কলকাতা, 12 মার্চ: কলকাতার সিনেমাপাড়া বা থিয়েটারপাড়া আজ শুনশান । একে একে ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে সিঙ্গল স্ক্রিন । বন্ধ হয়েছে থিয়েটার হল । বেশ কিছু ইতিমধ্যে প্রোমোটিং গ্রাসে গিয়েছে । সেখানে মাথা তুলেছে বহুতল, শপিংমল । তবে অবাক কাণ্ড হল এই সব তথ্য নথিভুক্ত নেই কলকাতা কর্পোরেশনের বিনোদন কর বিভাগের কাছে । ফলে অস্তিত্বহীন, দীর্ঘ বছর বন্ধ হয়ে থাকা সিনেমাহল থেকে শুরু করে থিয়েটার হলের নামে বছর বছর তৈরি হচ্ছে বিনোদন কর বিল (KMC Claims Amusement Taxes for Cinema and Theatre Hall) ।
আর অংকের নিয়মে এই বকেয়ার পাহাড় জমছে ক্রমশ । এই বিরাট গলদ চোখে পড়েছে কর্তৃপক্ষের, তাই এবার সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা । চলতি সপ্তাহে কলকাতা কর্পোরেশনের বিভাগে জমা পড়বে সমীক্ষার বিস্তারিত রিপোর্ট । কর্পোরেশন সূত্রে খবর, জ্যোতি, নিউ এম্পেয়ার, এলিট, রক্সি, রিগালের ঝাঁপ একে একে বন্ধ হয়েছে । ওদিকে লাইট হাউস, মেট্রো থেকে শুরু করে সম্প্রতি মিত্রা সিনেমা হলেরও একই অবস্থা । উত্তরা, শ্রী, বিশ্বরূপাও ব্যতিক্রম নয় । এমনই লম্বা তালিকা রয়েছে নাট্যমঞ্চেরও। সারকারিনা, রঙমহল, রঙ্গনা, সম্প্রতি বিজন থিয়েটারও বন্ধের মুখে।
আরও পড়ুন: তৎপর কর্পোরেশন, রক্সি সিনেমার নীচে সিল করা হল 13টি দোকান
তবে দেওয়ালের গায়ে পাহাড় প্রমাণ বকেয়া বিনোদন করের চিঠি। জানা গিয়েছে, কম-বেশি 40টির বেশি সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমাহল যার মধ্যে অধিকাংশ বন্ধ। 10-15টি মতো নাট্যমঞ্চ বন্ধ। এর পরেও 'ব্যাড ডিমান্ড' নিয়মিত বিনোদন করের বিল তৈরি হচ্ছে । বন্ধ হলের তথ্য হাতে না-থাকতেই এমন গণ্ডগোল । কর্পোরেশনের এক আধিকারিকদের কথায়, "সিনেমাহল বা থিয়েটার হল বন্ধ হয়ে গেলেও মালিকপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয় না কর্পোরেশনকে । ফলে প্রতিবছর নিয়মিত বিল পাঠানো হয় । বকেয়া টাকা কীভাবে আদায় করা যায়, কতটা আদায় করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হবে সমীক্ষা রিপোর্ট নিয়ে । আসতে আসতে নতুন এই ধরনের বিল তৈরি বন্ধ করা হবে । সমীক্ষা রিপোর্ট আলোচনা করে সেই সমস্ত হল মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বকেয়া প্রসঙ্গে ।