কলকাতা, 5 মার্চ: কলকাতায় মাঝেমধ্যেই অভিযোগ শোনা যায় জলাশয় বুজিয়ে ফেলার । তবে সাম্প্রতিককালে পরিবেশের স্বার্থে এই জলাশয় রক্ষা (Renovation of Water Bodies) করা নিয়ে যথেষ্ট তৎপর কলকাতা পৌরনিগম । পৌরনিগমের (KMC saves Water Bodies) এলাকাভুক্ত সমস্ত জলাশয়ের মূল্যায়ণ করা চলছে । এ বার পৌরনিগমের ম্যানেজমেন্ট কন্ট্রোল ইউনিটের হাতে থাকা প্রায় 350টি পুকুরের মধ্যে 150টি পুকুর মাছ (Fish farming) চাষের জন্য লিজ দেওয়া হচ্ছে । পাশাপশি সব পুকুরের জলের বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করা ও জলে দ্রবির্ভূত অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে কাউ নো মিক্স পদ্ধতি ব্যবহারে ভেষজ উপাদান জলে মেশানো হবে । এই কাজ করতে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছে কলকাতা পৌরনিগম ৷
কলকাতায় পুকুর ভরাটের বিস্তর অভিযোগ ওঠে । কলকাতায় প্রায় 350টিরও বেশি জলাশয় পৌরনিগমের হাতে । বহু ক্ষেত্রেই সেগুলি মজে যাওয়ায় সংস্কারের আবেদন আসে । পলি তুলে সংস্কার করার ক্ষেত্রে বিপুল খরচ হয় । তাই এ বার জল ঠিক রাখতে ও জলে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে ভেষজ উপাদান ছড়ানো হবে । যা খরচ পড়বে তা খুবই সামান্য । সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই এই বিষয়ে কথা বলে দু-একটি পুকুর পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে করা হবে । পাশাপশি এর মধ্যেই পুকুরগুলি মাছ চাষের জন্য লিজ দিতে টেন্ডার ডাকবে পৌরনিগম ৷
আরও পড়ুন: মেয়রের হুঁশিয়ারি মানতে নারাজ, 9 মার্চ ধর্মঘটে সামিল হবেন বাম পৌরকর্মীরা
প্রায় 150টি জলাশয় চিহ্নিত করা হয়েছে মাছ চাষের লিজ দিতে । ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জলাশয় আছে যেখানে মাছ চাষ করা হয় । বিভিন্ন কো-অপারেটিভ সোসাইটি সেই কাজ করে । এই প্রসঙ্গে পরিবেশ ও পুকুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, "কিছু পুকুরে আমরা মাছ চাষের ব্যবস্থা করছি । পুকুরগুলি যেমন পরিষ্কার থাকবে তেমন আমাদের আয় হবে । পরিবেশের মান উন্নয়ন হবে । যে পুকুরগুলি এখনই লিজ দেওয়া যাচ্ছে না, সেই পুকুরগুলিতে কাউ নো মিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে । তাতে পরিবেশ ও জলাশয় দুইই রক্ষা হবে । পরিষ্কার করার জন্য বিপুল খরচ করতে হয়, সেই টাকাও বাঁচবে ।"