কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: শহিদ মিনার ময়দান থেকে ডিএ আন্দোলনের আঁচ এবার কলকাতা কর্পোরেশনের অভ্যন্তরেও (mayor Firhad Hakim warns workers) । বেকেয়া ডিএ মেটানো-সহ আরও একাধিক দাবিতে কলকাতা কর্পোরেশনের কর্মচারীরা এবার দু’দিনব্যাপী অবস্থান বিক্ষোভের পথে যাচ্ছেন । আগামী 23 ও 24 ফেব্রুয়ারি এই দু’দিন তারা অবস্থানে শামিল হওয়ায় পৌর পরিষেবায় প্রভাব পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে । এই অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ প্রভাবিত কেএমসি ক্লার্কস ইউনিয়ন।
ডিএ ইস্যুতে যেন এবার সরকারের সঙ্গে সম্মুখ সংঘাতে কর্মীরা । ইতিমধ্যেই শহিদ মিনার ময়দানে টানা অনশন অবস্থান চলছে । চলছে কর্মবিরতিও । কর্মবিরতি ঠেকাতে সরকার নির্দেশিকা জারি করলেও তোয়াক্কা করেননি আন্দোলনকারীরা । উলটে ডিএ না-পেলে পঞ্চায়েত ভোটে কাজ করবে না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা । যদিও তারপর 3 শতাংশ ডিএ ঘোষণা করলেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি ।
এবার সেই আঁচ এসে পড়ল কলকাতা ছোট লাল বাড়িতে। কর্মীরা আগামী দু’দিন লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হবেন। শুধু ডিএ নয়, আছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মত স্বাস্থ্য বীমার দাবিও । গ্র্যাচুইটি, পেনশন দেওয়ার মত বেশ কিছু দাবিও করেছেন তাঁরা ৷ এছড়াও রয়েছে শূন্য পদে নিয়োগের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাহলে বিধায়করা কেন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাবেন না...প্রশ্ন আইনজীবী কল্যাণের
কাজে না-আসলে সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ কর্মবিরতি হবে না কাজ করতে হবে বলেও মেয়র উল্লেখ করেন। মেয়রের কথায়, বেতনের টাকা দেওয়া হয় মানুষের ট্যাক্সের টাকায় । তাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য। আমার কাছে যা আছে, তার মধ্যে থেকে মুখ্যমন্ত্রী দিয়ে দিচ্ছে । কর্পোরেশনের ক্ষেত্রেও হয় পরিষেবা দেবে নয় ছুটি নিতে হবে।
মেয়রের কথায় তোয়াক্কা না-করেই তাদের অবস্থানে অনড় বাম কর্মী ইউনিয়ন । কেএমসি ক্লার্কস ইউনিয়নের সম্পাদক অমিতাভ ভট্টাচার্য জানান, ছুটি নিয়েই সমস্ত কর্মী অবস্থানে যোগ দেবেন । প্রতি বছর মেয়র ভয় দেখায় । হুমকি দেওয়া ছাড়া কিছু করার নেই ওদের । আমরা গতবার অবস্থান করেছিলাম। ডেপুটি মেয়র ডেকে আলোচনা করেন । সব দাবির মান্যতা দিয়েও কিছু মেটেনি । এবার আর কোনও আলোচনা নয় । কর্মীদের হকের পাওনা মেটাতে হবে।