কলকাতা, 8 অগস্ট: চলতি বছরে জুলাই ও এই মাসে পর পর নোটিশ দেওয়ার পরেও হুঁশ ফেরেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার । উলটোডাঙ্গা মুচিবাজারে সংস্থার জমি যেন মৃত্যুপুরী । জঙ্গল আগাছায় ভরতি ৷ যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ভাঙা গাড়ি থেকে টায়ার । জল জমে হয়েছে মশার লার্ভা । ভিতরে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা । তবু কোনও হেলদল নেই । আর এই পরিস্থিতি খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে দেখে রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ তাঁর । কেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে বারে বারে বলেও নিজের জায়গা পরিষ্কার করছে না, প্রশ্ন তুললেন তিনি । পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিলেন, নোটিশে কাজ না হলে আদালতে যেতে বাধ্য হবে কলকাতা পৌরনিগম ।
তিনি বলেন, "এখানে আইনত আমাদের ঢোকার অধিকার নেই । কোল ইন্ডিয়া নিজের জায়গা পরিষ্কার রাখতে পারছে না । ভাঙা গাড়ি, পরিত্যক্ত টায়ার পরে রয়েছে । কলকাতার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার ? শুধু কলকাতা কর্পোরেশনের । কিছু হয়ে গেলেই কর্পোরেশন আর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হইহই ।" কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলি যারা সাহায্য করছে ৷ ডেঙ্গি মশা উৎপাদন করছে, তাদের কী হবে? এই প্রশ্ন তুলে ফিরহাদ বিজেপিকে একহাত নেন ।
জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় নোটিশে 7 দিন সময় দেওয়া হয়েছে । তারপরেই কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কোর্টের দ্বারস্থ হবে পৌরনিগম । পাশের বিএসএনএল একটি জমির অবস্থাও একই রকম । সেখানে সকাল থেকে কলকাতা পৌরনিগম কয়েক গাড়ি বোঝাই করা আবর্জনা বের করেছে । এ দিন পরিস্থিতি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কলকাতার মেয়র ।
তিনি বলেন , " মশার নাম শুনে পৌরনিগম ঘেরাও করেছিলে, কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছ একবারও ? নিজেরে আচারি ধর্ম পরকে শেখাও । নিজের জায়গাগুলি পরিষ্কার হচ্ছে না কেন? কেন্দ্রীয় সরকার জবাব দাও, মোদি সরকার জবাব দাও, বলার সাহস আছে তোমার? কান মলা দিয়ে দেবে । টালিগঞ্জে কেন্দ্রীয় সরকারের আবাসন উপর দিয়ে নোংরা ফেলছে । গতবার সব থেকে বেশি ডেঙ্গি ধরা পড়েছিল সেখানে । শুধু গালিগালাজ দেবে আর নিজেরা নিজের দায়িত্ব পালন করবে না ৷ এটা হতে পারে না । "
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ে কড়া পৌরনিগম, তিন কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করবেন ফিরহাদরা
কলকাতার মেয়র বলেন, "আমি আবার অনুরোধ করছি ৷ নিজেদের জায়গাগুলি পরিষ্কার রাখুন । রেলের অনেক জায়গা এরকম রয়েছে । বন্দরের প্রচুর জায়গায় এইরকম অবস্থায় আছে । এখানে দু'বার নোটিশ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু আমি কী করব, ওদের ঔদ্ধত্য মনোভব । কেন্দ্রীয় সরকার হাতে ইডি আছে ৷ সিবিআই আছে ৷ টাইট দিয়ে দেবে । মানুষের জন্য এটা ঠিক নয় । আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব । দয়া করে আপনারা নির্দেশ দিন ৷ কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে সাহায্য করুন । অন্য জায়গায় শহর পরিষ্কার করলে সম্পত্তি করের সঙ্গে যুক্ত করা হয় । এখানে তো সেটা নেই ।"