কলকাতা, 21 নভেম্বর : পোকার কামড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর ৷ ঠিক কোন পোকার কামড়ে এই মৃত্যু, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি চিকিৎসকরা ৷ আজ মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ৷ রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান চিকিৎসকরা ৷
মৃতের নাম সুদীপা নন্দী (30) ৷ হুগলির বৈদ্যবাটি এলাকার বাসিন্দা ৷ 13 নভেম্বর শৌচাগারে একটি পোকা সুদীপার বাম হাতের কবজির কিছুটা উপরে কামড়ায় ৷ শুরু হয় প্রচণ্ড যন্ত্রণা ৷ সঙ্গে সঙ্গে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে ৷ দু'দিন হাসপাতালে ভরতি থাকার পরও অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে SSKM-এ স্থানান্তরিত করা হয় ৷ SSKM-এ প্রথমে সুদীপাকে জেনেরাল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল ৷ অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে CCU-তে রাখা হয় ৷ জানা যায়, পোকার কামড়ে তাঁর হাত ফুলে উঠেছিল, আশপাশের কিছুটা অংশ নীল হয়ে যায় ৷ গতকাল সুদীপার মৃত্যু হয় ৷ আজ মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ৷
কোন ধরনের পোকা কামড়াতে পারে সুদীপাকে? এভাবে মৃত্যুর কারণই বা কী হতে পারে? এবিষয়ে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পয়জ়ন ইনফরমেশন সেন্টারের ইনচার্জ তথা চিকিৎসক সোমনাথ দাসের কাছে জানতে চাওয়া হয় ৷ তিনি বলেন, "এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কোনও পোকার নাম বলা মুশকিল ৷ এই ঘটনায় দু'টি সম্ভাবনা থাকতে পারে ৷ অনেক সময় কিছু পোকার কামড়ে অনেক মানুষের শরীরে সাধারণের তুলনায় বেশি প্রতিক্রিয়া হতে পারে ৷ মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ৷ আবার, পোকাটি যেখানে কামড়েছে, সেখানে কোনও সংক্রমণ থাকলে তা গোটা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে ৷" তিনি আরও বলেন, "এক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনা বিরল ৷ কোনও শিশুর মৃত্যু হল অথবা, অনেকগুলো মৌমাছি, পিঁপড়ের কামড়ে কারও মৃত্যু হল সেটা আলাদা বিষয় ৷ কিন্তু, এভাবে একটি মাত্র পোকার কামড়ে প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের মৃত্যু, এটা খুবই বিরল ৷"
সুদীপার পরিবারের সদস্যরা জানান, SSKM-এ CCU-র ইনচার্জও বলতে পারেননি কী কারণে মৃত্যু হল ৷ এবিষয়ে CCU-র ইনচার্জ তথা চিকিৎসক আশুতোষ ঘোষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ তবে বলেন, "এবিষয়ে MSVP যা বলার বলবেন ৷" হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (MSVP) রঘুনাথ মিশ্র বলেন, "পুরো বিষয়টি না জেনে এখনই বলা মুশকিল কী হয়েছিল ৷"