কলকাতা, 3 এপ্রিল : কোরোনা সংক্রমণকে রুখতে মরিয়া বিশ্ব । সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । থমকে গেছে ব্যবসা ও কাজকর্ম । এর ফলে সমাজের সব স্তরের মানুষ অসুবিধায় পড়েছেন । বাদ পড়েননি সোনাগাছির যৌনপল্লীর কর্মীরাও । আর্থিক অনটনে পড়েছে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ এই যৌনপল্লীর কর্মীরা । একবেলা খেয়ে দিনগুজরান হচ্ছে অনেকেরই । তাই তাঁদের পাশে এগিয়ে এলেন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি । করা হল রেশন বিতরণ । এই কাজে সংগঠনকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন ও স্থানীয় বেশ কয়েকটি ক্লাব ।
দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা চিকিৎসক স্মরজিৎ জানা বলেন যে, "এখানে এরা সবাই দিন আনে দিন খায় । এদের পেশাও বন্ধ হয়ে রয়েছে । তাই সংসার চালানো একরকম অসম্ভব হয়ে পড়ছে এদের জন্য । কেউ ঠিক মত খাবার পাচ্ছেন না । তাই যাতে এখানে কোনও পরিবারকে খালি পেট থাকতে না হয় সে কারণে এদের খিচুড়ি, লুচি ও আলুর দম দেওয়া হয়েছে । এছাড়া চাল, ডাল, আলু ও পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে ।"
তিনি আরও বলেন, " এখানে প্রায় 4000 পরিবার বাস করে । আজ এদের মধ্যে প্রায় 400 জনকে খাবার ও রেশন বিতরণ করা করা হয়েছে । এছাড়াও শিশুদের বিস্কুটের প্যাকেট ও প্রতি পরিবারের জন্য একটি করে সাবান দেওয়া হবে।"
শুধু খাবার বিতরণই নয়, দুর্বারের স্বাস্থ্যকর্মীরা যৌনকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করছেন সকলকে । কী কী করলে সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব তাও যৌনকর্মীদের বলছেন । যদি কেউ অসুস্থ বা জ্বর বোধ করেন তাহলে সেক্ষেত্রে দুর্বারের ক্লিনিকে এসে নিজেকে পরীক্ষা করাতে পারেন এঁরা।
কোরোনা আতঙ্ক, সাহায্য নিয়ে ভাত জুটছে সোনাগাছির দুস্থ যৌনকর্মীদের - কোরোনা
লকডাউনের প্রভাব পড়েছে সোনাগাছির যৌনপল্লীতেও । দুস্থ যৌন কর্মীদের সাহায্যে এগিয়ে এল দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি ও বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন সহ বেশ কয়েকটি ক্লাব ।
কলকাতা, 3 এপ্রিল : কোরোনা সংক্রমণকে রুখতে মরিয়া বিশ্ব । সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । থমকে গেছে ব্যবসা ও কাজকর্ম । এর ফলে সমাজের সব স্তরের মানুষ অসুবিধায় পড়েছেন । বাদ পড়েননি সোনাগাছির যৌনপল্লীর কর্মীরাও । আর্থিক অনটনে পড়েছে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ এই যৌনপল্লীর কর্মীরা । একবেলা খেয়ে দিনগুজরান হচ্ছে অনেকেরই । তাই তাঁদের পাশে এগিয়ে এলেন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি । করা হল রেশন বিতরণ । এই কাজে সংগঠনকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন ও স্থানীয় বেশ কয়েকটি ক্লাব ।
দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা চিকিৎসক স্মরজিৎ জানা বলেন যে, "এখানে এরা সবাই দিন আনে দিন খায় । এদের পেশাও বন্ধ হয়ে রয়েছে । তাই সংসার চালানো একরকম অসম্ভব হয়ে পড়ছে এদের জন্য । কেউ ঠিক মত খাবার পাচ্ছেন না । তাই যাতে এখানে কোনও পরিবারকে খালি পেট থাকতে না হয় সে কারণে এদের খিচুড়ি, লুচি ও আলুর দম দেওয়া হয়েছে । এছাড়া চাল, ডাল, আলু ও পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে ।"
তিনি আরও বলেন, " এখানে প্রায় 4000 পরিবার বাস করে । আজ এদের মধ্যে প্রায় 400 জনকে খাবার ও রেশন বিতরণ করা করা হয়েছে । এছাড়াও শিশুদের বিস্কুটের প্যাকেট ও প্রতি পরিবারের জন্য একটি করে সাবান দেওয়া হবে।"
শুধু খাবার বিতরণই নয়, দুর্বারের স্বাস্থ্যকর্মীরা যৌনকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করছেন সকলকে । কী কী করলে সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব তাও যৌনকর্মীদের বলছেন । যদি কেউ অসুস্থ বা জ্বর বোধ করেন তাহলে সেক্ষেত্রে দুর্বারের ক্লিনিকে এসে নিজেকে পরীক্ষা করাতে পারেন এঁরা।