কলকাতা, 4 অগস্ট: বিপ্লবে ইতি। তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন জানিয়ে দিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কড়া সুর ছেড়ে এবার ক্ষমাপ্রার্থী এই তৃণমূল বিধায়ক। জানিয়ে দিলেন, দল ছাড়া আর কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। এমনকী নতুন দল তৈরি করার যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল তাঁকে ঘিরে। তাতেও শুক্রবার ইতি টেনেছেন হুমায়ুন। শনিবার তৃণমূল ভবনে হুমায়ুনকে নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসছে দল। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকের আগে হুমায়ুন কবীর জানিয়ে দিলেন, দল ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর।
এদিন বিধানসভায় এই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আমার কখনও কোনও সমস্যা ছিল না। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে একটা সমস্যা হয়েছিল। তা নিয়ে আমি দলকে জানিয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হয়ে যারা খাটাখাটনি করেছিল তাদের টিকিট না দেওয়ায় আমি সরব হই। এরপর রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি আমাকে শোকজের চিঠি দেন। গত 29 জুলাই তা হাতে পাই। গত 1 অগস্ট তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি। জবাবও দিয়েছি। এই মুহূর্তে অন্য কিছু ভাবছি না।"
এদিন অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ থাকার সব সম্ভাবনাও খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। হুমায়ুন বলেন, "অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই আমার। এ নিয়ে মিথ্যা খবর রটানো হচ্ছে কোথাও কোথাও। অথচ আপনারা খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন জেলার বেশ কিছু তৃণমূল নেতা অধীরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।"
আরও পড়ুন: বেহালার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবের থেকে নিলেন খোঁজ
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলের সঙ্গে বিবাদ বেঁধেছিল হুমায়ুনের। রীতিমত রণংদেহী মূর্তিতে সে সময় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। নির্বাচনের সময় কখনও তৃণমূল জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে নাম করে সরব হয়েছেন তিনি। তৃণমূলেরই প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানো থেকে শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণ, সবই শোনা গিয়েছে তাঁর মুখ থেকে। নির্বাচনে তাঁর দেওয়া প্রার্থীরা হেরে গেলেও থামতে চাইছিলেন না এই তৃণমূল বিধায়ক। এমনকী দল তাঁকে শোকজ করার পরও নতুন দল গড়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে এদিন হুমায়ুনের বক্তব্যে স্পষ্ট হল সমস্ত বিপ্লবের আপাতত ইতি টানতে চাইছেন তিনি।