ETV Bharat / state

KMDA: পৌর প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সরকারি জমি দখল করে বাড়ি - কলকাতা মেট্রোপলিন ডেভলপমেন্ট অ্যাথরিটি

দক্ষিণ কলকাতার বাইপাস লাগোয়া সোনারপুর এলাকা ৷ এই এলাকাতেই অধিকাংশ জমি কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ৷ সেই জমিতেই গড়ে উঠেছে জনবসতি (Kolkata metropolitan development authority)৷ কংক্রিটের দেওয়াল তুলে টিনের শেড করে দেওয়া হয়েছে গাড়ির গ্যারেজ ভাড়াও ৷ সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই তৈরি হয়েছে একটি বিশেষ টিম ৷

KMDA
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Jan 20, 2023, 9:33 PM IST

কলকাতা, 20 জানুয়ারি: দক্ষিণ কলকাতার বাইপাসের ধার । সোনারপুর লাগোয়া বিরাট এলাকা । অধিকাংশ জমি কলকাতা মেট্রোপলিন ডেভলপমেন্ট অ্যাথরিটির (কেএমডিএ) অধীনে । আর সেখানেই একের পর এক জমি দখল করে মাথা তুলেছে বসতি (Houses and garages for rent on municipal land)। আবার বহুতল গড়ে ফ্ল্যাট ভাড়াও দেওয়া হচ্ছে । শুধু তাই নয় কংক্রিটের দেওয়াল তুলে টিনের শেড করে চলছে গাড়ির গ্যারেজ ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা ।

অন্যদিকে বসতি এলাকা হওয়ার কারণে পানীয় জল, নিকাশি থেকে শৌচালয় মানবিক কারণে সব পরিষেবা দিতে বাধ্য হচ্ছে কলকাতা কর্পোরেশন (Kolkata metropolitan development authority)। অথচ এই সকল জমি বাড়ি থেকে কোনও আয় হচ্ছে না কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের বা কলকাতা কর্পোরেশনের । ভাড়ার মোটা টাকা পকেটে ঢুকছে দখলদারদের একাংশের । এই চিত্র 107 নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে । আর এই অভিযোগ তুলে মাসিক অধিবেশনে সরব কাউন্সিলর লিপিকা মান্না ৷

সম্প্রতি কলকাতা কর্পোরেশনের মাসিক অধিবেশনে দক্ষিণ কলকাতার 107 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্না প্রশ্ন করেন, ওয়ার্ডে বেশিরভাগ অংশই কেএমডিএ-র খালি জমি ৷ তবে কোথাও কোথাও কোয়ার্টার আছে কর্পোরেশনের ৷ সেই খালি জমি দখল করে দীর্ঘদিন যাবৎ ছোট ছোট ঘর করে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে ৷ গাড়ির গ্যারেজ ভাড়া দেওয়া আছে । এইসমস্ত এলাকার বসবাসকারী বাসিন্দাদের কলকাতা কর্পোরেশনের জল, আলো, রাস্তা, শৌচালয় মত সমস্ত ধরনের পৌর পরিষেবা দেওয়া হয় । এইসমস্ত ফাঁকা জমিগুলির পরিসংখ্যান, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ও জমির হিসাব কলকাতা কর্পোরেশনের কাছে আছে কি না, তা কীভাবে জানা যাবে ? তাছাড়া এইসমস্ত বাড়িগুলির ভাড়া কারা এবং কীভাবে পায় ৷ আর এতে কি আমাদের কর্পোরেশনের আয়ের কোনও টাকা আসে ? এইসমস্ত কোয়ার্টার গুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কাদের ? এই সমস্ত প্রশ্ন তিনি তুলেছিলেন ৷

আরও পড়ুন : সেনার জমি দখল মামলায় বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের 12টি জায়গায় ইডি অভিযান

কাউন্সিলরের তোলা এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কেএমডিএ-এর চেয়ারম্যান ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ মেনে নিয়েছেন দখলদারি সমস্যাও ৷ এ প্রসঙ্গেই মেয়র বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি দখল চলছে । কেউ বাড়ি করেছে, কেউ ভাড়া দিয়েছে । দখলদারির ঘটনা বেশি বামফ্রন্ট আমলে শুরু হয়েছে ৷ তবে আমরা একটা টিম করেছি । টিম কেএমডিএ জমি চিহ্নিত করা শুরু করেছে । সেই জমিগুলো অ্যাসেসমেন্ট আওতায় আনা হচ্ছে । 107 নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু হবে এই চিহ্নিতকরণ ৷ অন্য ওয়ার্ড গুলোতেও হবে । মূল্যায়নের কাজ শেষ হলে দখলদার থাকবেন না ।"

কলকাতা, 20 জানুয়ারি: দক্ষিণ কলকাতার বাইপাসের ধার । সোনারপুর লাগোয়া বিরাট এলাকা । অধিকাংশ জমি কলকাতা মেট্রোপলিন ডেভলপমেন্ট অ্যাথরিটির (কেএমডিএ) অধীনে । আর সেখানেই একের পর এক জমি দখল করে মাথা তুলেছে বসতি (Houses and garages for rent on municipal land)। আবার বহুতল গড়ে ফ্ল্যাট ভাড়াও দেওয়া হচ্ছে । শুধু তাই নয় কংক্রিটের দেওয়াল তুলে টিনের শেড করে চলছে গাড়ির গ্যারেজ ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা ।

অন্যদিকে বসতি এলাকা হওয়ার কারণে পানীয় জল, নিকাশি থেকে শৌচালয় মানবিক কারণে সব পরিষেবা দিতে বাধ্য হচ্ছে কলকাতা কর্পোরেশন (Kolkata metropolitan development authority)। অথচ এই সকল জমি বাড়ি থেকে কোনও আয় হচ্ছে না কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের বা কলকাতা কর্পোরেশনের । ভাড়ার মোটা টাকা পকেটে ঢুকছে দখলদারদের একাংশের । এই চিত্র 107 নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে । আর এই অভিযোগ তুলে মাসিক অধিবেশনে সরব কাউন্সিলর লিপিকা মান্না ৷

সম্প্রতি কলকাতা কর্পোরেশনের মাসিক অধিবেশনে দক্ষিণ কলকাতার 107 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্না প্রশ্ন করেন, ওয়ার্ডে বেশিরভাগ অংশই কেএমডিএ-র খালি জমি ৷ তবে কোথাও কোথাও কোয়ার্টার আছে কর্পোরেশনের ৷ সেই খালি জমি দখল করে দীর্ঘদিন যাবৎ ছোট ছোট ঘর করে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে ৷ গাড়ির গ্যারেজ ভাড়া দেওয়া আছে । এইসমস্ত এলাকার বসবাসকারী বাসিন্দাদের কলকাতা কর্পোরেশনের জল, আলো, রাস্তা, শৌচালয় মত সমস্ত ধরনের পৌর পরিষেবা দেওয়া হয় । এইসমস্ত ফাঁকা জমিগুলির পরিসংখ্যান, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ও জমির হিসাব কলকাতা কর্পোরেশনের কাছে আছে কি না, তা কীভাবে জানা যাবে ? তাছাড়া এইসমস্ত বাড়িগুলির ভাড়া কারা এবং কীভাবে পায় ৷ আর এতে কি আমাদের কর্পোরেশনের আয়ের কোনও টাকা আসে ? এইসমস্ত কোয়ার্টার গুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কাদের ? এই সমস্ত প্রশ্ন তিনি তুলেছিলেন ৷

আরও পড়ুন : সেনার জমি দখল মামলায় বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের 12টি জায়গায় ইডি অভিযান

কাউন্সিলরের তোলা এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কেএমডিএ-এর চেয়ারম্যান ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ মেনে নিয়েছেন দখলদারি সমস্যাও ৷ এ প্রসঙ্গেই মেয়র বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি দখল চলছে । কেউ বাড়ি করেছে, কেউ ভাড়া দিয়েছে । দখলদারির ঘটনা বেশি বামফ্রন্ট আমলে শুরু হয়েছে ৷ তবে আমরা একটা টিম করেছি । টিম কেএমডিএ জমি চিহ্নিত করা শুরু করেছে । সেই জমিগুলো অ্যাসেসমেন্ট আওতায় আনা হচ্ছে । 107 নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু হবে এই চিহ্নিতকরণ ৷ অন্য ওয়ার্ড গুলোতেও হবে । মূল্যায়নের কাজ শেষ হলে দখলদার থাকবেন না ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.