ETV Bharat / state

লকডাউনে মিস হয়েছে USG ? থেকে যাচ্ছে গর্ভস্থ সন্তানের গঠনগত ত্রুটির আশঙ্কা - pregnency

লকডাউনের জেরে অনেক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাই ঠিক সময়ে USG করাতে পারেননি ৷ এতে গর্ভস্থ সন্তানের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে তা জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷

লকডাউনে মিস হয়েছে অন্তঃসত্ত্বার USG
লকডাউনে মিস হয়েছে অন্তঃসত্ত্বার USG
author img

By

Published : Jun 10, 2020, 1:36 PM IST

কলকাতা, 9 জুন: অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সময়টি আপৎকালীন । যেখানে অন্তত 2 বার USG স্ক‍্যান করাতেই হয় । অথচ এমন অনেক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা রয়েছেন যাঁরা লকডাউনের জেরে USG সেন্টারে পৌঁছাতেই পারেননি । এভাবে USG মিস করার জেরে ৫-১০ শতাংশ গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষেত্রে গঠনগত ত্রুটির আশঙ্কায় রয়েছেন চিকিৎসকরা । অনেক গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষেত্রে যথাযথ গ্রোথ না হওয়ার আশঙ্কাতেও রয়েছেন চিকিৎসকরা । এসবের জেরে সদ্যোজাতর হার্ট, শ্বাসকষ্টের সমস‍্যা থেকে শুরু করে পরবর্তীকালে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্য সমস্যাও হতে পারে । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা USG মিস করায় গর্ভস্থ সন্তানের শারীরিক এবং মানসিক ডেভেলপমেন্টে কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা বোঝা যাবে শিশুর জন্মের বছর পাঁচেক পরে ।

রাজ‍্যে আড়াই হাজারের মতো USG সেন্টার রয়েছে । কলকাতায় সংখ্যাটা ১,৩০০-র মতো । COVID-19-এর মোকাবিলায় আচমকা লকডাউন শুরু হওয়ায় কিছুদিনের জন্য ১০ শতাংশের মতো সেন্টার বন্ধ ছিল ৷ শুধু তাই নয় ৷ কোরোনা আতঙ্কের কারণে বাড়ি থেকে বের হতে চাননি অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা ৷ ফলে অনেকেই সময়ে USG করাতে পারেননি৷ এতে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষেত্রে কতটা সমস্যা হতে পারে?

বেসরকারি হাসপাতালের গাইনোকলোজিস্ট পৌষালি সান্যাল বলেন, "লকডাউন থাকুক বা না থাকুক, প্রেগন‍্যান্সি এমন একটি এমার্জেন্সি বিষয় যেখানে USG বন্ধ করা যায় না ।" বেসরকারি হাসপাতালের রেডিয়োলজিস্ট অভিনব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "COVID-19 নতুন অসুখ । প্রেগন্যান্সির উপর এটি কোনও প্রভাব ফেলে কি না, কতটা প্রভাব ফেলে, এ সব বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে । এখনও পর্যন্ত বোঝা গেছে, এই সময়ে অন্তঃসত্ত্বাদের ঝুঁকি বেশি বলে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি । তবে এইসময় USG খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সংক্রমণের আতঙ্ক রয়েছে ঠিকই । কিন্তু সব সময় রিস্ক এবং বেনিফিটের অনুপাত মাথায় রাখতে হবে । USG না করিয়ে ঘরে বসে থাকলে ক্ষতি হতে পারে ৷ তার থেকে সঠিক সুরক্ষা নিয়ে USG করিয়ে নেওয়াটাই ভালো ।"

আর যাই হোক পাঁচমাসের USG করানো খুবই প্রয়োজন ৷ না হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসক পৌষালি স্যান্যাল ৷ তাঁর কথায় , "প্রেগন্যান্সিতে দুটি USG স্ক্যান খুবই প্রয়োজন । পাঁচ মাসের সময় গর্ভস্থ সন্তানের কোনও গঠনগত ত্রুটি রয়েছে কি না দেখতে হয় । লকডাউনের শুরুতে কিছু কিছু অন্তঃসত্ত্বা মহিলা USG মিস করেছেন । পরবর্তী সময়ে সেন্টার খুলে গেলেও কোরোনার ভয়ে প্রায় এক-দেড় মাস বের হননি অনেকে । তাদের মধ্যে অনেকেই এই পাঁচ মাসের স্ক্যান মিস করেছেন ।"

লকডাউনে মিস হয়েছে USG ?
লকডাউনে মিস হয়েছে USG ?

পাঁচ মাস এবং আট মাসের USG স্ক্যান কেন আবশ্যিক ?

