কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: আনন্দপুরের (Kolkata police probing anandapur arrest case) গুলশন কলোনি থাকে বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া 21 জনের মধ্যে অন্যতম মহম্মদ মাহফুজুর । লখনউ পুলিশের (Lucknow police) এটিএস বা অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াডের গোয়েন্দারা মাহফুজুরকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে লখনউ পাড়ি দেবে । গত রবিবার কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা এবং লখনউ পুলিশের এটিএস গোয়েন্দারা মিলে যৌথ অভিযান চালায় ৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে আনসারুল্লাহ বা জামাত-উল-মুজাহিদিন বা জেএমবি-র মতো বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের (Bangladesh terrorist organisation) যোগ থাকলেও থাকতে পারে ।
ইতিমধ্যেই মাহফুজুরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল অস্ত্র সরবরাহ । বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের সদস্যরা ভারত-সহ বেশ কিছু দেশে নিজেদের স্লিপার সেল মজবুত করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে খবর ৷ ফলে ধৃত মাহফুজুরের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের যোগ থাকলেও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: Bansdroni murder case: বাঁশদ্রোণীতে পরকীয়া লুকোতে প্রেমিককে দিয়ে ভাসুরকে খুন করায় যুবতী
যদিও এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের (Kolkata police news) সদর দফতর লালবাজারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু লখনউ পুলিশ ইতিমধ্যেই ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়েছে, ফলে পরবর্তীকালে প্রয়োজনে মাহফুজুরকে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারাও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন ।
রবিবার লখনউ পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড এবং কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশন কলোনিতে তল্লাশি চালিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে মোট 21 জনকে আটক করে । তাদের মধ্যে অন্যতম মাহফুজুর । প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, মাহফুজুরের হাত ধরেই একাধিক সময়ে কলকাতা-সহ এদেশে বেআইনিভাবে ঢুকেছে একাধিক বাংলাদেশি । তারা এখন কোথায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে, তা নিয়েই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ।
আরও পড়ুন: Bangladeshi Terrorist Arrested : চেন্নাইয়ে মন্দিরে বিস্ফোরণের ছক, ঘোজাডাঙা থেকে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গি