোক বর্ধমান শহরের প্রথম শ্রেণীর ডাক্তার। বিরাট নামডাক রয়েছে শহরে।এই ডাক্তার বাবু ঐ মহিলার থেকে একটি মেডিক্লেম পলিসি করেন।তারপর তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। যেটা ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে যায়। দুজন মিলে পূর্ব বর্ধমান এলাকায় একটা রেস্টুরেন্ট খোলেন।কিন্ত ডাক্তার বাবু তার যে একটা সংসার রয়েছে, ঘরে স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে সেটা তিনি সম্পুর্ন গোপন করে যান।ডাক্তার বাবু মহিলাকে জানান, তিনি অবিবাহিত এবং ভদ্রমহিলাকে বিয়ে করতে চান।

২০১৮ সালের নভেম্বর মাস নাগাদ মহিলাকে নিয়ে দক্ষিণেশ্বরে আসেন ঐ ডাক্তার বাবু। মন্দিরে প্রতিজ্ঞা করেন বিবাহ করবেন।এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে দক্ষিণেশ্বরে উনার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যান।এবং শারীরিক সম্পর্ক করেন।এরপর একাধিক বার ওদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। ফলে ঐ মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়েন।চলতি বছরের গত ৫ জুন ঈদের দিন দুজনের মধ্যে প্রচন্ড বাকবিতণ্ডা হয়।মহিলা ডাক্তার বাবুকে অনুরোধ করেন বিবাহ করার জন্য। সেই সময় ধরা পড়ে যে ডাক্তার বাবু বিবাহিত। এরপর ডাক্তার বাবু মহিলাকে ফোনে থ্রেট পর্যন্ত করেছেন যে এই ঘটনা জানাজানি হলে মহিলাকে এবং তার ছেলেকে পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দেওয়া হবে।এরপর গত ২০ জুন ভদ্রমহিলা বর্ধমান পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্ত এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো সহায়তা পাননি পুলিশের কাছ থেকে। বাধ্য হয়ে গতকাল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশি নিস্ক্রিয়তার মামলা দায়ের করে। Conclusion:
Last Updated : Jun 29, 2019, 7:41 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.