চিকিৎসকের কথায়, "গর্ভস্থ সন্তানের হার্ট, ব্রেন, হাড়ে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না তা ওইসময় খুব ভালো বোঝা যায় । সেই স্ক্যান যদি মিস হয় তা হলে সন্তানের ক্ষেত্রে কিছু গঠনগত ত্রুটি থেকে হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায় ।" এই বিষয়টি কতটা আশঙ্কার? তিনি বলেন, "৫ থেকে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে গর্ভস্থ সন্তানের হাতের কোনও হাড় বা হার্টের কোনও প্রবলেম থেকে যেতে পারে । কিন্তু, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা হবে না । কিন্তু সন্তান জন্মানোর পর ৫ থেকে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে রিস্ক থেকে যায় । দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ USG স্ক্যান করা হয় ৮ মাসের মাথায় অর্থাৎ ৩২ সপ্তাহে । এই স্ক্যানে দেখা হয় গর্ভস্থ সন্তানের সঠিকভাবে বৃদ্ধি হয়েছে কি না । যাকে আমরা গ্রোথ রেস্ট্রিক্টেড শিশু বলি । ৮ মাসের মাথায় এই স্ক্যান করা হলে গর্ভস্থ সন্তানের গ্রোথের কোনও প্রবলেম রয়েছে কি না তা বোঝা যায় ।" বিষয়টি ব্যাখ্যা করে পৌষালী স্যান্যাল বলেন, "ধরুন এমন হয়েছে আট মাসের স্ক্যান করাতে যেতে পারেননি মা । তিনি হয়তো দুই মাস চেকআপ মিস করেছেন । ডেলিভারির পর দেখা গেল সদ্যোজাত সন্তানের আকার ছোটো । এই শিশুর শ্বাস নেওয়ার সমস্যা, জন্ডিস হতে পারে ।"

ত্রুটি ধরা পড়লে এর চিকিৎসা কী ?

চিকিৎসক বলেন, "যদি দেখা যায় গর্ভস্থ সন্তানের হার্টের প্রবলেম রয়েছে, তাহলে প্রেগন্যান্ট মাদারকে আমরা সংশ্লিষ্ট সেন্টারে পাঠাতে পারি ৷ যেখানে ট্রিটমেন্ট হতে পারে । অথবা, প্রিকওশন নিয়ে তেমন হাসপাতালে ডেলিভারি করানো হবে যেখানে কার্ডিয়োলজিস্ট রয়েছেন । যাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় ।

অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে কতগুলি USG স্ক‍্যান করানো হয় ?

প্রথমদিকে ডেটিং স্ক্যান করানো হয় । এরপরে দুই-তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা আসেন ৷ তখন স্ক্যান করে দেখে নেওয়া হয় যে ডেট মা বলছেন সেটার সঙ্গে গর্ভস্থ সন্তানের সাইজ মিলছে কি না । গর্ভস্থ সন্তানের কোনও জেনেটিক প্রবলেম রয়েছে কি না তাও দেখা হয় ৷ যেমন ডাউন সিনড্রোম ৷ ১১ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে এই স্ক্যান করানো হয় । এরপর ৫ মাসের মাথায় স্ক্যান করা হয় । পরবর্তী কালে অত্যাবশ্যকীয় স্ক্যান হচ্ছে ৩২ সপ্তাহের মাথায় গ্রোথ স্ক্যান । যেসব মহিলাদের ক্ষেত্রে কম্প্লিকেশনস থাকে যেমন ডায়াবেটিক মাদার বা টুইন প্রেগন‍্যান্সির ক্ষেত্রে প্রতিমাসে স্ক্যান করাতে হয় । পাঁচ মাসের পর থেকে ডেলিভারি পর্যন্ত প্রতি মাসে স্ক্যান করতে হয় । চিকিৎসক পৌষালি সান‍্যালের কথায়, "তবে, আবশ‍্যিক হচ্ছে ৫ মাস এবং ৮ মাসের স্ক্যান ৷ যেটা এই পরিস্থিতির মধ্যেও করতে হবে । অন্যগুলি আমরা বাদ দিতে পারি ।"

USG মিস করলে জন্মের পরে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে সন্তান ?

চিকিৎসক বলছেন, "দেখা গেছে নিয়মিত চেকআপে আসতে পারেনি এমন মহিলাদের সন্তান আকারে ছোটো হয়েছে ৷ আবার এমনও হয়েছে যে লকডাউনের মধ্যে বাড়ির উপার্জনকারীর কাজ না থাকায় ওষুধ কিনে খেতে পারেনি প্রেগন্যান্ট মা । সেক্ষেত্রে গর্ভস্থ সন্তানের গ্রোথের একটা সমস্যা থেকে যাবে । গ্রোথের সমস‍্যা নিয়ে জন্ম হলে সদ‍্যোজাতর শ্বাস নেওয়ার সমস্যা, জন্ডিস ও পরবর্তীকালে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থেকে যায় ৷ যেমন, অ্যাজমা, ডায়রিয়া বা পরবর্তীকালে ডায়াবেটিস । সতর্ক করে চিকিৎসক আরও বলেছেন, "গ্রোথ রেস্ট্রিক্টেড হয়েছে তা অন্তত পাঁচ বছর না গেলে বুঝতে পারব না ৷"

