কলকাতা, 26 ডিসেম্বর: লোকসভা নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে ৷ রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা ৷ সকাল থেকে একের পর এক বৈঠকও করছেন বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা ৷ আজই কোর কমিটির বৈঠকে 15 জনের একটি নির্বাচনী কমিটি গড়েছেন তাঁরা ৷ তবে বিজেপির এই নির্বাচনী কমিটিকে ভরাডুবি কমিটি বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ৷ তিনি বলেন, "নির্বাচনে ভরাডুবির পর কাদের দায়ী করা হবে, তার জন্য এখন থেকে কমিটি গড়ে রাখা হল ৷"
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, "নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য আজ কমিটি গঠিত হয়েছে ৷ 35টি আসন তো অনেক দূরের কথা ৷ এবার লোকসভার নির্বাচনে 3-5 টি আসন বিজেপি আগে বাংলার বুকে পেয়ে দেখাক ৷ তারপর একে জুড়ে 35-এর কথা ভাববেন ৷"
একইসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, "অমিত শাহ বাংলায় যতবার আসেন, এ রাজ্যে তৃণমূলের ভোটের ফল তত ভালো হয় ৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ ৷ তাঁরা বাংলায় এলে আমাদের সুবিধে হয় ৷ কারণ, তাঁদের মুখ বাংলার মানুষ যতবার দেখবে, যতই বাংলার প্রতি বৈষম্য বঞ্চনা এবং অপমানের কথা মানুষের মনে পড়বে, তত বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বাড়বে এবং তৃণমূলের প্রতি মানুষের আস্থা আরও দৃঢ় হবে ৷ ফলে এরা যত বেশি আসবে ততবার হারবে ৷"
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের কথায়, "সবটাই আসলে বিজেপির প্যানিক রিঅ্যাকশন ৷ 'ইন্ডিয়া' জোট গঠিত হওয়ার পর বিজেপি রক্তস্রোত দ্রুত হয়েছে ৷ তারা বুঝতে পারছে 'ইন্ডিয়া' জোট সরকার গঠন করতে পারে ৷ সারা দেশে বিজেপির আসন কমবে ৷ তাই কীভাবে আসন বাড়ানো যায়, তার জন্য তাঁরা মরিয়া হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন ৷ কিন্তু এই কেন্দ্রীয় নেতারা ভুলে গিয়েছেন, বাংলার মানুষ তাদের সমর্থন করবে না ৷ তাই তাঁরা যতবার আসবেন, তত বেশি হারবেন ৷"
প্রসঙ্গত রাজ্যে এসে দফায় দফায় সংগঠন নিয়ে বৈঠক করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ প্রথমে নিউটাউনের একটি হোটেলে দলীয় কোর কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ এরপর সোশাল মিডিয়া সেল নিয়ে বৈঠক হয় ৷ জানা গিয়েছে, আরও একটি বৈঠক রয়েছে ৷ মঙ্গলবার সকালে তাঁরা দু'জনে দক্ষিণেশ্বর, গুরুদ্বারা দর্শনে যান ৷
আরও পড়ুন: