কলকাতা, 13 এপ্রিল: প্রতিদিনই তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে ৷ অন্যদিকে বৃষ্টির দেখা নেই ৷ মাসের প্রথম দিন হাজিরা দিয়ে পলাতক ৷ আপাতত ফেরার কোনও নাম গন্ধ নেই ৷ হাওয়া অফিসের মতে বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই ৷ তীব্র শুষ্ক গরম এতটাই প্রাণান্তকর যে ভোর থেকেই অস্বস্তি শুরু হয়ে যাচ্ছে ৷আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনই 38.6 ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে 3 ডিগ্রি বেশি ৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 26.8 ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি ৷ 12-16 এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতার কথা জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস ৷
পরিস্থিতি যা তাতে বৃহস্পতিবার দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পারদ চল্লিশ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস ৷ চৈত্র সংক্রান্তিতে এই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ৷ তবে এই অবস্থা একদিনের নয়, দীর্ঘ 12 দিন ধরে চলছে ৷ এত লম্বা সময় ধরে শুষ্ক গরম বাংলার গ্রীষ্মকালের আবহাওয়ায় বিরল ৷
বলা যায়, এই রাজ্যে সেই প্যাচপ্যাচে ভ্যাপসা গরম চলে গিয়ে উত্তর-মধ্য ভারতের শুষ্ক গরমের দেখা মিলছে ৷ আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলীয় আধিকারিক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এর প্রভাব জনজীবন ছাড়া কৃষিকাজেও পড়বে ৷ বিশেষত চাষবাসে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে ৷ ধান ছাড়া বাকি সবজির ফলন এবং এই মরশুমে আমের উৎপাদন প্রভাবিত হবে ৷
ইতিমধ্যে হাওয়া অফিস গরমে সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়, তা জানিয়ে দিয়েছে ৷ প্রয়োজন না-থাকলে বেলা 11টা থেকে বিকেল 4টে পর্যন্ত বাইরে বেরতে নিষেধ করা হচ্ছে ৷ বেরলেও হালকা সুতির পোশাক পরা, রোদ চশমা, টুপি বা ছাতার ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে ৷ যাঁদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বা রাস্তায় ঘুরে কাজ করতে হয়, তাঁদেরও যতটা সম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে ৷ কলকাতা ও জেলা-শহরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি এই সপ্তাহ ধরেই চলবে ৷ বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 38.6 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে 3 ডিগ্রি বেশি ৷ সর্বনিম্ন 27.7 ডিগ্রি বেশি, স্বাভাবিকের থেকে 2 ডিগ্রি বেশি ৷ বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ 88 শতাংশ ও সর্বনিম্ন 16 শতাংশ ৷ বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে 40 ডিগ্রি ও 28 ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে ৷