ETV Bharat / state

Birthday of Kolkata: সত্যিই জন্মদিন আছে কলকাতার, কী বলছে ইতিহাস ?

বহু পুরনো রচনায় কলকাতার উল্লেখ বলে দেয় শহরের বয়স হয়েছে অনেকটাই ৷ কিন্তু কোন নির্দিষ্ট দিনে কলকাতার জন্ম তা সঠিকভাবে বলা যায় না ৷ আদৌও কি কলকাতার জন্মদিন রয়েছে ?

Etv Bharat
হাওড়া ব্রিজ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 24, 2023, 9:40 AM IST

Updated : Aug 24, 2023, 10:25 AM IST

কলকাতা, 24 অগস্ট: কবিকঙ্কন মুকুন্দরামের 'চণ্ডীমঙ্গল'-এ 'কলিকাতার' উল্লেখ পাওয়া যায় । এছাড়া, ওলন্দাজ বণিক ফান ডেন ব্রুক-এর অঙ্কিত মানচিত্রেও উল্লেখ আছে আমাদের এই কলকাতার। 'পদ্মাবতী'র রচনাকাল আনুমানিক 1645-52 সাল। সেই গ্রন্থেও কলকাতা রয়েছে । এমনকী গুরুনানকের জীবনীতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে শহরের। আজ 24 অগস্ট । আর এই দিনটিকে কেন্দ্র করে শহরবাসীর উন্মাদনার অন্ত নেই। কিন্তু একটা শহরের জন্মদিন হিসেবে নির্দিষ্ট করে কোনও তারিখকে কি সত্যিই দাগিয়ে দেওয়া যায় ?

গভীরভাবে চিন্তা করলে সহজেই বোঝা যায়, কোনও শহরের ক্ষেত্রেই একটি নির্দিষ্ট দিনকে তার জন্মদিন হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না । কারণ, যে কোনও শহর গড়ে ওঠে তার সামাজিক পট পরিবর্তনের মাধ্যমে। এছাড়া সেই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের কৃষ্টির মাধ্যমে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে একটি শহর । এভাবে 'কলিকাতা' থেকে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে 'শহর কলকাতা' । আর এই গড়ে ওঠার পিছনে কোনও বহিরাগত বিদেশী শক্তির ভূমিকা নেই ।

শহর কলকাতার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হাজার হাজার বছরের সুপ্রাচীন ইতিহাস। সেই দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতা একদিনে বদলে ফেলা সম্ভব নয় । সেই কারণেই দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট 2003 সালের 16 মার্চ তারিখে জানিয়ে দেয় , কলকাতার কোনও জন্ম তারিখ নেই। নেই কোনও প্রতিষ্ঠাতাও। হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতির রায়ে সুস্পষ্টভাবে উঠে আসে কয়েকটি বিষয়। দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু ইতিহাসবিদ কলকাতার জন্মতারিখ হিসেবে 1690 খ্রিস্টাব্দের 24 অগস্ট তারিখটির কথা বলে আসছেন। আদালত জানায়, এমন দাবির মোটেই কোনও সত্যতা নেই।

আরও পড়ুন : ডিসেম্বরেই হুগলি নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো চালু করতে বদ্ধপরিকর কর্তৃপক্ষ, নিয়মিতভাবে চলছে মহড়া

এখন প্রশ্ন হতেই পারে, এই 'কলকাতা' নামের উৎপত্তি হল কবে ? এই ব্যাপারে ইটিভি ভারতের তরফে যোগাযোগ করা হয় আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক শুভদীপ রায়চৌধুরীর সঙ্গে । তাঁর দাবি, আইন-ই-আকবরি'র রাজস্ব আদায়ের খতিয়ানে 'কলিকাতা' নামের উল্লেখ আছে। আবার 1495 সালে বিপ্রদাস পিপলাইয়ের 'মনসামঙ্গল' কাব্যে এবং কবিকঙ্কন মুকুন্দরামের 'চণ্ডীমঙ্গল'-এ কলিকাতার উল্লেখ পাওয়া যায় । এছাড়া, ওলন্দাজ বণিক ফান ডেন ব্রুক-এর অঙ্কিত মানচিত্রেও কলকাতার উল্লেখ আছে। 'পদ্মাবতী'র রচনাকাল আনুমানিক 1645-52 সাল- সেই গ্রন্থেও কলকাতা রয়েছে । এমনকী গুরুনানকের জীবনীতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে , 1510 সালে কালীক্ষেত্র দর্শন করতে এসে নানক কলকাতায় বসবাস করেছেন।

তাছাড়াও 24 অগস্ট কলকাতার জন্মদিন- এই তথ্য ভ্রান্ত বলে উল্লেখ করেন ইতিহাসবিদ রাধারমণ রায় । 1991 সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা বই 'কলকাতা বিচিত্রা'। সেই বইটিতেই তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেন, 24 অগস্ট 1690 তারিখটি কলকাতার জন্মদিন নয়। আর জব চার্নকও কলকাতার জন্মদাতা নন।

পাশাপাশি, 1608 সাল থেকে কলকাতা-সহ আরও বেশ কিছু পরগনার জমিদার ছিলেন সাবর্ণ চৌধুরীদের বংশধররা । জমিদার লক্ষ্মীকান্ত রায় চৌধুরী কলকাতায় নব সমাজপত্তন থেকে শুরু করে, কুসংস্কার প্রথা রদ করা, দ্বিতল পাকা বাড়ি নির্মাণ, আধুনিক রাস্তা নির্মাণ এমনকী বিজ্ঞানসম্মতভাবে সুতানুটিকে ব্যবসাকেন্দ্র রূপে গড়ে তুলতে শুরু করেন। তাই কলকাতার ইতিহাস যে হাজার হাজার বছরের প্রাচীন তা বলতে কোনও দ্বিধা নেই ।

আরও পড়ুন : রেয়াত না করেই প্রাক্তন পুলিশকর্তা থেকে তৃণমূল কর্মীর 'বেআইনি' বাড়ি ভাঙল কর্পোরেশন

তিনি আরও বলেন, "কলকাতার জনক হিসাবে জব চার্নককে মান্যতা দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট । কারণ 1690-এর 24 অগস্টের আগে আরও দু'বার চার্নক এসেছেন সুতানুটিতে। আবার চলেও গিয়েছেন অন্যত্র। প্রথম আসেন 1686 সালের ডিসেম্বর মাসে। এরপর 1687 সালের নভেম্বর মাসেও এখানে তিনি এসেছিলেন বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু এই তৃতীয়বার এসে পাকাপাকিভাবে এখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ।

তার আগে 1686 সালের 28 অক্টোবর একটি যুদ্ধ হয়েছিল হুগলির বাজারে। সেই যুদ্ধ চলাকালীন জব চার্নকের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন নবাব। তাই তিনি পালিয়েই এসেছিলেন সুতানুটিতে। তাছাড়া চার্নক যেখানে আস্তানা গড়েছিলেন সেটা ছিল সুতানুটি, কলকাতা নয়। কলকাতায় কোনওদিনই জব চার্নক আসেননি।

তিনি তৃতীয়বার কলকাতায় আসেন গুপ্তরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর। সে সময় তাঁর অবস্থাও ছিল বেশ শোচনীয়। সঙ্গে থাকা প্রায় 200 লোক জ্বর ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন বলে কথিত আছে। তার উপর তিনিও আক্রান্ত হন। শেষ বয়সটা সুতানুটিতে কাটান। সেখানেই তাঁর জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল। তাই সেই সময় তাঁর কলকাতায় আসার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।

শুধু তাই নয়, ভারতে তিনি কবে প্রথম পা রেখেছিলেন তাও সঠিকভাবে জানা যায় না । পাটনা কুঠিরের অধ্যক্ষ থাকাকালীন তাঁর বয়স ঠিক কত ছিল, সে সম্পর্কেও কিছু তথ্য নেই । তাঁর সঠিক জন্মতারিখ কোথাও রেকর্ড করা নেই । তাই জব চার্নকের জন্ম সাল নিয়েও বিতর্কের অন্ত নেই। জানা যায় যে, জবের দাদা স্টিফেনের জন্ম 1628 সালে । অনেকে অনুমান করেন যে স্টিফেনের চেয়ে জব বছর তিনেকের ছোট ছিলেন। সেই অনুযায়ী জবের জন্ম 1631 সালের আশেপাশে। সেই হিসেব ধরলে 1664 সালে তাঁর বয়স দাঁড়ায় তেত্রিশ৷"

আরও পড়ুন : ইতিহাস গড়ে গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটল রেক, মেট্রো রেলপথে জুড়ে গেল এপার-ওপার

কলকাতা, 24 অগস্ট: কবিকঙ্কন মুকুন্দরামের 'চণ্ডীমঙ্গল'-এ 'কলিকাতার' উল্লেখ পাওয়া যায় । এছাড়া, ওলন্দাজ বণিক ফান ডেন ব্রুক-এর অঙ্কিত মানচিত্রেও উল্লেখ আছে আমাদের এই কলকাতার। 'পদ্মাবতী'র রচনাকাল আনুমানিক 1645-52 সাল। সেই গ্রন্থেও কলকাতা রয়েছে । এমনকী গুরুনানকের জীবনীতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে শহরের। আজ 24 অগস্ট । আর এই দিনটিকে কেন্দ্র করে শহরবাসীর উন্মাদনার অন্ত নেই। কিন্তু একটা শহরের জন্মদিন হিসেবে নির্দিষ্ট করে কোনও তারিখকে কি সত্যিই দাগিয়ে দেওয়া যায় ?

গভীরভাবে চিন্তা করলে সহজেই বোঝা যায়, কোনও শহরের ক্ষেত্রেই একটি নির্দিষ্ট দিনকে তার জন্মদিন হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না । কারণ, যে কোনও শহর গড়ে ওঠে তার সামাজিক পট পরিবর্তনের মাধ্যমে। এছাড়া সেই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের কৃষ্টির মাধ্যমে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে একটি শহর । এভাবে 'কলিকাতা' থেকে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে 'শহর কলকাতা' । আর এই গড়ে ওঠার পিছনে কোনও বহিরাগত বিদেশী শক্তির ভূমিকা নেই ।

শহর কলকাতার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হাজার হাজার বছরের সুপ্রাচীন ইতিহাস। সেই দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতা একদিনে বদলে ফেলা সম্ভব নয় । সেই কারণেই দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট 2003 সালের 16 মার্চ তারিখে জানিয়ে দেয় , কলকাতার কোনও জন্ম তারিখ নেই। নেই কোনও প্রতিষ্ঠাতাও। হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতির রায়ে সুস্পষ্টভাবে উঠে আসে কয়েকটি বিষয়। দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু ইতিহাসবিদ কলকাতার জন্মতারিখ হিসেবে 1690 খ্রিস্টাব্দের 24 অগস্ট তারিখটির কথা বলে আসছেন। আদালত জানায়, এমন দাবির মোটেই কোনও সত্যতা নেই।

আরও পড়ুন : ডিসেম্বরেই হুগলি নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো চালু করতে বদ্ধপরিকর কর্তৃপক্ষ, নিয়মিতভাবে চলছে মহড়া

এখন প্রশ্ন হতেই পারে, এই 'কলকাতা' নামের উৎপত্তি হল কবে ? এই ব্যাপারে ইটিভি ভারতের তরফে যোগাযোগ করা হয় আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক শুভদীপ রায়চৌধুরীর সঙ্গে । তাঁর দাবি, আইন-ই-আকবরি'র রাজস্ব আদায়ের খতিয়ানে 'কলিকাতা' নামের উল্লেখ আছে। আবার 1495 সালে বিপ্রদাস পিপলাইয়ের 'মনসামঙ্গল' কাব্যে এবং কবিকঙ্কন মুকুন্দরামের 'চণ্ডীমঙ্গল'-এ কলিকাতার উল্লেখ পাওয়া যায় । এছাড়া, ওলন্দাজ বণিক ফান ডেন ব্রুক-এর অঙ্কিত মানচিত্রেও কলকাতার উল্লেখ আছে। 'পদ্মাবতী'র রচনাকাল আনুমানিক 1645-52 সাল- সেই গ্রন্থেও কলকাতা রয়েছে । এমনকী গুরুনানকের জীবনীতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে , 1510 সালে কালীক্ষেত্র দর্শন করতে এসে নানক কলকাতায় বসবাস করেছেন।

তাছাড়াও 24 অগস্ট কলকাতার জন্মদিন- এই তথ্য ভ্রান্ত বলে উল্লেখ করেন ইতিহাসবিদ রাধারমণ রায় । 1991 সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা বই 'কলকাতা বিচিত্রা'। সেই বইটিতেই তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেন, 24 অগস্ট 1690 তারিখটি কলকাতার জন্মদিন নয়। আর জব চার্নকও কলকাতার জন্মদাতা নন।

পাশাপাশি, 1608 সাল থেকে কলকাতা-সহ আরও বেশ কিছু পরগনার জমিদার ছিলেন সাবর্ণ চৌধুরীদের বংশধররা । জমিদার লক্ষ্মীকান্ত রায় চৌধুরী কলকাতায় নব সমাজপত্তন থেকে শুরু করে, কুসংস্কার প্রথা রদ করা, দ্বিতল পাকা বাড়ি নির্মাণ, আধুনিক রাস্তা নির্মাণ এমনকী বিজ্ঞানসম্মতভাবে সুতানুটিকে ব্যবসাকেন্দ্র রূপে গড়ে তুলতে শুরু করেন। তাই কলকাতার ইতিহাস যে হাজার হাজার বছরের প্রাচীন তা বলতে কোনও দ্বিধা নেই ।

আরও পড়ুন : রেয়াত না করেই প্রাক্তন পুলিশকর্তা থেকে তৃণমূল কর্মীর 'বেআইনি' বাড়ি ভাঙল কর্পোরেশন

তিনি আরও বলেন, "কলকাতার জনক হিসাবে জব চার্নককে মান্যতা দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট । কারণ 1690-এর 24 অগস্টের আগে আরও দু'বার চার্নক এসেছেন সুতানুটিতে। আবার চলেও গিয়েছেন অন্যত্র। প্রথম আসেন 1686 সালের ডিসেম্বর মাসে। এরপর 1687 সালের নভেম্বর মাসেও এখানে তিনি এসেছিলেন বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু এই তৃতীয়বার এসে পাকাপাকিভাবে এখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ।

তার আগে 1686 সালের 28 অক্টোবর একটি যুদ্ধ হয়েছিল হুগলির বাজারে। সেই যুদ্ধ চলাকালীন জব চার্নকের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন নবাব। তাই তিনি পালিয়েই এসেছিলেন সুতানুটিতে। তাছাড়া চার্নক যেখানে আস্তানা গড়েছিলেন সেটা ছিল সুতানুটি, কলকাতা নয়। কলকাতায় কোনওদিনই জব চার্নক আসেননি।

তিনি তৃতীয়বার কলকাতায় আসেন গুপ্তরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর। সে সময় তাঁর অবস্থাও ছিল বেশ শোচনীয়। সঙ্গে থাকা প্রায় 200 লোক জ্বর ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন বলে কথিত আছে। তার উপর তিনিও আক্রান্ত হন। শেষ বয়সটা সুতানুটিতে কাটান। সেখানেই তাঁর জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল। তাই সেই সময় তাঁর কলকাতায় আসার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।

শুধু তাই নয়, ভারতে তিনি কবে প্রথম পা রেখেছিলেন তাও সঠিকভাবে জানা যায় না । পাটনা কুঠিরের অধ্যক্ষ থাকাকালীন তাঁর বয়স ঠিক কত ছিল, সে সম্পর্কেও কিছু তথ্য নেই । তাঁর সঠিক জন্মতারিখ কোথাও রেকর্ড করা নেই । তাই জব চার্নকের জন্ম সাল নিয়েও বিতর্কের অন্ত নেই। জানা যায় যে, জবের দাদা স্টিফেনের জন্ম 1628 সালে । অনেকে অনুমান করেন যে স্টিফেনের চেয়ে জব বছর তিনেকের ছোট ছিলেন। সেই অনুযায়ী জবের জন্ম 1631 সালের আশেপাশে। সেই হিসেব ধরলে 1664 সালে তাঁর বয়স দাঁড়ায় তেত্রিশ৷"

আরও পড়ুন : ইতিহাস গড়ে গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটল রেক, মেট্রো রেলপথে জুড়ে গেল এপার-ওপার

Last Updated : Aug 24, 2023, 10:25 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.