কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর: বেলেঘাটা আইডিতে হাসপাতালে ভরতি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে আসা রক্তের রিপোর্টে নিপা নেগেটিভ দেখিয়েছে। বহু প্রতীক্ষিত এই রিপোর্টের জেরে অবশেষে মিলেছে স্বস্তি। তবে এখনও ওই ব্যক্তি ভরতি রয়েছেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেই।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বাসিন্দা বছর 26-এর ওই ব্যক্তি পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। কেরলে মূলত কাজে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, সেখানে তাঁর দুই বন্ধু অজানা জ্বরে মারা গিয়েছিলেন। জ্বরে আক্রান্ত হন তিনিও। যুবককে এরপর কেরলের এর্নাকুলাম হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এরপর রাজ্যে ফিরে আসেন তিনি। চিকিৎসকদের দাবি, ধুম জ্বর, গা-হাতপা ব্যথা, গলা ব্যথা, বমি ভাব প্রভৃতি উপসর্গ নিয়ে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। পরবর্তীকালে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা বিষয়টি হাসপাতালের উচ্চ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল বা সংক্রামক রোগের হাসপাতালে তাঁকে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
সেই মতো তাঁকে এরপর ন্যাশনাল মেডিক্যাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তারপর তাঁর রক্ত পরীক্ষা করার জন্য রক্তের নমুনাও পাঠানো হয়েছিল পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। আর সেই রিপোর্টেই মিলেছে স্বস্তি। কেরল জুড়ে চলছে নিপা ভাইরাসের আতঙ্ক। কী এই নিপা ভাইরাস ? ভাইরোলজিস্ট চিকিৎসক সুমন পোদ্দার জানান, মূলত শূকরের থেকে এই রোগ ছড়ায়। 70 থেকে 80 শতাংশ আক্রান্তেরই এক্ষেত্রে মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের দাবি, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আদতে কোনও চিকিৎসাই নেই।
আরও পড়ুন: সল্টলেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু, কর্পোরেশনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সব্যসাচী দত্ত
চিকিৎসকের দাবি, মারণ ক্ষমতা এই ভাইরাসের অত্যন্ত বেশি, তবে খুব দ্রুত ছড়ায় না। এই রোগের উপসর্গ হল জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া। আবার অনেক ক্ষেত্রে এনকেফেলাইটিস। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যদি কোভিডের সময় যে সমস্ত ব্যবস্থা সাধারণ মানুষ নিয়েছিল সেই গুলোই যদি আবার ফিরিয়ে আনা হয়, তবে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলেও জানান চিকিৎসক।