ETV Bharat / state

KMC on E-Waste: বৈদ্যুতিন জঞ্জাল নিয়ে নয়া পদক্ষেপ কর্পোরেশনের, প্রতি বরোতে হচ্ছে কালেকশন সেন্টার - জঞ্জাল পৃথকীকণের কাজ

বিশ্বে বৈদ্যুতিন জঞ্জাল (Electronic Waste) উৎপাদনে ভারত তৃতীয় স্থানে। আর দেশের মধ্যে বৈদ্যুতিন জঞ্জাল বা ই-ওয়েস্ট উৎপাদনে মেট্রোপলিটন শহরগুলির শীর্ষে। যার অন্যতম অবশ্যই কলকাতা। পরিবেশ রক্ষায় শহরে শুরু হয়েঠে উৎস থেকে জঞ্জাল পৃথকীকণের কাজ। তবে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে সাধারণ জঞ্জাল নয় বৈদ্যুতিন জঞ্জাল। কারণ সেই ই-ওয়েস্ট পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই ই-ওয়েস্ট ব্যাবস্থাপনা নিয়ে নয়া ভাবনার কথা জানাল কলকাতা কর্পোরেশন।

KMC
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Feb 5, 2023, 5:22 PM IST

বৈদ্যুতিন জঞ্জাল নিয়ে নয়া পদক্ষেপ কর্পোরেশনের

কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি: শহর কলকাতাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ও প্লাস্টিক থেকে দূষণ লাঘব করতে ইতিমধ্যেই কলকাতা কর্পোরেশনের (Kolkata Municipal Corporation) জঞ্জাল সাফাই বিভাগ শহরজুড়ে শুরু করেছে উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীরণের কাজ। তৈরি হয়েছে শুধু কম্প্যাক্টার স্টেশন। জঞ্জালের গাড়ি নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে ঘুরছেন পৌর কর্মীরা। পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করে ফেলার জন্য প্রতি ঘরে ঘরে দেওয়া হয়েছে নীল ও সবুজ বালতি। চলছে সচেতন করার কাজ। এই উদ্যোগের ফলে অনেকটাই স্বচ্ছ হয়েছে মহানগর। তবে জঞ্জাল সাফাই জোর দিলেও আধুনিক সময় ইলেকট্রিক যুগে শহরেই বেড়ে উঠছে আরেক জঞ্জাল। যার পোশাকি নাম ই-ওয়েস্ট। মোবাইল, ঘড়ি, থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা টিভি ফ্রিজ, প্রিন্টার-সহ ইলেকট্রনিক্স জিনিসের জঞ্জাল। আইটি উপদেষ্টা ও মেয়র পরিষদ সদস্য এ নিয়ে জানান, উৎস থেকে এবার ই-ওয়েস্ট সংগ্রহ হবে। তাই প্রতি বরোতে তৈরি হবে ই-ওয়েস্ট কালেকশন সেন্টার। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাথি নন্দী চক্রবর্তী।

সচেতনতার অভাবে দেখা যায় মানুষজন এমন অনেক ই-ওয়েস্ট সাধারণ জনজালের সঙ্গেই ফেলছে। পাশাপশি বর্তমান সময় লাফিয়ে বেড়েছে
ইলেকট্রনিক্স গেজেটের ব্যবহার। এই ই-ওয়েস্ট ব্যাবস্থাপনা একমাত্র রয়েছে ধাপায়। তবে শহরে ক্রমবর্ধমান ই-ওয়েস্ট ব্যাবস্থাপনা করত সেই পারিকাঠামো অপ্রতুল। তাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে এবার প্রায় উৎস থেকে সংগ্রহ হবে ই-ওয়েস্ট। কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে 2010 সালে 2.5 মিলিয়ন টন পরিমাণে ই-ওয়েস্ট উৎপন্ন হত।

গত দশ বছরে সেই সংখ্যাটা বেড়ে 3.5 মিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু প্রচুর পরিকাঠামো তাই মোট উৎপাদনের মাত্র 8 থেকে 10 শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য গড়ে তোলার কাজ হয়। বহু জায়গায় লক্ষ্য করা যায় অবৈজ্ঞানিকভাবে ই-ওয়েস্ট পুড়িয়ে নষ্ট করা হচ্ছে। যার ফলে পরিবেশের দূষণ হয় মারাত্মকভাবে। ধাপায় এই ই-ওয়েস্ট ডিসপোজাল সেন্টারের পাশাপাশি কলকাতা কর্পোরেশনের ডেপুটি ম্যানেজার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার র‌্যাংকের আধিকারিকদের এই ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের দেখভালের দায়িত্বে রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে কলকাতা পৌরনিগমের নিজস্ব ঠিকা সেল

পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাথী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, "ব্যাঙ্গালুরু শহরে এমন মাইক্রো লেবেলে ই-ওয়েস্ট কালেকশন হয়ে থাকে। কলকাতায় এই পদক্ষেপ খুবই জরুরি। যে মাত্রায় দূষণ ছড়ায় তাতে মানব শরীরে নানা ক্ষতিকর প্রভাব পরে। এর ভিতরে যে সমস্ত ধাতু, মৌল বা জিনিস থাকে সেগুলো বিশেষ করে ত্বক এবং চোখের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর। তাই কলকাতা এটা হলে ভালোই হবে। এই ই-ওয়েস্ট থেকে বহু জিনিস পুনর্ব্যবহার করা যায় সেদিকেও নজর দিতে হবে।" কলকাতা কর্পোরেশনের আইটি উপদেষ্টা ও মেয়র পরিষদ সদস্য সন্দীপন সাহা বলেন, "কলকাতায় 16টি বরো অফিস রয়েছে ৷ প্রত্যেকটি বরো অফিসে এই ওয়েস্ট কালেকশন সেন্টার করা হবে। যাতে শহরবাসী বাড়ির কাছে এই ই-ওয়েস্ট ফেলে আসতে পারেন। ই-ওয়েস্ট রিসাইকেল করার উপযুক্ত সংস্থা খুঁজছে কলকাতা কর্পোরেশন।

বৈদ্যুতিন জঞ্জাল নিয়ে নয়া পদক্ষেপ কর্পোরেশনের

কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি: শহর কলকাতাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ও প্লাস্টিক থেকে দূষণ লাঘব করতে ইতিমধ্যেই কলকাতা কর্পোরেশনের (Kolkata Municipal Corporation) জঞ্জাল সাফাই বিভাগ শহরজুড়ে শুরু করেছে উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীরণের কাজ। তৈরি হয়েছে শুধু কম্প্যাক্টার স্টেশন। জঞ্জালের গাড়ি নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে ঘুরছেন পৌর কর্মীরা। পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করে ফেলার জন্য প্রতি ঘরে ঘরে দেওয়া হয়েছে নীল ও সবুজ বালতি। চলছে সচেতন করার কাজ। এই উদ্যোগের ফলে অনেকটাই স্বচ্ছ হয়েছে মহানগর। তবে জঞ্জাল সাফাই জোর দিলেও আধুনিক সময় ইলেকট্রিক যুগে শহরেই বেড়ে উঠছে আরেক জঞ্জাল। যার পোশাকি নাম ই-ওয়েস্ট। মোবাইল, ঘড়ি, থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা টিভি ফ্রিজ, প্রিন্টার-সহ ইলেকট্রনিক্স জিনিসের জঞ্জাল। আইটি উপদেষ্টা ও মেয়র পরিষদ সদস্য এ নিয়ে জানান, উৎস থেকে এবার ই-ওয়েস্ট সংগ্রহ হবে। তাই প্রতি বরোতে তৈরি হবে ই-ওয়েস্ট কালেকশন সেন্টার। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাথি নন্দী চক্রবর্তী।

সচেতনতার অভাবে দেখা যায় মানুষজন এমন অনেক ই-ওয়েস্ট সাধারণ জনজালের সঙ্গেই ফেলছে। পাশাপশি বর্তমান সময় লাফিয়ে বেড়েছে
ইলেকট্রনিক্স গেজেটের ব্যবহার। এই ই-ওয়েস্ট ব্যাবস্থাপনা একমাত্র রয়েছে ধাপায়। তবে শহরে ক্রমবর্ধমান ই-ওয়েস্ট ব্যাবস্থাপনা করত সেই পারিকাঠামো অপ্রতুল। তাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে এবার প্রায় উৎস থেকে সংগ্রহ হবে ই-ওয়েস্ট। কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে 2010 সালে 2.5 মিলিয়ন টন পরিমাণে ই-ওয়েস্ট উৎপন্ন হত।

গত দশ বছরে সেই সংখ্যাটা বেড়ে 3.5 মিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু প্রচুর পরিকাঠামো তাই মোট উৎপাদনের মাত্র 8 থেকে 10 শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য গড়ে তোলার কাজ হয়। বহু জায়গায় লক্ষ্য করা যায় অবৈজ্ঞানিকভাবে ই-ওয়েস্ট পুড়িয়ে নষ্ট করা হচ্ছে। যার ফলে পরিবেশের দূষণ হয় মারাত্মকভাবে। ধাপায় এই ই-ওয়েস্ট ডিসপোজাল সেন্টারের পাশাপাশি কলকাতা কর্পোরেশনের ডেপুটি ম্যানেজার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার র‌্যাংকের আধিকারিকদের এই ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের দেখভালের দায়িত্বে রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে কলকাতা পৌরনিগমের নিজস্ব ঠিকা সেল

পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাথী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, "ব্যাঙ্গালুরু শহরে এমন মাইক্রো লেবেলে ই-ওয়েস্ট কালেকশন হয়ে থাকে। কলকাতায় এই পদক্ষেপ খুবই জরুরি। যে মাত্রায় দূষণ ছড়ায় তাতে মানব শরীরে নানা ক্ষতিকর প্রভাব পরে। এর ভিতরে যে সমস্ত ধাতু, মৌল বা জিনিস থাকে সেগুলো বিশেষ করে ত্বক এবং চোখের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর। তাই কলকাতা এটা হলে ভালোই হবে। এই ই-ওয়েস্ট থেকে বহু জিনিস পুনর্ব্যবহার করা যায় সেদিকেও নজর দিতে হবে।" কলকাতা কর্পোরেশনের আইটি উপদেষ্টা ও মেয়র পরিষদ সদস্য সন্দীপন সাহা বলেন, "কলকাতায় 16টি বরো অফিস রয়েছে ৷ প্রত্যেকটি বরো অফিসে এই ওয়েস্ট কালেকশন সেন্টার করা হবে। যাতে শহরবাসী বাড়ির কাছে এই ই-ওয়েস্ট ফেলে আসতে পারেন। ই-ওয়েস্ট রিসাইকেল করার উপযুক্ত সংস্থা খুঁজছে কলকাতা কর্পোরেশন।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.