কলকাতা, 20 মে: সকালে ঘামে ভেজা ভ্যাপসা গরম আর বিকেল হলেই আকাশ কালো করে ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজছে বাংলা । বৃষ্টিপাতের জেরে পারদ চড়ার ক্ষেত্রেও রাশ টানা গিয়েছে । এরইমধ্যে খুশির খবর শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ধীরে ধীরে বর্ষা প্রবেশ করছে । তা নির্দিষ্ট সময় দেশের বাকি অংশে প্রবেশ করবে।
দেশের মূল ভূ-খণ্ডে বর্ষার প্রবেশে সামান্য দেরি হতে পারে এবার । আন্দামান থেকে কেরল হয়ে বর্ষা প্রবেশ করে দেশে। গত কয়েক দশক ধরে দেখা গিয়েছে বর্ষা 'ভগবানের আপন দেশ' কেরলে প্রবেশ করে জুন মাসের 1 তারিখ । এবার 4 তারিখ নাগাদ কেরলে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। তবে এর প্রভাব বঙ্গে খুব বেশি পড়বে না বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা আসার নির্ধারিত সময় জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ। গত বছর দশেকের মধ্যে কখনই এই সময়ে বর্ষা রাজ্যে প্রবেশ করেনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেরি হয়েছে। এবার সেরকমই কিছু হতে চলেছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তার চেয়ে বেশি কোনও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় আধিকারিক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আজও দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ঝড় বৃষ্টি হবে । এই ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়াও বইবে । বিশেষ করে ওড়িশা লাগোয়া জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । সন্ধ্যার দিকে কলকাতাতেও বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে । বাদ-বাকি জেলাগুলিতেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে । আগামিকালের পর থেকে সব জায়গাতেই তাপমাত্রা বাড়বে । বিশেষ করে তাপমাত্রা বাড়বে পশ্চিমের জেলাগুলোতে । আগামিকাল ও পরশুদিন ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম । এরপর আবার 23 তারিখ মঙ্গলবার থেকে ঝড়-বৃষ্টি প্রবণতা বাড়বে।"
বঙ্গে বর্ষার প্রবেশ মৌসুমী বায়ুর হাত ধরে ঘটে ৷ তাই মে মাসের শেষ সপ্তাহ মানেই বর্ষার জন্য উন্মুখ থাকেন সকলে ৷ এই প্রসঙ্গেই আলিপুর হাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকার্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ু নিকোবর-দ্বীপপুঞ্জের কিছুটা অংশে প্রবেশ করেছে । আশা করা যাচ্ছে আগামী তিন দিনে আন্দামান-নিকোবর এর অনেকটা অংশে প্রবেশ করবে এই মৌসুমী বায়ু । এরপর সর্বত্র তার প্রভাব পড়তে থাকবে ।
আরও পড়ুন: সৃজনশীল পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের আজ বেশ ভালো দিন, বাকিদের ভাগ্য কী আছে জানুন রাশিফলে
শুক্রবার কলকাতা এবং আশপাশের অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 36.1 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ স্বাভাবিকের থেকে সামান্য বেশি ৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 23 ডিগ্রি । স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় 4 ডিগ্রি কম । বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল 98 শতাংশ । গত চব্বিশ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে সামান্য পরিমাণে । আজ শনিবার দিনেরবেলা অকাশ মেঘলা থাকবে । বজায় থাকবে অস্বস্তিকর গরম। ঝড়-বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে । সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 36 ডিগ্রি এবং 26 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে ।