কলকাতা, 22 জানুয়ারি: দু'দিনের সফর শেষ হল চে কন্যার (Che Guevara Daughter)। শনিবার সারাদিন কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বিকেলে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে আসেন চে তনয়া ডাঃ আলেইদা গেভারা (Dr.Aleida Guevara)। এআইপিএসও (AIPSO) এবং জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর সংগঠনের পক্ষ থেকে এদিন তাঁকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয় । বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি প্রথমেই দর্শকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন বাংলা না জানার জন্য । তারপর উপস্থিত দর্শকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,"কিউবার সমস্ত হাসপাতালে আমরা সবসময় মাস্ক পড়ে থাকি । সে কারণে এখানে এসেও আমি মাস্ক খুলিনি । আমার মনে হয় এখানকার হাসপাতালে আপনাদের আরও স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া উচিত । কিউবায় কিন্তু সাধারণ মানুষ অনেক স্বাস্থ্য সচেতন ।"
তবে যখন তিনি এই কথা বলছিলেন তখন তাঁর বিপরীতে বসে থাকা দর্শকবৃন্দদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরও বেশিজন মাস্ক ছাড়াই ছিলেন । এমনকি করোনার সময় ছাড়া বঙ্গবাসী কতটা মাস্ক পড়েছে সে নিয়েও সংশয় রয়েছে । করোনার সময়তেও বহু মানুষের মুখে মাস্কের সঠিক ব্যবহার দেখা যায়নি ।
কিউবার হাসপাতাল প্রসঙ্গে চে কন্যা বলেন, "আমাদের ওখানে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল নেই । পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সরকারের অধীনে ।" সারা বিশ্বকে যাতে আরও বেশি স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলা যায় তার জন্য সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন ডাঃ আলেইদা । এই বক্তব্যের মাধ্যমে এদিন তিনি জানান, কিউবার চিকিৎসায় নতুন গবেষণার কথা । কিউবায় বর্তমানে ক্যানসার থেকে শুরু করে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষ গবেষণা চলছে । চিকিৎসাক্ষেত্রে পারস্পরিক সাহায্য করার কথা বলেন তিনি । অ্যালোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথির পাশাপাশি আয়ুর্বেদ নিয়েও কাজ করেছেন কিউবার বিজ্ঞানীরা । সফল হলে যাতে সারা বিশ্বকে সাহায্য করা যায় সেই কথাও শোনা গেল এদিন চে তনয়ার মুখে ।
আরও পড়ুন : মানবিক মমতা ! প্রবীণদের জন্য পৃথক চিকিৎসার ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর