কলকাতা, 11 অগস্ট: স্কুলে পোস্টিং দুর্নীতির মামলায় সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । মামলায় যুক্ত করা হয়েছে ইডিকেও । পাশাপাশি যাঁদের বিরুদ্ধে পোস্টিং দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সেই 350 জন শিক্ষককে তদন্তকারী সংস্থা প্রয়োজন মনে করলে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত ।
এই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে । অভিযুক্ত শিক্ষকরা চাইলে মামলার নথি সংগ্রহ করতে পারবেন । তার জন্য একটি বাংলা এবং ইংরেজি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে হবে । যেখানে থাকবে মামলা এবং মামলাকারী আইনজীবীর নম্বর । সাতদিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে । 28 অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৷
25 জুলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 2020 সালের প্রাথমিক নিয়োগে পোস্টিং দুর্নীতিতে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ পাশাপাশি ওইদিন রাতেই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন তিনি । নির্দেশে বলা হয়, জেলের সুপার কোনও ভাবেই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় বাধা দিতে পারবেন না । যদি জেল সুপার সহযোগিতা না করেন সেটা আদালতের নজরে এলে সুপারের বিরুদ্ধে আদালত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান বিচারপতি । এমনকী মানিক ভট্টাচার্য যাতে সুপ্রিম কোর্টের থেকে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ না নিতে পারেন, তার জন্য রাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।
আরও পড়ুন: মানিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও জরিমানার নির্দেশ খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে
বাঁকুড়া, বীরভূম, হাওড়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলার 400 জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা করে বদলির জন্য নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । বীরভূম, মুশিদাবাদ, বাঁকুড়া, হুগলির শিক্ষকরা মামলা করেন পৃথক ভাবে । তাঁদের বদলি নিয়ে ভাঁওতা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে । এখানেও মাস্টারমাইন্ড মানিক ভট্টাচার্য । কী ঘটনা ঘটেছে, সেটা সিবিআই সামনে আনতে পারে বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি ।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট । তবে সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি ।