কলকাতা, 27 অগস্ট: রাজ্যজুড়ে একের পর এক ঘটে চলেছে বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণ ৷ এবছর 16 মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘা এখনও শুকোয়নি ৷ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল অন্ততপক্ষে 9 জনের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই পাঁচ দিনের মাথায়, 21 মে বজবজের একটি বাড়িতে বাজি বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। আর আজ, রবিবার সকালে দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণ! তাতে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন 6 জন বলেই খবর ৷ গত মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে গেল চারটি। প্রত্যেক ঘটনায় একটা বিষয় সাদৃশ্য, আর তা স্থানীয়দের ক্ষোভ ৷
প্রত্যেক দুর্ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভপ্রকাশের পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে অভিযোগ ৷ অভিযোগ, এই যে স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ বাজি তৈরির আড়ালে জায়গাগুলিতে চলত বোমা বানানোর মশলা ৷ নির্বিকার থেকেছে পুলিশ ৷ এগরা কাণ্ডের পর খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে রাজ্যজুড়ে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তারপর বেআইনি বাজি উদ্ধারে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও শুরু হয়েছিল। সে সময় দত্তপুকুরেও পুলিশি অভিযানে মেলে অন্তত 200 কুইন্টাল বাজি। অভিযোগ, ওই বিপুল পরিমাণ বাজি বেআইনিভাবে বাড়িতে মজুত রাখা হয়েছিল। এর পাশাপাশি দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ-ইছাপুর পঞ্চায়েত এলাকায় সে সময় পুলিশের তল্লাশি অভিযান চলে। সেখান থেকেও উদ্ধার হয়েছিল বেআইনি বাজি।
আরও পড়ুন: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, এদিক ওদিক ছিটকে দেহাংশ! মৃতের সংখ্যা ঘিরে সংশয়
- বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণ
- দত্তপুকুর বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ৷ রবিবার কেঁপে ওঠে মোচপোল এলাকা ৷ ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে 300 মিটার দূরে ছিটকে পড়ে দেহাংশ ৷ 3 কিমি দূরে বাড়ির কাঁচও ভেঙে পড়েছে ৷
- এগরা বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণ ৷ এবছর 16 মে কেঁপে ওঠে ৷ ওই বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ-সহ 9 জনের মৃত্যু হয়। বেআইনিভাবে ওই কারখানাটি গড়ে ওঠে।
- দক্ষিণ 24পরগনার বজবজেও একই ঘটনা ঘটেছিল ৷ বেআইনিভাবে মজুত করে রাখা বাজি ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে ৷ গত 22মে। একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যু হয়।
- এর একদিন পরই, গত 23 মে মালদার ইংরেজবাজারের একটি গুদামে কার্বাইড ও বাজি মজুত ছিল ৷ ওই গুদামে বাজি মজুতের লাইসেন্স থাকলেও কার্বাইড রাখার লাইনেন্স ছিল না ৷ সেখান থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে 2 জনের মৃত্যু হয় ৷
তবে একটা প্রশ্ন বারবার উঠে আসছে আর কত স্মৃতি 'দগদগে' হবে? কত মানুষ প্রাণ হারাবেন?