ETV Bharat / state

রোমানীয় গ‍্যাং ATM-তথ্য বিক্রি করেছে ডার্ক ওয়েবে ?

author img

By

Published : Dec 13, 2019, 4:55 AM IST

রোমানীয় গ‍্যাংয়ের পান্ডা সিলভিউ এই ওয়েব ব্যবহারে রীতিমতো চোস্ত । ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে সে কিনেছে বিটকয়েন । সেভাবেই সে নিজের দেশে পাঠিয়েছে টাকা ।

atm
atm

কলকাতা, ১৩ ডিসেম্বর : সাধারণ মানুষের জন্য বিপদ সংকেত । শুধু ATM স্কিমিং করে টাকা তুলে নেওয়াই নয় রোমানীয় গ‍্যাংয়ের কিংপিন সিলভিউ ফ্লোরিন স্পিরিডনকে জেরা করে পাওয়া গেছে আরও অনেক তথ্য । সেই তথ্য চিন্তায় ফেলেছে গোয়েন্দাদের । সিলভিউ নাকি ডার্ক ওয়েবে ইতিমধ্যেই বিক্রি করেছে বহু ভারতীয়র ATM কার্ডের গোপন তথ্য । যে কোনও সময় পরপর তুলে নেওয়া হতে পারে টাকা । লালবাজারের আশঙ্কা অনেকটা সেরকমই ।

  • কী এই ডার্ক ওয়েব?

এক কথায় বললে ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়া । যে দুনিয়া সাদা চোখে দেখা যায় না । মূলত 'টোর ব্রাউজারের' মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের এক বিশেষ ব্যবস্থা । এই ব্রাউজ়ার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাড্রেস (IP) সেভ করে রাখে না। একবার এই ব্রাউজ়ার থেকে বেরিয়ে গেলে ব্যবহারকারীর পরিচয় বের করা প্রায় অসম্ভব । ডার্ক ওয়েবের শেষ কথা গোপনীয়তা । আর তাই জঙ্গি তথ্য আদান প্রদান থেকে শুরু করে মাদক পাচার , সবই হয় ডার্ক ওয়েবে। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে বেআইনিভাবে বহু জিনিসপত্র বিক্রি হয় । আর এটাকেই হাতিয়ার করছে সাইবার প্রতারণার কুচক্রীরা । রোমানীয় গ‍্যাংয়ের পান্ডা সিলভিউ এই ওয়েব ব্যবহারে রীতিমতো চোস্ত । ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে সে কিনেছে বিটকয়েন । সেভাবেই সে নিজের দেশে পাঠিয়েছে টাকা ।

  • এর থেকে বাঁচার উপায় কি?

কলকাতার গোয়েন্দাপ্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, " আগেই বলেছিলাম দ্রুত পাল্টে নিতে হবে ATM-র পিন । আগে যে ATM কার্ডগুলির স্কিমিং করা হয়েছিল, সেগুলির পিন পাল্টে নেওয়া হলে সমস্যা থাকবে না । তা না করলে বাড়তে পারে বিপদ।"

দেখুন ভিডিয়ো...

কলকাতা, ১৩ ডিসেম্বর : সাধারণ মানুষের জন্য বিপদ সংকেত । শুধু ATM স্কিমিং করে টাকা তুলে নেওয়াই নয় রোমানীয় গ‍্যাংয়ের কিংপিন সিলভিউ ফ্লোরিন স্পিরিডনকে জেরা করে পাওয়া গেছে আরও অনেক তথ্য । সেই তথ্য চিন্তায় ফেলেছে গোয়েন্দাদের । সিলভিউ নাকি ডার্ক ওয়েবে ইতিমধ্যেই বিক্রি করেছে বহু ভারতীয়র ATM কার্ডের গোপন তথ্য । যে কোনও সময় পরপর তুলে নেওয়া হতে পারে টাকা । লালবাজারের আশঙ্কা অনেকটা সেরকমই ।

  • কী এই ডার্ক ওয়েব?

এক কথায় বললে ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়া । যে দুনিয়া সাদা চোখে দেখা যায় না । মূলত 'টোর ব্রাউজারের' মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের এক বিশেষ ব্যবস্থা । এই ব্রাউজ়ার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাড্রেস (IP) সেভ করে রাখে না। একবার এই ব্রাউজ়ার থেকে বেরিয়ে গেলে ব্যবহারকারীর পরিচয় বের করা প্রায় অসম্ভব । ডার্ক ওয়েবের শেষ কথা গোপনীয়তা । আর তাই জঙ্গি তথ্য আদান প্রদান থেকে শুরু করে মাদক পাচার , সবই হয় ডার্ক ওয়েবে। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে বেআইনিভাবে বহু জিনিসপত্র বিক্রি হয় । আর এটাকেই হাতিয়ার করছে সাইবার প্রতারণার কুচক্রীরা । রোমানীয় গ‍্যাংয়ের পান্ডা সিলভিউ এই ওয়েব ব্যবহারে রীতিমতো চোস্ত । ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে সে কিনেছে বিটকয়েন । সেভাবেই সে নিজের দেশে পাঠিয়েছে টাকা ।

  • এর থেকে বাঁচার উপায় কি?

