কলকাতা, 22 অগস্ট: প্রাক্তন ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়ের নাতি ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে পরিচারিকাকে নিগ্রহে শ্যামপুকুর থানার পুলিশের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট । সোমবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । তারপরে আজ মঙ্গলবার ফের নতুন করে রিপোর্ট জমা করে পুলিশ । কিন্তু তাতেও তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই, মনে করছে আদালত ।
তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, 11 অগস্ট মারধরে আহত পরিচারিকার মেডিক্যাল রিপোর্ট আরজিকর থেকে সংগ্রহ করেছে পুলিশ । তারপরে পরিচারিকার মেয়েকে বলছে ফের মেডিক্যাল রিপোর্ট আনতে । পরিচারিকাকে বলা হয়েছে, মারধর যে করা হয়েছে তার প্রমাণে সিসিটিভি ফুটেজ জমা দিতে । এখনও অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি । বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার বাইরে কোনও ডিসির নজরদারিতে তদন্ত চলবে । কেস ডাইরি ও তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট আগামী শুনানিতে দিতে হবে পুলিশকে । 12 সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে ।
গতকাল সোমবার শুনানি বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, "একজনকে লোহার রড দিয়ে মাথায় মারলো । তাতে এত লঘু ধারা প্রয়োগ করে পুলিশ জিনিসটার গুরুত্ব কমাতে চাইছে ?"
আরও পড়ুন : প্রাক্তন ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়ের বাড়িতে পরিচারিকা নিগ্রহ, ডিসি’র নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি বলেন, "পুলিশ যা বলছে সেটা সবসময় শেষ কথা বলে ধরে নেবেন না । পিছনে অনেক কিছু চলে । মাথায় লোহার রড দিয়ে মারা হল অথচ 307 ধারা পর্যন্ত দেওয়া হল না ! তারপরেও পুলিশ যা বলবে সেটাই শুনতে হবে ? অদ্ভুত! আগের দিন নির্দেশ দেওয়ার পরেও সেই ধারা না দিয়ে পালটা যুক্তি দেওয়া হচ্ছে ৷ অথচ এই কোর্টের সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করা হল না ৷ কোথা থেকে এই সব অফিসারকে ধরে এনেছেন ?"
গত 14 অগস্ট ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়ের বাড়িতে পরিচারিকা নিগ্রহের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে । মামলাকারীর অভিযোগ পঙ্কজ রায়ের নাতি ও পুত্রবধূর মারধরে ওই পরিচারিকার মুখ বিকৃত হয়ে গিয়েছে ৷ শ্যামপুকুর থানায় ওই পরিচারিকা মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ করেন মিতা রায় ও পুষ্কর রায়ের বিরুদ্ধে । অভিযুক্ত দু'জন কুমারটুলি পার্কে প্রাক্তন ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়ের নাতি ও পুত্রবধূ । ওই বাড়িতেই পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি । অভিযোগ, এতটাই মারধর করা হয় যে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় ।
আরও পড়ুন : বিশ্ব বিখ্যাত 'আলো আঁধারী'র লেখিকা, পরিচারিকা বেবির জীবনের আঁধার আজও ঘুচল না !
