কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর: কলকাতা পুলিশের কাছে এ যেন শাঁখের করাতের মতো ব্যাপার ৷ কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার সোর্স নেটওয়ার্ক হল অপরাধ দমনের একটা বড় হাতিয়ার ৷ এলাকার ছোটোখাটো অপরাধীরাই পুলিশের এই সোর্স নেটওয়ার্কের একটা অবিচ্ছেদ অঙ্গ ৷ এখন এদের নিয়ে চিন্তায় কলকাতা পুলিশের হেড কোয়ার্টার লালবাজার ৷
সোর্স নেটওযার্ক কাজে লাগিয়েই বড় সমাজবিরোধীদের প্ল্যান বা মুভমেন্টের খবর পান গুন্ডাদমন শাখার অফিসাররা। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে, পুলিশের ছত্রছায়ায় থাকা এই সব ছোটখাটো অপরাধীরাই জড়িয়ে পড়ছে এক্সট্র্শন, বেআইনি ইমারতি ব্যবসা, স্মাগলিং বা কিডন্যাপের মতো বড় বড় অপরাধে। ফলে বাড়ছে খাস কলকাতা শহরে শুট-আউটের ঘটনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক কর্তা ইটিভি ভারত-কে জানান, এটা সত্যি যে বড় বড় অপরাধীদের ধরার আমাদের সোর্সরা ছোটোখাটো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ৷ তিনি বলেন, "এদের মধ্যে আছে পকেটমার, দেহপসারিণী, বিভিন্ন নিষিদ্ধপল্লির দালাল বা পাতাখোর ৷ সোর্সকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার গুরুতর অপরাধের সম্বন্ধে তথ্য জানতে। তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও বহু সময় অনেক অফিসার এই সোর্সদের প্রটেকশন দিয়ে থাকে ৷ কিংবা কখনও কখনও তাদের ছোটোখাটো অপরাধ এড়িয়ে যায়। কিন্তু ইদানিংকালে দেখা যাচ্ছে যে, এই সোর্সদের একাংশ জড়িয়ে পড়ছে এক্সট্র্শন, বেআইনি ইমারতি ব্যবসা, স্মাগলিং বা কিডন্যাপের মতো বড় বড় অপরাধে। এটা সত্যি আমাদের মাথাব্যথার কারণ ৷"
আরও পড়ুন:ব্রিটিশ আমলে বাজেয়াপ্ত সোনার হরিণের হদিশ মিলল লালবাজারের মালখানায়
কসবার নানটি থেকে শুরু করে মুন্না পান্ডে বা বড়বাজারের গোপাল তিওয়ারি থেকে শুরু করে হরিদেবপুরের পায়রা বাপ্পা প্রত্যেকেই কলকাতা পুলিশের সোর্স হিসেবে কখনও না কখনও কাজ করেছে ৷ এদের মধ্যে একাধিক বর্তমানেও সোর্স হিসেবে কাজ করছে ৷ মূলত এলাকায় কোন দুষ্কৃতী নতুনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বা এলাকায় কোন অপরাধ সংঘটিত হলে সেই অপরাধের সঙ্গে কোন দুষ্কৃতী যুক্ত রয়েছে, তার খবর ওই এলাকারই অন্য গ্যাংস্টারদের থেকে পাওয়া যায়। আর এই গ্যাংস্টারই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে কাজ করে ৷ তারাই গোপন খবরাখবর সরবরাহ করে ৷ আর এর মাধ্যমেই মূলত কাজ করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।