বিধাননগর, 3 মে: বিয়ের ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করে সহকর্মীকে ফাঁসানোর অভিযোগ ৷ এমনকি সেই শংসাপত্রের ভিত্তিতে যুবকের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় দায়ের করা হয় অভিযোগ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগরের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় ৷ বাচেন্দ্রী রায় নামে ওই যুবতী তাঁর সহকর্মী নীলাদ্রি দত্তকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ ৷ তিনি রাজি না-হওয়ায় তাঁকে ফাঁসাতেই বিয়ের মিথ্যা শংসাপত্র তৈরি করেন অভিযুক্ত ৷ এমনকি গত ডিসেম্বরে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও বধূ নির্যাতনের মামলাও করেছিলেন যুবতী ৷ মঙ্গলবার দমদম থানার পুলিশ ওই যুবতীকে গ্রেফতার করেছে ৷
নীলাদ্রি দত্ত পুলিশি অভিযোগে জানান, 2021 সালে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় তাঁর অধীনে কাজে যোগ দেন বাচেন্দ্রী রায় ৷ হঠাৎই একদিন ওই যুবতী তাঁকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন ৷ কিন্তু, তাঁর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছিল ৷ সেই কারণে নীলাদ্রি বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ৷ কিন্তু, তার পরেও বাচেন্দ্রী রায় তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ ৷ বাচেন্দ্রী হুমকিও দেন, তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ৷ নীলাদ্রি অভিযোগ করেছেন, গত ডিসেম্বর মাসে একদিন রাতে বাচেন্দ্রী রায় তাঁর বাড়িতে চলে যান ৷ তাঁর মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল সে সময় ৷ তাঁকে ফাঁসাতেই মাথা ফাটিয়েছিলেন বাচেন্দ্রী ৷ তিনি দাবি করেন নীলাদ্রির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে ৷ এমনকি বিয়ের একটি শংসাপত্রও দেখান ৷ কিন্তু, নীলাদ্রি তা মানতে চাননি ৷
এর পরেই নীলাদ্রি দত্তের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন বাচেন্দ্রী ৷ বধূ নির্যাতন, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ৷ যে মামলার জেরে নীলাদ্রিকে জেলেও যেতে হয় ৷ এর পর জেল থেকে বেরোতেই তাঁর কাছে খোরপোষ বাবদ 20 লক্ষ টাকা এবং পরবর্তী সময়ে 10 লক্ষ টাকা দাবি করেন যুবতী ৷ নীলাদ্রি জানান, পরবর্তী সময়ে তিনি বাচেন্দ্রীর সম্পর্কে খোঁজ শুরু করেন ৷
আরও পড়ুন: ফেসবুকে প্রেম! বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পিঁড়িতে ওঠার আগেই চম্পট দিল প্রেমিক
নীলাদ্রি জানতে পারেন এর আগেও ওই যুবতী বেশ কয়েকজনের সঙ্গে একইভাবে প্রতারণা করেছেন ৷ তাঁর কথায়, ‘‘নির্মাল্য ভট্টাচার্য নামে একজনকে একইভাবে মিথ্যে বিয়ে এবং পরবর্তী সময়ে খুনের চেষ্টা ও বধূ নির্যাতনের মামলায় ফাঁসিয়েছেন ৷ এমনকী বাংলাদেশেও তাঁর একটা বিয়ে রয়েছে ৷’’ এর পরেই নীলাদ্রি দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ পুলিশ অভিযোগের মাধ্যমে তদন্ত শুরু করে ৷ কিন্তু, বিয়ের সার্টিফিকেটের বিষয়টি ? নীলাদ্রি অভিযোগ করেছেন, ‘‘ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের পোর্টালে অন্য কারও সঙ্গে আমার ফেক আইডি তৈরি করে বিয়ের শংসাপত্র বের করেছে অভিযুক্ত ৷’’ তদন্তে বিষয়টি সামনে আসতেই পুলিশ অভিযুক্ত যুবতীকে গ্রেফতার করেছে ৷