কলকাতা, 28 জুন: হাতে আর মাত্র দু'দিন । চাকরি জীবনের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বীবেদির । রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁর চাকরি জীবনের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবিতে চিঠি দেওয়া হলেও বুধবার দুপুর পর্যন্ত তা নিয়ে কোনও জবাব দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার ।
মুখ্যসচিবের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে অনিশ্চয়তা: ফলে আগামী দিনে তাঁর থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে একটা অনিশ্চয়তা । যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার সময় যে শেষ হয়ে গিয়েছে এমন নয় । আজ অথবা কাল কেন্দ্রের তরফ থেকে মুখ্যসচিবের কর্মজীবনের মেয়াদ বৃদ্ধির চিঠি আসতেই পারে । রাজ্য আশাবাদী আজকের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার মুখ্যসচিবের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির চিঠি নবান্নতে পাঠিয়ে দেবে ।
সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাজ্য: তবে কেন্দ্র যদি বর্তমান মুখ্যসচিবকে এক্সটেনশন না দেয়, তার জন্য প্রস্তুত থাকছে রাজ্য । সে ক্ষেত্রে যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, 1989 ব্যাচের আইএএস, বর্তমান স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকাকেই পরবর্তী মুখ্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে । তবে স্বরাষ্ট্রসচিবের জন্য কার নাম বিবেচিত হবে, তা নিয়ে দুটি নামের উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে । যতদূর জানা যাচ্ছে, সিনিয়রিটির বিচারে বিপি গোপালিকার পরেই রয়েছেন বিবেক কুমার (1990 ব্যাচের আইএএস) । অতিরিক্ত মুখ্যসচিব হিসেবে বর্তমানে তিনি বনদফতর এবং প্রাণিসম্পদ দফতর এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন । এ ক্ষেত্রে বিবেক কুমারেরই স্বরাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।
আরও পড়ুন: ঈদের মুখে অপ্রিয় ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও প্রশাসনকে সতর্ক করল নবান্ন, বৈঠকে মুখ্যসচিব
কে হবেন স্বরাষ্ট্রসচিব: তবে নবান্নের অন্য একটি সূত্র থেকে বর্তমান অর্থসচিব মনোজ পন্থের নামকেও স্বরাষ্ট্রসচিবের পদে বিবেচনা করা হতে পারে বলে খবর । এমনটাও শোনা যাচ্ছে, যদি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বর্তমান মুখ্যসচিবকে নতুন করে আর এক্সটেনশন না দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে তাঁকে অর্থ দফতরের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করা হতে পারে । সে ক্ষেত্রে মনোজ পন্থকেও (1991 ব্যাচের আইএএস) স্বরাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ।
নবান্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, যদি মনোজ পন্থ স্বরাষ্ট্রসচিব হন, সেক্ষেত্রে ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের সচিব স্মারকি মহাপাত্রকে (2002 ব্যাচের আইএএস) অর্থ দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে । যদিও সবটাই সম্ভবনার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে । কর্মজীবনের মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জবাব সাধারণত অবসরের দশ দিন আগেই চলে আসে । যেহেতু এখনও পর্যন্ত সেই চিঠি নবান্নে এসে পৌঁছয়নি, তাই এখন থেকেই বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে ।