কলকাতা, 9 জুন: অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সময়টি আপৎকালীন । যেখানে অন্তত 2 বার USG স্ক‍্যান করাতেই হয় । অথচ এমন অনেক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা রয়েছেন যাঁরা লকডাউনের জেরে USG সেন্টারে পৌঁছাতেই পারেননি । এভাবে USG মিস করার জেরে ৫-১০ শতাংশ গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষেত্রে গঠনগত ত্রুটির আশঙ্কায় রয়েছেন চিকিৎসকরা । অনেক গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষেত্রে যথাযথ গ্রোথ না হওয়ার আশঙ্কাতেও রয়েছেন চিকিৎসকরা । এসবের জেরে সদ্যোজাতর হার্ট, শ্বাসকষ্টের সমস‍্যা থেকে শুরু করে পরবর্তীকালে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্য সমস্যাও হতে পারে । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা USG মিস করায় গর্ভস্থ সন্তানের শারীরিক এবং মানসিক ডেভেলপমেন্টে কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা বোঝা যাবে শিশুর জন্মের বছর পাঁচেক পরে ।

রাজ‍্যে আড়াই হাজারের মতো USG সেন্টার রয়েছে । কলকাতায় সংখ্যাটা ১,৩০০-র মতো । COVID-19-এর মোকাবিলায় আচমকা লকডাউন শুরু হওয়ায় কিছুদিনের জন্য ১০ শতাংশের মতো সেন্টার বন্ধ ছিল ৷ শুধু তাই নয় ৷ কোরোনা আতঙ্কের কারণে বাড়ি থেকে বের হতে চাননি অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা ৷ ফলে অনেকেই সময়ে USG করাতে পারেননি৷ এতে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষেত্রে কতটা সমস্যা হতে পারে?

বেসরকারি হাসপাতালের গাইনোকলোজিস্ট পৌষালি সান্যাল বলেন, "লকডাউন থাকুক বা না থাকুক, প্রেগন‍্যান্সি এমন একটি এমার্জেন্সি বিষয় যেখানে USG বন্ধ করা যায় না ।" বেসরকারি হাসপাতালের রেডিয়োলজিস্ট অভিনব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "COVID-19 নতুন অসুখ । প্রেগন্যান্সির উপর এটি কোনও প্রভাব ফেলে কি না, কতটা প্রভাব ফেলে, এ সব বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে । এখনও পর্যন্ত বোঝা গেছে, এই সময়ে অন্তঃসত্ত্বাদের ঝুঁকি বেশি বলে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি । তবে এইসময় USG খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সংক্রমণের আতঙ্ক রয়েছে ঠিকই । কিন্তু সব সময় রিস্ক এবং বেনিফিটের অনুপাত মাথায় রাখতে হবে । USG না করিয়ে ঘরে বসে থাকলে ক্ষতি হতে পারে ৷ তার থেকে সঠিক সুরক্ষা নিয়ে USG করিয়ে নেওয়াটাই ভালো ।"

আর যাই হোক পাঁচমাসের USG করানো খুবই প্রয়োজন ৷ না হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসক পৌষালি স্যান্যাল ৷ তাঁর কথায় , "প্রেগন্যান্সিতে দুটি USG স্ক্যান খুবই প্রয়োজন । পাঁচ মাসের সময় গর্ভস্থ সন্তানের কোনও গঠনগত ত্রুটি রয়েছে কি না দেখতে হয় । লকডাউনের শুরুতে কিছু কিছু অন্তঃসত্ত্বা মহিলা USG মিস করেছেন । পরবর্তী সময়ে সেন্টার খুলে গেলেও কোরোনার ভয়ে প্রায় এক-দেড় মাস বের হননি অনেকে । তাদের মধ্যে অনেকেই এই পাঁচ মাসের স্ক্যান মিস করেছেন ।"

লকডাউনে মিস হয়েছে USG ?
লকডাউনে মিস হয়েছে USG ?

পাঁচ মাস এবং আট মাসের USG স্ক্যান কেন আবশ্যিক ?

