ETV Bharat / state

Kumartuli: কুমোরটুলি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে এবার কুলিদের মুখেও স্বস্তির ছাপ

রুজির টানে মহালয়ার আগেই ওনারা সুদূর পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, বনগাঁ থেকে এসে হাজির হন কুমোরটুলিতে (Kumartuli)। ওনারা কুলি। তাঁদের কাজ শিল্পীদের ঘর থেকে প্রতিমা গাড়িতে তোলা, সেখান থেকে আবার মণ্ডপে গিয়ে প্রতিমা নামানো। করোনা কাটিয়ে পুরোনো ছবি ফিরেছে কুমোর পাড়ায়। আর তার সঙ্গে মিশ্র প্রভাব পড়ছে তাঁদের মধ্যে। কারো মুখে হাসিও ফুটেছে, কেউ আবার বাকি আর ক'দিন কেমন যায় তার অপেক্ষায় (Durga Puja 2022)।

Kumartuli
স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে এবার কুলিদের মুখেও স্বস্তির ছাপ
author img

By

Published : Sep 28, 2022, 10:45 PM IST

কুমোরটুলি, 28 সেপ্টেম্বর: কয়েকদিনের জন্য কুলির কাজ করে একটা মোটা টাকা নিয়ে ফেরেন সুদূর পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, বনগাঁ থেকে আসা কুলিরা। তবে গত দু'বছর সেই আশানুরূপ রোজগার তাঁরা করতে পারেননি। কিন্তু এবার ফের পুরোনো ছবি ফিরেছে কুমোর পাড়ায়। তাই অন্যবারের থেকে একটু বেশি টাকাই পাচ্ছেন তাঁরা। তাই মুখে হাসি ফুটেছে কুমারটুলির কুলিদের (Kumartuli Situation on Durga Puja) ৷

দক্ষিণ 24 পরগনার বাসন্তীর চরাবিদ্যাগ্রাম। এবার সেখান থেকেই পরিতোষ শিকারি, গোপাল শিকারি, রামনাথ সর্দারদের 22 জনের একটি দল এসেছে। জীবন তলার কালুগাছি চন্ডীবাড়ি থেকে এসেছে এরকমই একটি টিম। এভাবে কলকাতা লাগোয়া কয়েকটি জেলা থেকে বেশ ভালো সংখ্যায় কুলিরা আসেন প্রতিবছর। সারা বছর চাষ করে কোনওমতে পেট চলে। পুজোর সময় (Durga Puja) প্রতি বছর মহালয়ার (Mahalaya) আগেই এসে হাজির হন কুমোরটুলিতে।

করোনা কাটিয়ে পুরোনো ছবি ফিরেছে কুমোর পাড়ায়

বাসন্তী থেকে কুলির কাজ করতে আসা এক ব্যাক্তি জানান, গত দু'বছর করোনা ছিল। তার মধ্যেই এসেছিলাম। ঠাকুর যাঁরা নিতে এসেছিলেন তাঁরা মানিবিকতার খাতিরে যা চেয়েছিলাম তাই দিয়েছিলেন ৷ এবছর সব স্বাভাবিক। কিন্তু এখন প্রায় বেশিরভাগই ক্লাব আমাদের চাওয়া পারিশ্রমিকে রাজি হচ্ছে না। তাই বাকি ক'দিন দেখি কেমন রোজগার হয়। আরও এক ব্যক্তির কথায়, "আগেরবার 5 হাজার টাকার কাজ 3 হাজার টাকা নিয়ে করেছি। এবার তাই একটু বেশি করেই দাবি করছি। অনেকেই দিয়ে দিচ্ছেন। অনেকে দরাদরি করে কমাচ্ছেন। সব মিলিয়ে কুলির কাজে কর্মকর্তাদের এবার বেশিরভাগের মুখেই স্বস্তির ছাপ।

আরও পড়ুন: 'শারদময় পঞ্চপ্রভা, সমুজ্জল দীপ্তশিখা' থিমে সেজে উঠেছে মালদার কৃষ্ণকালীতলা কল্যাণ সমিতি

কুমোরটুলি, 28 সেপ্টেম্বর: কয়েকদিনের জন্য কুলির কাজ করে একটা মোটা টাকা নিয়ে ফেরেন সুদূর পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, বনগাঁ থেকে আসা কুলিরা। তবে গত দু'বছর সেই আশানুরূপ রোজগার তাঁরা করতে পারেননি। কিন্তু এবার ফের পুরোনো ছবি ফিরেছে কুমোর পাড়ায়। তাই অন্যবারের থেকে একটু বেশি টাকাই পাচ্ছেন তাঁরা। তাই মুখে হাসি ফুটেছে কুমারটুলির কুলিদের (Kumartuli Situation on Durga Puja) ৷

দক্ষিণ 24 পরগনার বাসন্তীর চরাবিদ্যাগ্রাম। এবার সেখান থেকেই পরিতোষ শিকারি, গোপাল শিকারি, রামনাথ সর্দারদের 22 জনের একটি দল এসেছে। জীবন তলার কালুগাছি চন্ডীবাড়ি থেকে এসেছে এরকমই একটি টিম। এভাবে কলকাতা লাগোয়া কয়েকটি জেলা থেকে বেশ ভালো সংখ্যায় কুলিরা আসেন প্রতিবছর। সারা বছর চাষ করে কোনওমতে পেট চলে। পুজোর সময় (Durga Puja) প্রতি বছর মহালয়ার (Mahalaya) আগেই এসে হাজির হন কুমোরটুলিতে।

করোনা কাটিয়ে পুরোনো ছবি ফিরেছে কুমোর পাড়ায়

বাসন্তী থেকে কুলির কাজ করতে আসা এক ব্যাক্তি জানান, গত দু'বছর করোনা ছিল। তার মধ্যেই এসেছিলাম। ঠাকুর যাঁরা নিতে এসেছিলেন তাঁরা মানিবিকতার খাতিরে যা চেয়েছিলাম তাই দিয়েছিলেন ৷ এবছর সব স্বাভাবিক। কিন্তু এখন প্রায় বেশিরভাগই ক্লাব আমাদের চাওয়া পারিশ্রমিকে রাজি হচ্ছে না। তাই বাকি ক'দিন দেখি কেমন রোজগার হয়। আরও এক ব্যক্তির কথায়, "আগেরবার 5 হাজার টাকার কাজ 3 হাজার টাকা নিয়ে করেছি। এবার তাই একটু বেশি করেই দাবি করছি। অনেকেই দিয়ে দিচ্ছেন। অনেকে দরাদরি করে কমাচ্ছেন। সব মিলিয়ে কুলির কাজে কর্মকর্তাদের এবার বেশিরভাগের মুখেই স্বস্তির ছাপ।

আরও পড়ুন: 'শারদময় পঞ্চপ্রভা, সমুজ্জল দীপ্তশিখা' থিমে সেজে উঠেছে মালদার কৃষ্ণকালীতলা কল্যাণ সমিতি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.