কলকাতা, 22 অগস্ট : করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে ৷ তার আগেই অবশ্য কলকাতা পৌগনিগমের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যালেরিয়া ৷ বর্ষায় শহরে বাড়তে থাকা ম্যালেরিয়ার প্রকোপে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পৌরনিগমের আধিকারিকদের ৷ গত তিন মাসে শহরে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 2600 । এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পৌরনিগম ।
কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এ বিষয়ে ৷ তিনি বলেন, "অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা । যদিও এটা সন্তুষ্ট হওয়ার বিষয় নয় । মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে । শহরের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে । কোথাও গাড়ির টায়ারে, রাস্তায় পড়ে থাকা আর্বজনায়, কারও রেফ্রিজারেটরের নিচে জল জমছে । কেউ কেউ বাড়ি বন্ধ করে দিয়ে অন্য কোথাও রয়েছেন ৷ সেই ফাঁকা বাড়িতে জল জমে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে ।"
তিনি বলেছেন, "কলকাতা পৌর নিগমের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করছেন । কিন্তু সম্পূর্ণভাবে শহরে মশা বাহিত রোগের প্রকোপ শূন্য করতে হবে ।" ঠিক কী কারণে বর্ষার জল জমছে সেটা খতিয়ে দেখতে বলেছেন নিকাশি বিভাগের পৌর আধিকারিককে । সেই সঙ্গে বড় বড় বাজারগুলির নির্মাতা সংস্থা কেন কোনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি আর কেনই বা বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকার কারণে কলকাতা পৌরনিগমকে জানানো হয়নি তার জন্য নির্মাতা সংস্থাকে তলব করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন : Malaria in Kolkata : করোনা তৃতীয় টেউয়ের আশঙ্কার মাঝে শহরে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ
কলকাতার বর্ণপরিচয় বাজারে জল জমে মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে । মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম অবিলম্বে এই বাজার পরিদর্শনের নির্দেশ দেন কলকাতা পৌরনিগমের মার্কেট বিভাগের আধিকারিকদের । সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের নিয়ে যৌথ পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছেন । বর্ণপরিচয় বাজারে কি কারণে জল জমে রয়েছে, নিকাশে কি সমস্যা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য বলেছেন তিনি । শহরের বুকে এত বড় একটি বাজারে এইভাবে জল জমে থাকা কখনওই কাঙ্খিত নয় বলে জানান তিনি । সেই সঙ্গে এই বাজারে কীটনাশক ওষুধ স্প্রে করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের ।
যদিও এই বিষয়ে কলকাতা পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, "অন্যান্য বছরের তুলনায় ম্যালেরিয়া এখনও আতঙ্কের জায়গায় পৌঁছায়নি । উদ্বেগ করার কারণ নেই । পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে ৷ এখন তা নিয়ন্ত্রণে ৷"