কলকাতা, 9 ডিসেম্বর: নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হলেও জায়গা ছাড়েনি রক্সি সিনেমা হলের (Roxy Cinema Hall) নীচে থাকা দোকানগুলি ৷ যার জেরে পুলিশি সাহায্য চেয়ে চিঠি কলকাতা কর্পোরেশনের (KMC Letter to Police) ৷
রক্সি সিনেমা হল বহু লড়াইয়ের পর হাতে এসেছে কলকাতা কর্পোরেশনের (Kolkata Municipal Corporation)। কলকাতা কর্পোরেশনের এই সম্পত্তির এক সময় লিজ দেওয়া হত। তবে পরবর্তীকালে অনেক লিজপ্রাপক পুরো শর্ত মানেনি । এরপর আদালতে দীর্ঘ লড়াই করে রক্সি সিনেমা হল দখল আসে ফের কর্পোরেশনের হাতে । ভিতরে যে সমস্ত অফিস, সিনেমা হল বা পানশালা ছিল সেগুলি বন্ধ করে ফাঁকা করে দেওয়া হয়।
কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষীর কাজে নিযুক্ত করা হয় কলকাতা কর্পোরেশনেই । নীচে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে যেগুলিকে শর্তসাপেক্ষে ব্যবসা করার কথা বলা হলেও দীর্ঘদিন তাঁরা শর্ত মানেনি বলেই অভিযোগ উঠছে । এর পরবর্তী সময় আদালত নির্দেশ দেয় চলতি বছরেই দোকানগুলির জায়গা ফাঁকা করে দিতে ।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে শুরু শিশুদের টিকাকরণ, প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাব ভাবাচ্ছে কলকাতা পৌরনিগমকে
সাত দিনের মধ্যে তার বাস্তবায়নের কথা থাকলেও, নির্দেশ অমান্য করে এখনও পর্যন্ত দোকানদাররা তাঁদের ব্যবসা রমরমিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ৷ তাই শুক্রবার কলকাতা কর্পোরেশনের বিশেষ কমিশনার সোমনাথ দে নিউ মার্কেট থানায় একটি চিঠি দেন। তাতে আদালতের নির্দেশিকা উল্লেখ করা রয়েছে। এছাড়াও নিউমার্কেট থানা থেকে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হয় তারও দাবি করা হয় ৷
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালের মধ্য়ে পুলিশের সাহায্যে এই দোকানগুলিকে খালি করে ফেলা হবে। কর্পোরেশন তার নিজের জায়গা দখল মুক্ত করবে। এপ্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগের কাজ বেড়েছে ৷ নথিপত্র থেকে শুরু করে লোকজন বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার প্রয়োজন । যার জন্য বেশ কিছু বছর আগেই রক্সি সিনেমা হল নিজেদের দখলে নেওয়া হয় ।
তিনি আরও জানান, কিন্তু নীচের দোকানগুলিকে ফাঁকা করতে বলা হলেও সেই নির্দেশ তারা পালন করেনি । চলতি বছরে মাস দুই আগে একটি নির্দেশ জারি হয়, যাতে দোকানদারদের বলা হয় জায়গা খালি করে দিতে । তবে সেই নির্দেশ অমান্য করে তাঁরা দেদার ব্যবসা চালিয়ে যান । তাই আর সময় দেওয়া যাবে না । এইবারে কলকাতা কর্পোরেশন তাদের প্রয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে । দোকানগুলির দখল নেওয়া হবে । তার জন্যই পুলিশের সাহায্য চেয়ে থানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই সারা কলকাতায় চালু হচ্ছে উৎস থেকে জঞ্জাল পৃথকীকরণের কাজ