কলকাতা, 27 ডিসেম্বর: শীত পড়তেই রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে করোনার দাপট। মঙ্গলবার নতুন করে 5 জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা বাইপাসের ধারে দু’টি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের শরীরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জে এন1 আছে কিনা তা জানতে জিনোম সিকোয়েন্সের পরীক্ষা করা হয়। তাতে কিছু ধরা পড়েনি । আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে ৷
বছরের শেষ সপ্তাহে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়েও নবান্নে একাধিক বৈঠক হয়েছে ৷ তবে এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। এই প্রসঙ্গেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, বর্তমানে করোনা সম্পর্কিত কোনও নির্দেশিকা জারি করার প্রয়োজন নেই । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । তবে নজরদারি চলছে যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে না যায়। সমস্ত বিষয়টিতে নজর রাখছে স্বাস্থ্যদফতর ৷
পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসার প্রতিও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে ৷ কোনওরকম সমস্যা হলেওই যাতে দ্রুত ব্যবস্থ নেওয়া যায় তার জন্য বিশেষ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ৷ রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের একটি বিশেষ টিম হাসপাতালগুলিতেও পরিদর্শন করছে। স্বাস্থ্য সচিবের নির্দেশেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য কতটা প্রস্তুত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
এই সূত্র ধরে কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিকাঠামোর উপর নজর দেওয়া হবে ৷ হাসপাতালগুলিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম, অক্সিজেনের জোগান বা টেস্টিং-সহ সমস্ত ব্যবস্থা ঠিক রয়েছে কি না তা যাচাই করে দেখা হবে। এই সমস্ত পরিদর্শনের কাজ করবে রাজ্য় স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ টিম ৷
কয়েকদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে 4 জন কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৷ তবে তাঁরা করোনা জে.এন 1 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না তা জানতে নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছিল ৷ তাতেও কিছু পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ দ্রুত ছড়ানো নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৷ তবে আশার কথা ভ্যারিয়েন্টে প্রাণহানীর সম্ভাবনা কম বলে দাবি করে হয়েছে হু-এর পক্ষ থেকে ৷