কলকাতা, 29 মে: জুনের প্রথম থেকে কলকাতা কর্পোরেশন সন্তানসম্ভবাদের হেপাটাইটিস বি ও সি পরীক্ষা শুরু করছে আর্বান প্রাইমারি হেলথ ইউনিটে। প্রাথমিকভাবে এই প্রক্রিয়া এখন চলবে সন্তানসম্ভবাদের জন্যে। পরে তা সকলের জন্যই হবে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল কর্পোরেশনের 7 নম্বর বরো এলাকার 5টি ওয়ার্ডকে। ওয়ার্ডগুলিতে কেমন কাজ হচ্ছে, কী ভুল ত্রুটি থাকছে, আর কী প্রয়োজন; সবটা পর্যালোচনা হয়েছে। এরপর সিদ্ধান্ত হয়েছে, 141টি ওয়ার্ডে আর্বান প্রাইমারি হেলথ্ ইউনিটে এই স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে।
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতাজুড়ে হেপাটাইটিস বি ও সি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল ইতিপূর্বেই। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে 7 নম্বর বরো এলাকার 57, 58, 59 এবং 65, 66 এই ওয়ার্ড গুলো থেকে 11 থেকে 12 হাজার রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন বয়সিদের থেকে। এদের মধ্যে 1.09 শতাংশ হেপাটাইটিস বি এবং 0.23 শতাংশ হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত পাওয়া যায়। এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক জানান, রাজ্য সরকার ভবিষ্যতে এই রোগকে 'নোটিফায়াবল ডিজিজ' বলে চিহ্নিত করতে পারে। তখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে তা বাধ্যতামূলকভাবে সরকারকে জানতে হবে।
আরও পড়ুন: বকেয়া সম্পত্তি কর বাবদ একলপ্তে 43 কোটি টাকা আদায় পৌরনিগমের
2030 মধ্যে এই রোগ নির্মূল করতে হবে। এখন তাই সন্তানসম্ভবাদের স্ক্রিনিং হবে। পরবর্তীতে এই পরিষেবা সর্বসাধরণ পাবে। কলকাতা কর্পোরেশনের স্ক্রিনিং চলাকালীন রোগ চিহ্নিত করা গেলে সেই রোগীকে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে। উল্লেখ্য, এই রোগ প্রথমদিকে সেই অর্থে উপসর্গ দেখা যায় না। পরবর্তী সময় অনেক রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। প্রাণহানি ঘটার ঝুঁকি পর্যন্ত তৈরি হয়। রাজ্যে জনসংখ্যার মধ্যে 1 শতাংশ হেপাটাইটিস বি এবং 0.03 থেকে 0.05 শতাংশ রোগী হেপাটাইটিস সি'তে আক্রান্ত। সরকারের কাছে এই রোগের তথ্য ভাণ্ডার নেই। থাকলে নানা পরিকল্পনা সম্ভব। তাই নোটিফায়েবল ডিজিজ বলে চিহ্নিত করা হবে যাতে নির্দিষ্ট তথ্য থাকে।