চিকিৎসকের কথায়, "গর্ভস্থ সন্তানের হার্ট, ব্রেন, হাড়ে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না তা ওইসময় খুব ভালো বোঝা যায় । সেই স্ক্যান যদি মিস হয় তা হলে সন্তানের ক্ষেত্রে কিছু গঠনগত ত্রুটি থেকে হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায় ।" এই বিষয়টি কতটা আশঙ্কার? তিনি বলেন, "৫ থেকে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে গর্ভস্থ সন্তানের হাতের কোনও হাড় বা হার্টের কোনও প্রবলেম থেকে যেতে পারে । কিন্তু, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা হবে না । কিন্তু সন্তান জন্মানোর পর ৫ থেকে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে রিস্ক থেকে যায় । দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ USG স্ক্যান করা হয় ৮ মাসের মাথায় অর্থাৎ ৩২ সপ্তাহে । এই স্ক্যানে দেখা হয় গর্ভস্থ সন্তানের সঠিকভাবে বৃদ্ধি হয়েছে কি না । যাকে আমরা গ্রোথ রেস্ট্রিক্টেড শিশু বলি । ৮ মাসের মাথায় এই স্ক্যান করা হলে গর্ভস্থ সন্তানের গ্রোথের কোনও প্রবলেম রয়েছে কি না তা বোঝা যায় ।" বিষয়টি ব্যাখ্যা করে পৌষালী স্যান্যাল বলেন, "ধরুন এমন হয়েছে আট মাসের স্ক্যান করাতে যেতে পারেননি মা । তিনি হয়তো দুই মাস চেকআপ মিস করেছেন । ডেলিভারির পর দেখা গেল সদ্যোজাত সন্তানের আকার ছোটো । এই শিশুর শ্বাস নেওয়ার সমস্যা, জন্ডিস হতে পারে ।"

ত্রুটি ধরা পড়লে এর চিকিৎসা কী ?

চিকিৎসক বলেন, "যদি দেখা যায় গর্ভস্থ সন্তানের হার্টের প্রবলেম রয়েছে, তাহলে প্রেগন্যান্ট মাদারকে আমরা সংশ্লিষ্ট সেন্টারে পাঠাতে পারি ৷ যেখানে ট্রিটমেন্ট হতে পারে । অথবা, প্রিকওশন নিয়ে তেমন হাসপাতালে ডেলিভারি করানো হবে যেখানে কার্ডিয়োলজিস্ট রয়েছেন । যাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় ।

অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে কতগুলি USG স্ক‍্যান করানো হয় ?

প্রথমদিকে ডেটিং স্ক্যান করানো হয় । এরপরে দুই-তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা আসেন ৷ তখন স্ক্যান করে দেখে নেওয়া হয় যে ডেট মা বলছেন সেটার সঙ্গে গর্ভস্থ সন্তানের সাইজ মিলছে কি না । গর্ভস্থ সন্তানের কোনও জেনেটিক প্রবলেম রয়েছে কি না তাও দেখা হয় ৷ যেমন ডাউন সিনড্রোম ৷ ১১ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে এই স্ক্যান করানো হয় । এরপর ৫ মাসের মাথায় স্ক্যান করা হয় । পরবর্তী কালে অত্যাবশ্যকীয় স্ক্যান হচ্ছে ৩২ সপ্তাহের মাথায় গ্রোথ স্ক্যান । যেসব মহিলাদের ক্ষেত্রে কম্প্লিকেশনস থাকে যেমন ডায়াবেটিক মাদার বা টুইন প্রেগন‍্যান্সির ক্ষেত্রে প্রতিমাসে স্ক্যান করাতে হয় । পাঁচ মাসের পর থেকে ডেলিভারি পর্যন্ত প্রতি মাসে স্ক্যান করতে হয় । চিকিৎসক পৌষালি সান‍্যালের কথায়, "তবে, আবশ‍্যিক হচ্ছে ৫ মাস এবং ৮ মাসের স্ক্যান ৷ যেটা এই পরিস্থিতির মধ্যেও করতে হবে । অন্যগুলি আমরা বাদ দিতে পারি ।"

USG মিস করলে জন্মের পরে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে সন্তান ?

চিকিৎসক বলছেন, "দেখা গেছে নিয়মিত চেকআপে আসতে পারেনি এমন মহিলাদের সন্তান আকারে ছোটো হয়েছে ৷ আবার এমনও হয়েছে যে লকডাউনের মধ্যে বাড়ির উপার্জনকারীর কাজ না থাকায় ওষুধ কিনে খেতে পারেনি প্রেগন্যান্ট মা । সেক্ষেত্রে গর্ভস্থ সন্তানের গ্রোথের একটা সমস্যা থেকে যাবে । গ্রোথের সমস‍্যা নিয়ে জন্ম হলে সদ‍্যোজাতর শ্বাস নেওয়ার সমস্যা, জন্ডিস ও পরবর্তীকালে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থেকে যায় ৷ যেমন, অ্যাজমা, ডায়রিয়া বা পরবর্তীকালে ডায়াবেটিস । সতর্ক করে চিকিৎসক আরও বলেছেন, "গ্রোথ রেস্ট্রিক্টেড হয়েছে তা অন্তত পাঁচ বছর না গেলে বুঝতে পারব না ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.