ETV Bharat / state

নয়া ভূমিকায় বিচারপতি, কবিতার ছন্দ মেলাবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

Justice Abhijit Gangopadhyay: সাধারণ মানুষের কাছে তিনি মসিহা। শাসকদলের কাছে ত্রাস । সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবার নয়া ভূমিকায় । বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে বিচারপতির লেখা কবিতার বই ।

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 11, 2024, 8:04 PM IST

Updated : Jan 11, 2024, 8:15 PM IST

Etv Bharat
Etv Bharat

কলকাতা, 11 জানুয়ারি: যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন । এক্ষেত্রে অবশ্য তিনি রাঁধেন না, একাংশের মতে স্বপ্ন বোনেন । জীবনের পথে যাঁরা সুবিচার না-পেয়ে দিশা হারিয়েছেন তাঁদের বিচার দেন । তাঁর কলমের আঁচড়ে বদলে যায় রাজ্য-রাজনীতির ছবিটাও । যদিও তিনি নিন্দুক মুক্তও নন। রোজকার নিয়মে কটাক্ষ ধেয়ে আসে তাঁর দিকে । বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে থাকেন । এবার অবশ্য কঠিন-কঠোর কালো কোট নয়, মোলায়েম সুরে কবিতার ছন্দ মেলাবেন এই 'স্বপ্নের কান্ডারি' (পড়ুন চাকরিপ্রার্থীদের) । বইমেলায় প্রকাশিত হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা কবিতার বই ।

এমনিতেই আইনের রুক্ষ মাটিতেই তিনি স্বচ্ছন্দ, এমনটাই জানে প্রত্যেকে । দিনভর আইনের ভাষাতেই ডুবে থাকেন । তাঁর দেওয়া একের পর এক রায় রাস্তায় বসে আন্দোলন করা চাকরিপ্রার্থীদের মনে ভরসা জুগিয়েছে । যে এজলাসে বসে একের পর এক রায়ে তোলপাড় করেছেন, সেখান থেকেই জানালেন নয়া ভূমিকার কথা । অবশ্য তিনি যে বাংলা সাহিত্যের অনুরাগী, তা আগে আদালত কক্ষে বহুবার বলেছেন । এবার সেই এজলাসে বসেই বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।

তিনি বলেন, "বাংলা ভাষায় শুনানিতে আপত্তি কেন ? আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে অসুবিধা কীসের ? যে কেউ আমার কাছে বাংলায় মামলা করলে আমি তা গ্রহণ করি । এতে অন্যদের আপত্তি থাকার কথা নয় । সামনের বইমেলায় বাংলাভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু উপযুক্ত বই বেরচ্ছে । আমি নিজেও সেখানে একটি কবিতার বই লিখেছি । ইংরেজরা ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালত-সহ বিভিন্ন জায়গায় ইংরেজি ভাষার প্রচলন করেছিল । তাহলে আমরা বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা চালাব না কেন ?"

এর আগে কখনও আরজি কর হাসপাতালে দুর্ঘটনায় পড়া পড়ুয়াকে হটাৎ করে দেখতে চলে গিয়েছেন । কখনও বাবা-মা'হারা ছেলেকে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন । আবার আদালতে নিয়োগ দূর্নীতিতে একের পর এক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । তার ফলে রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিপুল দূর্নীতি হয়েছে সেকথা দিনের আলো দেখেছে । কিছু মানুষ তাঁর এই কাজে ক্ষুব্ধ বটে কিন্তু সাধারণ মানুষ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে কার্যত ভগবানের চোখেই দেখেন । যদিও বিচারপতি নিজে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলেন, "আমি ভগবান নই । আমার করার ক্ষমতা আছে তাই কর‍তে পারছি । যাঁদের হাতে এই শক্তি আছে তাঁদের সকলেই এই ভূমিকা পালন করতে পারেন ।"

  • " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">

আরও পড়ুন:

  1. অভিযোগ জানাতে বিচারপতির বাড়ির সামনে চাকরিপ্রার্থীরা, রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরামর্শ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
  2. দুর্ঘটনাগ্রস্ত ছাত্রীকে দেখতে এসে কেঁদে ফেললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
  3. 'ভয়ঙ্কর অপসংস্কৃতির মুখোমুখি আমরা' মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

কলকাতা, 11 জানুয়ারি: যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন । এক্ষেত্রে অবশ্য তিনি রাঁধেন না, একাংশের মতে স্বপ্ন বোনেন । জীবনের পথে যাঁরা সুবিচার না-পেয়ে দিশা হারিয়েছেন তাঁদের বিচার দেন । তাঁর কলমের আঁচড়ে বদলে যায় রাজ্য-রাজনীতির ছবিটাও । যদিও তিনি নিন্দুক মুক্তও নন। রোজকার নিয়মে কটাক্ষ ধেয়ে আসে তাঁর দিকে । বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে থাকেন । এবার অবশ্য কঠিন-কঠোর কালো কোট নয়, মোলায়েম সুরে কবিতার ছন্দ মেলাবেন এই 'স্বপ্নের কান্ডারি' (পড়ুন চাকরিপ্রার্থীদের) । বইমেলায় প্রকাশিত হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা কবিতার বই ।

এমনিতেই আইনের রুক্ষ মাটিতেই তিনি স্বচ্ছন্দ, এমনটাই জানে প্রত্যেকে । দিনভর আইনের ভাষাতেই ডুবে থাকেন । তাঁর দেওয়া একের পর এক রায় রাস্তায় বসে আন্দোলন করা চাকরিপ্রার্থীদের মনে ভরসা জুগিয়েছে । যে এজলাসে বসে একের পর এক রায়ে তোলপাড় করেছেন, সেখান থেকেই জানালেন নয়া ভূমিকার কথা । অবশ্য তিনি যে বাংলা সাহিত্যের অনুরাগী, তা আগে আদালত কক্ষে বহুবার বলেছেন । এবার সেই এজলাসে বসেই বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।

তিনি বলেন, "বাংলা ভাষায় শুনানিতে আপত্তি কেন ? আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে অসুবিধা কীসের ? যে কেউ আমার কাছে বাংলায় মামলা করলে আমি তা গ্রহণ করি । এতে অন্যদের আপত্তি থাকার কথা নয় । সামনের বইমেলায় বাংলাভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু উপযুক্ত বই বেরচ্ছে । আমি নিজেও সেখানে একটি কবিতার বই লিখেছি । ইংরেজরা ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালত-সহ বিভিন্ন জায়গায় ইংরেজি ভাষার প্রচলন করেছিল । তাহলে আমরা বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা চালাব না কেন ?"

এর আগে কখনও আরজি কর হাসপাতালে দুর্ঘটনায় পড়া পড়ুয়াকে হটাৎ করে দেখতে চলে গিয়েছেন । কখনও বাবা-মা'হারা ছেলেকে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন । আবার আদালতে নিয়োগ দূর্নীতিতে একের পর এক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । তার ফলে রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিপুল দূর্নীতি হয়েছে সেকথা দিনের আলো দেখেছে । কিছু মানুষ তাঁর এই কাজে ক্ষুব্ধ বটে কিন্তু সাধারণ মানুষ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে কার্যত ভগবানের চোখেই দেখেন । যদিও বিচারপতি নিজে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলেন, "আমি ভগবান নই । আমার করার ক্ষমতা আছে তাই কর‍তে পারছি । যাঁদের হাতে এই শক্তি আছে তাঁদের সকলেই এই ভূমিকা পালন করতে পারেন ।"

  • " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">

আরও পড়ুন:

  1. অভিযোগ জানাতে বিচারপতির বাড়ির সামনে চাকরিপ্রার্থীরা, রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরামর্শ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
  2. দুর্ঘটনাগ্রস্ত ছাত্রীকে দেখতে এসে কেঁদে ফেললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
  3. 'ভয়ঙ্কর অপসংস্কৃতির মুখোমুখি আমরা' মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
Last Updated : Jan 11, 2024, 8:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.