ETV Bharat / state

অধ্যাপনা থেকে সাংসদ, রাজনীতিতে তাঁর উত্থান ছিল বেশ চমকপ্রদ - রাজনীতি

শিক্ষাক্ষেত্র থেকে রাজনীতি । সর্বত্র তাঁর অবাধ বিচরণ । 89 বছর বয়সে থেমে গেল তাঁর পথ চলা । প্রয়াত হলেন শিক্ষাবিদ তথা রাজনীতিবিদ কৃষ্ণা বসু ।

Krishna Bose
কৃষ্ণা বসু
author img

By

Published : Feb 22, 2020, 2:12 PM IST

Updated : Feb 22, 2020, 3:41 PM IST

কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি : বরাবরই শিক্ষা জগতের সঙ্গে তাঁর অবাধ বিচরণ । একটিবারের জন্য তাঁর পাঠ নিতে মুখিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে হাজার হাজার কলেজ পড়ুয়াকে । তবে রাজনৈতিক পরিবারের গৃহবধূ হলেও রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন । কিন্তু, 1996 সালে প্রথমবার যাদবপুরের মতো কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েই সব হিসেব নিকেশ পালটে দিলেন । প্রথমবারই CPI(M)-এর মালিনী ভট্টাচার্যকে হারিয়ে লোকসভায় প্রবেশ । রাজনীতিতে তাঁর এই উত্থানকে নিজের বইতেই তুলে ধরেছিলেন । আজ 89 বছর বয়সে থেমে গেল তাঁর পথ চলা । প্রয়াত হলেন কৃষ্ণা বসু । সম্পর্কে যিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বড় দাদার পুত্রবধূ । তৃণমূলের আর এক প্রাক্তন সাংসদ সুগত বসুর মা কৃষ্ণা বসুও দুই বার ঘাসফুলের টিকিটেই লোকসভার সদস্য হয়েছিলেন ।

অনেকদিন ধরেই হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন । তারপর গত রাত 10 টা 20 মিনিটে কলকাতা একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর ।

1930 সালের 26 ডিসেম্বর ঢাকায় জন্ম কৃষ্ণা বসুর । তাঁর বাবা সংবিধান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন । পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার অন্যতম সচিবও ছিলেন । 1955 সালের 9 ডিসেম্বর শিশিরকুমার বসুর সঙ্গে বিয়ে হয় কৃষ্ণা বসুর । সেই সূত্রেই নেতাজির পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগ । আসলে শিশিরকুমার বসু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মেজ দাদা শরৎচন্দ্র বসুর ছেলে ।

কলকাতার সিটি কলেজে 40 বছর অধ্যাপনা করেন । সেখানে ইংরাজি বিভাগের প্রধান ছিলেন কৃষ্ণা বসু । পাশাপাশি আট বছর অধ্যক্ষ ছিলেন ওই কলেজে । "অ্যান আউটসাইডার ইন পলিটিক্স", "এমিলি অ্যান্ড সুভাষ", "লস্ট অ্যাড্রেসেস", "চরণরেখা তব", "প্রসঙ্গ সুভাষচন্দ্র", "ইতিহাসের সন্ধানে"-র মতো বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন ।

1996-এ রাজনীতিতে প্রবেশ করেন কৃষ্ণা বসু । প্রথমবার কংগ্রেসের হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন । সে-সময় দু'বছরের জন্য সাংসদ ছিলেন । এরপর 1998 ও 1999-টানা দু'বার জয়ী হয়ে যাদবপুরের সাংসদ হন । দুই বারই তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন । অচিরেই হয়ে উঠেছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের । তবে দুই বারের সাংসদ হলেও, দলের ভুল পদক্ষেপের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায় ।

দক্ষিণপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী হলেও বামপন্থীদের সঙ্গে ছিল নিবিড় সম্পর্ক । রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জ্যোতি বসুর সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় হয়েছিল ইংল্যান্ডে । তারপর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্যোতি বসুর থেকে পরামর্শ নিতেন কৃষ্ণা বসু । লোকসভার অধ্যক্ষ প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও পারিবারিক সম্পর্ক ছিল কৃষ্ণা বসুর ।

মানুষের অধিকারের দাবিতে দীর্ঘদিন সংসদে বক্তব্য রেখেছেন । লোকসভায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন । পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারপারসনও ছিলেন কৃষ্ণা বসু । ইদানিংকালে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর ।

সমাজসেবী, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন কৃষ্ণা বসু । কিন্তু নিজেকে রাজনীতিবিদের থেকে শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচয় দিতেই ভালোবাসতেন ।

কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি : বরাবরই শিক্ষা জগতের সঙ্গে তাঁর অবাধ বিচরণ । একটিবারের জন্য তাঁর পাঠ নিতে মুখিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে হাজার হাজার কলেজ পড়ুয়াকে । তবে রাজনৈতিক পরিবারের গৃহবধূ হলেও রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন । কিন্তু, 1996 সালে প্রথমবার যাদবপুরের মতো কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েই সব হিসেব নিকেশ পালটে দিলেন । প্রথমবারই CPI(M)-এর মালিনী ভট্টাচার্যকে হারিয়ে লোকসভায় প্রবেশ । রাজনীতিতে তাঁর এই উত্থানকে নিজের বইতেই তুলে ধরেছিলেন । আজ 89 বছর বয়সে থেমে গেল তাঁর পথ চলা । প্রয়াত হলেন কৃষ্ণা বসু । সম্পর্কে যিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বড় দাদার পুত্রবধূ । তৃণমূলের আর এক প্রাক্তন সাংসদ সুগত বসুর মা কৃষ্ণা বসুও দুই বার ঘাসফুলের টিকিটেই লোকসভার সদস্য হয়েছিলেন ।

অনেকদিন ধরেই হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন । তারপর গত রাত 10 টা 20 মিনিটে কলকাতা একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর ।

1930 সালের 26 ডিসেম্বর ঢাকায় জন্ম কৃষ্ণা বসুর । তাঁর বাবা সংবিধান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন । পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার অন্যতম সচিবও ছিলেন । 1955 সালের 9 ডিসেম্বর শিশিরকুমার বসুর সঙ্গে বিয়ে হয় কৃষ্ণা বসুর । সেই সূত্রেই নেতাজির পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগ । আসলে শিশিরকুমার বসু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মেজ দাদা শরৎচন্দ্র বসুর ছেলে ।

কলকাতার সিটি কলেজে 40 বছর অধ্যাপনা করেন । সেখানে ইংরাজি বিভাগের প্রধান ছিলেন কৃষ্ণা বসু । পাশাপাশি আট বছর অধ্যক্ষ ছিলেন ওই কলেজে । "অ্যান আউটসাইডার ইন পলিটিক্স", "এমিলি অ্যান্ড সুভাষ", "লস্ট অ্যাড্রেসেস", "চরণরেখা তব", "প্রসঙ্গ সুভাষচন্দ্র", "ইতিহাসের সন্ধানে"-র মতো বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন ।

1996-এ রাজনীতিতে প্রবেশ করেন কৃষ্ণা বসু । প্রথমবার কংগ্রেসের হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন । সে-সময় দু'বছরের জন্য সাংসদ ছিলেন । এরপর 1998 ও 1999-টানা দু'বার জয়ী হয়ে যাদবপুরের সাংসদ হন । দুই বারই তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন । অচিরেই হয়ে উঠেছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের । তবে দুই বারের সাংসদ হলেও, দলের ভুল পদক্ষেপের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায় ।

দক্ষিণপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী হলেও বামপন্থীদের সঙ্গে ছিল নিবিড় সম্পর্ক । রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জ্যোতি বসুর সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় হয়েছিল ইংল্যান্ডে । তারপর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্যোতি বসুর থেকে পরামর্শ নিতেন কৃষ্ণা বসু । লোকসভার অধ্যক্ষ প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও পারিবারিক সম্পর্ক ছিল কৃষ্ণা বসুর ।

মানুষের অধিকারের দাবিতে দীর্ঘদিন সংসদে বক্তব্য রেখেছেন । লোকসভায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন । পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারপারসনও ছিলেন কৃষ্ণা বসু । ইদানিংকালে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর ।

সমাজসেবী, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন কৃষ্ণা বসু । কিন্তু নিজেকে রাজনীতিবিদের থেকে শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচয় দিতেই ভালোবাসতেন ।

Last Updated : Feb 22, 2020, 3:41 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.