কলকাতার গোয়েন্দাপ্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, " আগেই বলেছিলাম দ্রুত পাল্টে নিতে হবে ATM-র পিন । আগে যে ATM কার্ডগুলির স্কিমিং করা হয়েছিল, সেগুলির পিন পাল্টে নেওয়া হলে সমস্যা থাকবে না । তা না করলে বাড়তে পারে বিপদ।"

দেখুন ভিডিয়ো...
Intro:কলকাতা, 12 ডিসেম্বর: আমজনতার জন্য রীতিমতো বিপদের গন্ধ! শুধু এটিএম স্কিমিং করে টাকা তুলে নেওয়াই নয়। রোমানীয় গ‍্যাংয়ের কিংপিন সিলভিউ ফ্লোরিন স্পিরিডনকে জেরা করে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা কপালে ভাঁজ ফেলেছে গোয়েন্দাদের। সিলভিউ ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করে দিয়েছে বহু ভারতীয়র এটিএম কার্ডের গোপন তথ্য। ফলে এই গ‍্যাংয়ের পান্ডা ধরা পড়ার পরেও সুরক্ষিত নয় আপনার অ্যাকাউন্ট। যেকোনো সময় আবার পরপর তুলে নেওয়া হতে পারে টাকা। লালবাজারের আশঙ্কা অনেকটা সেরকমই।



Body:কি এই ডার্ক ওয়েব?

এক কথায় বললে ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়া। যে দুনিয়া সাদা চোখে দেখা যায় না। মূলত “টর ব্রাউজারের" মাধ্যমে নেট ব্যবহারের এক বিশেষ ব্যবস্থা। এই ব্রাউজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস(IP) সেভ করে রাখে না। হলে একবার এই ব্রাউজার থেকে বেরিয়ে গেলে ব্যবহারকারীর পরিচয় বের করা প্রায় অসম্ভব। ডার্ক ওয়েবের শেষ কথা গোপনীয়তা। আর তাই জঙ্গি তথ্য আদান প্রদান থেকে শুরু করে মাদক পাচার, সবই হয় ডার্ক ওয়েবে। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে বেআইনিভাবে বহু জিনিসপত্র বিক্রি হয়। আর এটাকেই হাতিয়ার করছে সাইবার প্রতারণার কুচক্রীরা। রোমানীয় গ‍্যাংয়ের পান্ডা সিলভিউ এই ওয়েব ব্যবহারে রীতিমতো চোস্ত। ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে সে কিনেছে বিটকয়েন। সেভাবেই সে নিজের দেশে পাঠিয়েছে টাকা।


Conclusion:গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয় তখনই। তারপর রীতিমতো চেপে ধরা হয় ওই রোমানিয়কে। তারপরেই সে খুলে বলেছে সবটা। জানিয়েছে তার কাছে থাকা এটিএমের অনেক তথ্যই ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছে অন্য কোন ব্যক্তিকে। চড়া দামে বিক্রি হয়েছে সেই সব তথ্য। আর এখানেই কপালে ভাঁজ পড়েছে গোয়েন্দাদের। কারণ তার চক্রের অন্যরা এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। তারা এটিএম থেকে টাকা তোলা বন্ধ করে দিয়েছে। মূলত প্রতারণা করতে এদেশে আসা রোমানিয়রা চাইবেই যে কোন উপায়ে রোজগার করতে। তাই তারাও হাতে থাকা সব তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে গোয়েন্দাদের সমস‍্যা বিস্তর। ডার্ক ওয়েবের গোপনীয়তার কারণেই কাকে বিক্রি করা হয়েছে সেই তথ্য তা জানার উপায় নেই। ফলে আবার যেকোনো মুহূর্তে শুরু হতে পারে টাকা তুলে নেওয়ার খেলা।

এর থেকে বাঁচার উপায় কি?

কলকাতার গোয়েন্দাপ্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, “ আগেই বলেছিলাম দ্রুত পাল্টে নিতে হবে ATM এর পিন। আগে যেসব কাজগুলি স্কিমিং করা হয়েছিল, সেগুলির পিন পাল্টে নেওয়া হলে সমস্যা থাকবে না। তা না করলে বাড়তে পারে বিপদ।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.