ETV Bharat / state

ভিসি ছাড়া সমাবর্তন কীভাবে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রারের রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

Governor seek report from JU registrar: ভিসি ছাড়া কীভাবে বিশ্ববিদ্য়ালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল ৷ যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 4, 2024, 9:56 PM IST

Etv Bharat
Etv Bharat

কলকাতা, 4 জানুয়ারি: 'উপাচার্য ছাড়া সমাবর্তন কীভাবে?' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। এই রিপোর্ট তলবের সম্ভাবনার কথা গত 25 ডিসেম্বর অর্থাৎ সমাবর্তন অনুঠানের পরের দিনই লিখেছিল ইটিভি ভারত। সপ্তাহ ঘুরতেই সেই সম্ভাবনার খবর বাস্তবে রূপ পেল। বৃহস্পতিবার রাজভবন সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যে রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে চিঠি পাঠিয়েছেন। যে বিষয়ে রেজিস্টার মুখ না খুললেও তিনি রাজ্যপালকে উত্তর দিতে কার্যত রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতর শীর্ষ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছে। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বিষায়ক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, "যাদবপুরের বিষয়ে আমরা শীর্ষ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি। রায়ের পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"

গত 24 ডিসেম্বরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। আমন্ত্রিদের তালিকায় অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার মামিডালা, আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমনকী রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও অনুপস্থিত ছিলেন সেই সমাবর্তনে। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল দ্বারা অপসারিত অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ সার্টিফিকেট পড়ুয়াদের হাতে তুলে না দিলেও অনুষ্ঠানের সূচনা তাঁর হাত দিয়েই হয়। সেই সামগ্রিক বিষয়টা নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। যে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।

উলেখ্য, এই রিপোর্ট তলবের আগে গত 25 ডিসেম্বর সোমবার রাজভবনে বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ রাজ্যপালের আইন পরামর্শদাতা এবং তার সচিবকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। মূলত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, তার আর্থিক খরচ, অপসারণ করার পরও কীভাবে বুদ্ধদেব সাউ সমাবর্তন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এবং সামগ্রিক বিষয়টা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের থেকে জানতে চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। তারপরেই এদিন রাজ্যপালের রিপোর্ট তলব করেন বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন

  1. যাথযথ নিরাপত্তা ছাড়া বলাগড়ে গেলে খুন হতে পারি, আশঙ্কা বিধায়ক মনোরঞ্জনের
  2. সাড়ে আট লক্ষ গাড়ির 2600 কোটি টাকা জরিমানা মুকুব, মানতে হবে এই শর্ত
  3. চিনের সংবাদপত্রে মোদি সরকারের বিদেশ ও অর্থনীতির প্রশংসা করে প্রতিবেদন প্রকাশ

কলকাতা, 4 জানুয়ারি: 'উপাচার্য ছাড়া সমাবর্তন কীভাবে?' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। এই রিপোর্ট তলবের সম্ভাবনার কথা গত 25 ডিসেম্বর অর্থাৎ সমাবর্তন অনুঠানের পরের দিনই লিখেছিল ইটিভি ভারত। সপ্তাহ ঘুরতেই সেই সম্ভাবনার খবর বাস্তবে রূপ পেল। বৃহস্পতিবার রাজভবন সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যে রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে চিঠি পাঠিয়েছেন। যে বিষয়ে রেজিস্টার মুখ না খুললেও তিনি রাজ্যপালকে উত্তর দিতে কার্যত রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতর শীর্ষ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছে। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বিষায়ক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, "যাদবপুরের বিষয়ে আমরা শীর্ষ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি। রায়ের পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"

গত 24 ডিসেম্বরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। আমন্ত্রিদের তালিকায় অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার মামিডালা, আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমনকী রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও অনুপস্থিত ছিলেন সেই সমাবর্তনে। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল দ্বারা অপসারিত অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ সার্টিফিকেট পড়ুয়াদের হাতে তুলে না দিলেও অনুষ্ঠানের সূচনা তাঁর হাত দিয়েই হয়। সেই সামগ্রিক বিষয়টা নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। যে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।

উলেখ্য, এই রিপোর্ট তলবের আগে গত 25 ডিসেম্বর সোমবার রাজভবনে বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ রাজ্যপালের আইন পরামর্শদাতা এবং তার সচিবকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। মূলত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, তার আর্থিক খরচ, অপসারণ করার পরও কীভাবে বুদ্ধদেব সাউ সমাবর্তন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এবং সামগ্রিক বিষয়টা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের থেকে জানতে চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। তারপরেই এদিন রাজ্যপালের রিপোর্ট তলব করেন বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন

  1. যাথযথ নিরাপত্তা ছাড়া বলাগড়ে গেলে খুন হতে পারি, আশঙ্কা বিধায়ক মনোরঞ্জনের
  2. সাড়ে আট লক্ষ গাড়ির 2600 কোটি টাকা জরিমানা মুকুব, মানতে হবে এই শর্ত
  3. চিনের সংবাদপত্রে মোদি সরকারের বিদেশ ও অর্থনীতির প্রশংসা করে প্রতিবেদন প্রকাশ
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.