কলকাতা, 15 মার্চ: আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট ৷ 4 মার্চ কৌস্তভ বাগচীর ব্যারাকপুরের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে বটতলা থানার পুলিশ ৷ পরে অবশ্য তিনি জামিন পেয়ে যান ৷ বুধবার আদালত নির্দেশে জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও থানা এ নিয়ে কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না ৷ আগামী চার সপ্তাহ সময় পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে (HC orders protection for lawyer Koustav Bagchi) ৷
বটতলা থানার অতি সক্রিয়তা নিয়ে ওসিকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজা শেখার মান্থা । পুলিশকে ভর্ৎসনার সুরে বিচারপতি বলেন, "বটতলা পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধান করা উচিত ছিল ৷ এমন কিছু তথ্য প্রমাণ নেই যা থেকে এর গুরুত্ব বোঝা যায় ৷ কোনও নোটিশ না পাঠিয়ে নাগরিকের অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছে পুলিশ ৷ আদালত জানতে আগ্রহী, কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে পুলিশ তাঁর বাড়ি গিয়েছিল ৷ আর সারারাত থেকে পরের দিন গ্রেফতার করল তাঁকে ৷ যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধী ৷ থানার এই ভূমিকা নিয়ে অনুসন্ধান দরকার ৷ কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে খতিয়ে দেখতে হবে কীসের ভিত্তিতে থানা এই ঘটনা ঘটালো ৷ কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখতে হবে ৷ তারপরে তাঁকে আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে ৷"
পুলিশের এই অতি সক্রিয়তা নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন সিপি ৷ এই ঘটনায় আদালত প্রাথমিক ভাবে হুমকির আশঙ্কা আছে বলে মনে করছে ৷ কৌস্তভ বাগচীর নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী রাখার কথা ভাবছে আদালত ৷ আগামী সোমবার সিআরপিএফকে জানাতে হবে, তারা আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতার নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না ৷ এর মধ্যে কৌস্তভের বাড়িতে ব্যারাকপুর পুলিশকে অন্তত পাঁচ জন পুলিশ পাঠাতে হবে ৷ তার সঙ্গে সশস্ত্র কনস্টেবল দিতে থাকবে ৷ সিপি ব্যারাকপুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
আরও পড়ুন: 'মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ভয় পেয়েছেন', দাবি ধৃত কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর