কলকাতা, 12 মে: পাকাপাকিভাবে কবে থেকে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত চালু হতে চলেছে সেই তারিখ নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দুই রাজ্যের মানুষ, বিশেষ করে বাংলার মানুষের মধ্যে এই ট্রেন নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই। এক বেলায় পৌঁছে যাওয়া যাবে পুরী। আর প্রয়োজনে ওই একই দিনে জগন্নাথ ধাম দর্শন করে বা পুজো দিয়েও সেই দিনই ফের ট্রেনে ধরে ফিরে আসা যাবে বাংলায়।
তবে সবার মনে এখন প্রশ্ন একটাই। কবে থেকে এই রুটে চলাচল করবে ট্রেন ? আদেও কবে থেকে এই সেমি বুলেট ট্রেনের পরিষেবা শুরু হতে চলেছে তা নিয়ে এখনও কিছুই চূড়ান্তভাবে জানা যায়নি ৷ সম্প্রতি রেল সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছিল, আগামী 15 মে থেকে যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়ে যেতে পারে। তারও আগে জানা খবর ছিল, ট্রেন চলতি মাসের 2 মে সপ্তাহান্তে শুরু হয়ে যাবে । তবে এই দু'টি তারিখেই হল না উদ্বোধন। রেল সূত্রে খবর, চলতি মাসের 18 থেকে 25 মে'র মধ্যে চালু হয়ে যাবে ট্রেন। যদিও এবারেও দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে কোনও নোটিফিকেশন জারি করা হয়নি। জানা গিয়েছে, তারিখে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিলমোহর পড়েনি। যদিও বাণিজ্যিকভাবে দৌড়ের জন্য প্রায় প্রস্তুত ট্রেনটি।
রেলের দাবি, যা ছোট কাজ বাকি রয়েছে সেগুলি আগামী 14 মে'র মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যাবে। সফলভাবে শেষ হয়েছে চারটি ট্রায়াল রানও। ট্রায়াল রান থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে ট্রেনটির যান্ত্রিক সমস্ত কাজ চলেছে আইসিএফ এবং ওইএম বা অরিজিনাল একুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার ওফ রেলওয়ে পর্ডাক্টাসের আধিকারিকদের তত্তাবধানে । ট্রায়াল রান হয়েছে হাওড়া থেকে পুরী এবং পুরী থেকে হাওড়া পর্যন্ত। হাওড়া থেকে পুরীগামী নয়া বন্দে ভারতের পরিচালনায় থাকবে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশন কর্তৃপক্ষ । রেল বোর্ডের সবুজ সংকেত না-পাওয়া অবধি কবে থেকে এই দুই রাজ্যে মধ্যে বন্দে ভারতের পরিষেবা চালু হয় সেটা বলা যাচ্ছে না। তাই আগের মত আবার ও একটি পর্যায় এসে সবটাই গেরো পরে যাচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় যাত্রীদের উৎসাহ তুঙ্গে। সেখানে এই নতুন রুটের বন্দে ভারতের আনুমানিক ভাড়া থেকে শুরু করে খাদ্য তালিকা বা মেনু নিয়ে প্রবল চর্চা চলছে। রাজ্যের দ্বিতীয় বন্দে ভারত হলেও ওড়িশাবাসী এই ট্রেনটি নিয়ে অনেক বেশি উৎসুক । কারণ ওড়িশা পাবে তার প্রথম সেমি বুলেট ট্রেন। তাই এখনও পর্যন্ত যেমনটা জানা গেছে যে ওড়িশা থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবুজ পতাকা নাড়িয়ে এই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেকে আপ্লুত মমতা
প্রতিদিন সকালবেলায় হাওড়া থেকে রয়না হয়ে দুপুরের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যাবে পুরী। তারপর জগন্নাথ মন্দিরে পূজো দিয়ে যদি কেউ ওই দিনই কলকাতায় ফিরতে চান তাহলে বিকেলের বন্দে ভারত ধরে রাতের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যাবে হাওড়া। এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ পূর্ব রেল সুরে জানা গেছে যে সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল 6টা 10 মিনিটে হাওড়া থেকে রওনা হয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পুরী পৌঁছবে সাড়ে ছয় ঘন্টায়। আবার পুরী থেকে ট্রেনটি দুপুর দেড়টায় রয়না হয়ে হাওড়া পৌঁছবে সাড়ে আটটা নাগাদ। ট্রেনটি আপ ও ডাউন লাইনে হাওড়া ও পুরীর মধ্যে খড়গপুর, বালাসোর, ভদ্রক, কটক, ভুবনেশ্বর এবং খুরদায় থামবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।