ETV Bharat / state

Construction Waste Recycling: নির্মাণ বর্জ্যের অভাব, পাচার চক্র জড়িত কি না খোঁজ নিচ্ছেন মেয়র ফিরহাদ - রাজারহাটে বর্জ্যের পুনঃব্যবহার প্রকল্প

নির্মাণ বর্জ্যের চরম অভাব ৷ পরিবেশ রক্ষায় রাজারহাটে কর্পোরেশনের তৈরি বর্জ্যের পুনঃব্যবহার প্রকল্প শুরুর চার মাসের মাথায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম ৷ নির্মাণ বর্জ্য পাচারে অসাধু চক্র জড়িয়ে কি না, খোঁজ মেয়রের ৷

Construction West Recycling
নির্মাণ বর্জ্যের অভাবে বন্ধ হতে চলেছে শুরু হওয়া নতুন প্রকল্প
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 27, 2023, 10:33 PM IST

কলকাতা, 27 অগস্ট: কলকাতায় নির্মাণ কাজ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। তৈরি হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কংক্রিট বর্জ্য। পরিবেশ আদালতের চাপে সেই বর্জ্য যথেচ্ছ ফেলা বা ব্যবহারে লাগাম দিতে বৈজ্ঞানিক উপায় পুনর্ব্যবহার যোগ্য করার পদক্ষেপ নেয় কলকাতা পৌরনিগম। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজারহাটে তৈরি হয় একটি কারখানা। এই প্রকল্প অনুসারে 10 বছরের জন্য ওই সংস্থাকে কলকাতা কর্পোরেশন 50 কোটি টাকা দেবে। কিন্তু কারখানার কাঁচামাল হিসাবে নির্মাণ বর্জ্যই প্রয়োজন মত পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে মাত্র চার মাসের মাথায় ধাক্কা খেয়েছে এই প্রকল্প। কাঁচা মালের অভাবে প্রায় বন্ধ হতে বসেছে এই প্রকল্প।

কিন্তু বিপুল পরিমাণ কংক্রিট বর্জ্য যাচ্ছে কোথায়? দেখা গিয়েছে, এই বর্জ্য মূলত জলা জমি ভরাট করতেই ব্যবহার করা হয়। এই প্রেক্ষিতে পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "নির্মাণ বর্জ্য পাঠানোর জন্য কলকাতা কর্পোরেশনের পাশাপাশি, মিউনিসিপালিটি, কেএমডিএ- কে অনুরোধ করা হয়েছে। কলকাতার বাইরে বিশেষ করে দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার পথে নির্মাণ বর্জ্য ভর্তি গাড়ি দেখলেই সেটা আটকাতে অনুরোধ করা হয়েছে পুলিশকে।"

মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এমন বার্তাতে উঠেছে প্রশ্ন ৷ তাহলে কি নির্মাণ বর্জ্য পাচার করার পিছনে কোনও অসাধু চক্র কাজ করছে? তবে তার উত্তর এখন অধরা ৷ নির্মাণ বর্জ্যে ব্যাপক বায়ু দূষণ হচ্ছে কলকাতায়। তার জন্য কোনও নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে একাধিক নিয়ম পরিবেশ আদালতের নির্দেশে মানতে বলা হয়েছে ভাঙার কাজে যুক্ত ঠিকাদার বা কর্মীদের। পাশাপশি নির্মাণ বর্জ্য দেওয়ার জন্য কর্পোরেশন বিল্ডিং বিভাগকে বলা হয়েছে, বহুতলের নকশা অনুমোদনের সময় নির্মাণ বর্জ্যের জন্য অতিরিক্ত টাকা নিয়ে নিতে। সেই নির্মাণ বর্জ্য বাধ্যতামূলক ভাবেই দিতে হবে কলকাতা কর্পোরেশনকে

তবে এই ঘটনা সামনে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ কর্মীরা। তাঁদের একাংশের মতে, কলকাতায় ও আসেপাশে পৌর এলাকায় নির্মাণ বর্জ্য কম পড়ে, এটা মানা যায় না। এগুলো পরিবেশের ক্ষতি করছে ৷ পাশাপাশি যথেচ্ছ ভাবে ফেলে রাখায় তা জলা জমি ভরাটে ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ তাঁদের অভিযোগ, কলকাতা পৌরনিগম যখন পরিবেশ আদালতের চাপে পুনর্ব্যবহার যোগ্য প্ল্যান্ট বানাল তখন কাঁচা মাল আনার দিকে আগে থেকেই জোর দেওয়া উচিত ছিল। এই প্রকল্প বিরাট টাকার। আর এই টাকা আম জনতার টাকা। তাঁদের উদাসীন মনভাবের জেরে পরিবেশ রক্ষা যেমন হবে না, তেমন জনগণের বিপুল টাকা নষ্ট হবে। পৌর প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গার দরকার।

আরও পড়ুন: সচেতন কলকাতাবাসী, শহরে বাড়ছে পরিবেশবান্ধব গাড়ির সংখ্যা

উল্লেখ্য, নির্মাণ বর্জ্য থেকে স্টোন চিপ, সিমেন্ট, ইট এমন নানা রকম জিনিস তৈরির লক্ষ্যেই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এইগুলো বিক্রি করে কর্পোরেশনের কোষাগার কিছু টাকাও আসবে। তবে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে 10 বছরের চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর 5 কোটি টাকা পৌরনিগম ওই সংস্থাকে দেবে কাজের জন্য। প্রকল্প কাঁচা মালের জন্য বন্ধ হলে জনগণের টাকাই ব্যাপক ক্ষতি হবে। প্রতিদিন 500 মেট্রিকটন নির্মাণ বর্জ্য দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়ছিল। কিন্তু 10 মেট্রিকটনের বেশি বর্জ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

কলকাতা, 27 অগস্ট: কলকাতায় নির্মাণ কাজ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। তৈরি হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কংক্রিট বর্জ্য। পরিবেশ আদালতের চাপে সেই বর্জ্য যথেচ্ছ ফেলা বা ব্যবহারে লাগাম দিতে বৈজ্ঞানিক উপায় পুনর্ব্যবহার যোগ্য করার পদক্ষেপ নেয় কলকাতা পৌরনিগম। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজারহাটে তৈরি হয় একটি কারখানা। এই প্রকল্প অনুসারে 10 বছরের জন্য ওই সংস্থাকে কলকাতা কর্পোরেশন 50 কোটি টাকা দেবে। কিন্তু কারখানার কাঁচামাল হিসাবে নির্মাণ বর্জ্যই প্রয়োজন মত পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে মাত্র চার মাসের মাথায় ধাক্কা খেয়েছে এই প্রকল্প। কাঁচা মালের অভাবে প্রায় বন্ধ হতে বসেছে এই প্রকল্প।

কিন্তু বিপুল পরিমাণ কংক্রিট বর্জ্য যাচ্ছে কোথায়? দেখা গিয়েছে, এই বর্জ্য মূলত জলা জমি ভরাট করতেই ব্যবহার করা হয়। এই প্রেক্ষিতে পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "নির্মাণ বর্জ্য পাঠানোর জন্য কলকাতা কর্পোরেশনের পাশাপাশি, মিউনিসিপালিটি, কেএমডিএ- কে অনুরোধ করা হয়েছে। কলকাতার বাইরে বিশেষ করে দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার পথে নির্মাণ বর্জ্য ভর্তি গাড়ি দেখলেই সেটা আটকাতে অনুরোধ করা হয়েছে পুলিশকে।"

মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এমন বার্তাতে উঠেছে প্রশ্ন ৷ তাহলে কি নির্মাণ বর্জ্য পাচার করার পিছনে কোনও অসাধু চক্র কাজ করছে? তবে তার উত্তর এখন অধরা ৷ নির্মাণ বর্জ্যে ব্যাপক বায়ু দূষণ হচ্ছে কলকাতায়। তার জন্য কোনও নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে একাধিক নিয়ম পরিবেশ আদালতের নির্দেশে মানতে বলা হয়েছে ভাঙার কাজে যুক্ত ঠিকাদার বা কর্মীদের। পাশাপশি নির্মাণ বর্জ্য দেওয়ার জন্য কর্পোরেশন বিল্ডিং বিভাগকে বলা হয়েছে, বহুতলের নকশা অনুমোদনের সময় নির্মাণ বর্জ্যের জন্য অতিরিক্ত টাকা নিয়ে নিতে। সেই নির্মাণ বর্জ্য বাধ্যতামূলক ভাবেই দিতে হবে কলকাতা কর্পোরেশনকে

তবে এই ঘটনা সামনে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ কর্মীরা। তাঁদের একাংশের মতে, কলকাতায় ও আসেপাশে পৌর এলাকায় নির্মাণ বর্জ্য কম পড়ে, এটা মানা যায় না। এগুলো পরিবেশের ক্ষতি করছে ৷ পাশাপাশি যথেচ্ছ ভাবে ফেলে রাখায় তা জলা জমি ভরাটে ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ তাঁদের অভিযোগ, কলকাতা পৌরনিগম যখন পরিবেশ আদালতের চাপে পুনর্ব্যবহার যোগ্য প্ল্যান্ট বানাল তখন কাঁচা মাল আনার দিকে আগে থেকেই জোর দেওয়া উচিত ছিল। এই প্রকল্প বিরাট টাকার। আর এই টাকা আম জনতার টাকা। তাঁদের উদাসীন মনভাবের জেরে পরিবেশ রক্ষা যেমন হবে না, তেমন জনগণের বিপুল টাকা নষ্ট হবে। পৌর প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গার দরকার।

আরও পড়ুন: সচেতন কলকাতাবাসী, শহরে বাড়ছে পরিবেশবান্ধব গাড়ির সংখ্যা

উল্লেখ্য, নির্মাণ বর্জ্য থেকে স্টোন চিপ, সিমেন্ট, ইট এমন নানা রকম জিনিস তৈরির লক্ষ্যেই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এইগুলো বিক্রি করে কর্পোরেশনের কোষাগার কিছু টাকাও আসবে। তবে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে 10 বছরের চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর 5 কোটি টাকা পৌরনিগম ওই সংস্থাকে দেবে কাজের জন্য। প্রকল্প কাঁচা মালের জন্য বন্ধ হলে জনগণের টাকাই ব্যাপক ক্ষতি হবে। প্রতিদিন 500 মেট্রিকটন নির্মাণ বর্জ্য দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়ছিল। কিন্তু 10 মেট্রিকটনের বেশি বর্জ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.