কলকাতা, 6 মে: ঝড়-জলের দিনগুলোয় এমনিতেই কলকাতা কর্পোরেশনের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় শহরের শতাব্দীপ্রাচীন বিপজ্জনক বাড়ি। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে বাড়তি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ত্রিফলা ও সাধারণ আলোকস্তম্ভ গুলো। বৃষ্টিতে ভিজলে কলকাতার অলিগলি থেকে বড় রাস্তার ধারে সার দিয়ে থাকা বহু বাতিস্তম্ভ খোলা, বিপজ্জনক হয়ে থাকে। ফলে অসতর্কতাবশত কেউ সেই বাতিস্তম্ভের সংস্পর্শে এলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হয়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এবার সময় থাকতেই মাঠে নামল কলকাতা কর্পোরেশনের আলোক বিভাগ।
উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার নানা প্রান্তে বিশেষত ঘিঞ্জি বস্তি এলাকা বা বাজারের মতো জনবহুল এলাকায় বাতিস্তম্ভ সুরক্ষিত করার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিবার বর্ষার আগে ত্রিফলা আলো বা সাধারণ আলোকস্তম্ভ গুলোয় বিদ্যুৎ সংযোগের খোলা অংশে শুধু সেলোটেপ জড়িয়ে রেখে দেওয়া হয়। ফলে অধিকাংশ জায়গায় কড়া রোদ ও জলে সেই সেলোটেপ দিনকয়েকের মধ্যেই নষ্ট হয়ে গিয়ে সেই আবার বিপজ্জনক অবস্থা ফিরে আসে। আবার সেলোটেপ দেওয়া থাকলে বহু জায়গায় অসাধু ব্যাক্তিরা সেই টেপ কেটে হুকিং করে বিদ্যুৎ ব্যয়ভার করে যা মরণফাঁদে পরিণত হয়। এমন লক্ষ্য করা গিয়েছে একবালপুর, চাঁদনী, রাজাবাজার, ট্যাংরা, তপসিয়া এলাকাগুলিতে।
আরও পড়ুন: বর্ষার আগে বিপজ্জনক বাড়ির অংশ ভাঙা শুরু করল কেএমসি
এই ধরনের সমস্ত সমস্যা এড়াতেই কলকাতা কর্পোরেশনের আলোক বিভাগের এহেন উদ্যোগ। তারা বাতিস্তম্ভগুলিকে ওয়েল্ডিং বা ঝালাই করা শুরু করেছে। যাতে দুর্ঘটনা এড়ানোর পাশাপাশি যথেচ্ছ বিদ্যুৎ চুরিও আটকানো যায়। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সংকটের জেরে নিয়ম মাফিক বাতিস্তম্ভ রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। আর তার অভাবেই সেগুলো বর্ষায় মরণফাঁদ তৈরি হয়। এই নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখেও পড়তে হয় পৌর বোর্ডকে। কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, এখন কলকাতায় কর্পোরেশনের আওতাধীন ত্রিফলা ও বিভিন্ন ধরনের আলোকস্তম্ভের সংখ্যা কমবেশি সাড়ে তিন লক্ষ। স্তম্ভ লাগোয়া খোলা তার ঢাকতে বিদ্যুৎ ও তাপ কুপরিবাহি ম্যাট দিয়ে ঢাকা হয়েছে সেগুলো।