কলকাতা, 11 নভেম্বর: শীত পড়লেই বায়ুদুষণে নাজেহাল হন দিল্লিবাসী ৷ ধোঁয়াশায় ঢেকে ফেলে দিল্লির আকাশ। দূষণ রুখতে কালঘাট ছুটে যায় প্রশাসনের ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্ধ রাখতে হয় স্কুল, কলেজ থেকে অফিস ও আদালত। কলকাতাও যে নিরাপদে তা বলা যাচ্ছে না ৷ শীত পড়তেই বাতাস দূষণ বাড়ছে। বাতাসে যে পরিমাণ ধূলিকণা, কার্বনকণা ও গ্যাসের পরিস্থিতি কয়েকগুণ বেশি বেড়ে যাচ্ছে (kolkata municipality will buy water sprinkler cars)। আর এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যা বড় ঢাল ছিল সেই সবুজ বা গাছগাছালি সংখ্যা কমছে কলকাতায়। ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। তাই শীতের শুরু থেকে মাঠে নামতে চাইছে কলকাতা কর্পোরেশন যাতে দিল্লির ভয়ঙ্কর পরিণতি না হয় কলকাতায়। কলকাতা পৌরনিগম সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে 20টি ওয়াটার স্প্রিঙ্কলা গাড়ি। এই গাড়িগুলি কিনবে পৌরনিগমের জঞ্জাল সাফাই বিভাগ। যার প্রত্যেকটির আনুমানিক মূল্য প্রায় 20 লক্ষ টাকা।
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, চলতি মাসে সম্প্রতি মেয়র পরিষদ বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের সিলমোহর পড়েছে। পৌরসভার মাসিক অধিবেশনে বিষয়টি অনুমোদন করা হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন বড় বড় রাস্তায় যেমন এজেসি বোস রোড, এপিসি রায় রোড, সেন্ট্রাল এভিনিউ, গণেশ চন্দ্র এভিনিউ, সর্দান এভিনিউ, ই এম বাইপাস, আশুতোষ মুর্খার্জী রোড, গড়িয়াহাট রোডে এই স্প্রিঙ্কলার দিয়ে জল ছেটানো হবে ৷ যাতে বাতাসে ধুলিকণার পরিমাণ কম হয়। এক একটি গাড়ির জলধারণ ক্ষমতা 10 কিলো লিটার। প্রতিদিন নিয়ম করে কলকাতার রাস্তাগুলোতে এই গাড়ির মাধ্যমে জল ছেটানো হবে। দরকারে পরিস্থিতি বুঝে দিন দুই বার ছেটানো হবে জল। মাসিক অধিবেশনে অনুমতি মিললেই ওয়ার্ক-অর্ডার করা হবে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তেও দিল্লিতে দূষণের মাত্রা 'গুরুতর'
এই প্রসঙ্গেই পৌরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মেয়র পরিষদে অনুমোদন মিলেছে। এবার মাসিক অধিবেশনে অনুমোদন হলেই আমরা প্রক্রিয়া শুরু করব। ইতিমধ্যে এমন বেশ কয়েকটি গাড়ি আছে । তবে তার মধ্যে অনেকগুলো খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাপমাত্রা কমলে বাতাস যত শুষ্ক হবে ততই ধুলিকণার পরিমাণ বাড়বে। আর শুরু থেকে খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বাতাসের মান ভালো রাখা সম্ভব।’’