কলকাতা, 27 মার্চ: ফের আদালতের ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই । সোমবার নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহার জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে (Shanti prasad Sinha bail plea case Alipore Court)। সেখানেই সিবিআই ফের তাঁকে জেল হেফাজতে চাইলে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, "কেন বারবার একই টেপরেকর্ডার বাজাচ্ছেন ? জামিন পেলে কি ওরা নাচবে ?"
এই প্রসঙ্গে শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবী জানান, সিবিআই ফের জেল হেফাজতের আর্জি জানালে আমরা বলি 259 দিন হয়ে গিয়েছে তাঁকে জেলে রাখা হয়েছে ৷ এরপরও কেন ফের হেফাজতে রাখার আবেদন ? বিচারক সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান এই প্রশ্নের উত্তর । তাতে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির মাথা ছিলেন । সমাজে মানুষের কাছে নৈতিক বিষয় হিসেবে তুলে ধরার জন্যও তাঁকে জেলে রাখা প্রয়োজন। এই কথাতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি ৷
এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনে একই কথা বারবার বলেছে সিবিআই। কেন তাদের হেফাজতে রাখা প্রয়োজন তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি ৷ বরং কখনও প্রভাবশালী, কখনও সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাট করতে পারে এই সমস্ত যুক্তি দিয়েছে। এদিনও বলা হয়, শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে জামিন দিলে সমাজে নেতিবাচক বার্তা যাবে । তারপরই শান্তিপ্রসাদের হয়ে তার আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত আদালতে প্রশ্ন তোলেন যদি তাকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন হয় 259 দিন হয়ে গেল এখনও তাদের হেফাজতে নেওয়ার দরকার আছে ? এতেই বিচারক সিবিআইয়ের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেন ।
এর আগে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল ধৃত এজেন্ট আবদুল খালেকের কাছ থেকে একটা চিঠি পাওয়া যায় যাতে শান্তিপ্রসাদের হাতের লেখা রয়েছে । সেই ব্যাপারে মেলানোর জন্য তাঁকে হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই । কিন্তু শান্তিপ্রসাদের আইনজীবীর যুক্তি, গত 17 ও 19 মার্চ প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে । তাহলে ফের তাঁকে হেফাজতে চাওয়ার যুক্তি কী ? এ ব্যাপারে আদালতও সিবিআইয়ের কাছে আগেরদিন জানতে চেয়েছিল ৷ কিন্তু তাতেও কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সিবিআই । এদিনও ফের কোনও যুক্তি না-দিতে পেরে সমাজে ভুল বার্তা যাবে বলে যুক্তি দিলে ক্ষুব্ধ বিচারক ভর্ৎসনা করেন আইনজীবীকে ।
আরও পড়ুন : দেড় কিলো সোনা, নগদ 50 লক্ষ ! এসপি সিনহার ফ্ল্যাট তল্লাশিতে কুবেরের ধন পেল সিবিআই