ETV Bharat / state

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপালকে বয়কটের ডাক  SFI-এর - Sfi

বয়কট কর্মসূচি নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের SFI-এর লোকাল কমিটির সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন, "বয়কট কর্মসূচি বলতে আমরা সার্টিফিকেট নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারোর হাত থেকে নেব । কিন্তু, জগদীপ ধনকড়ের কাছ থেকে নেব না । প্রাথমিকভাবে এটাই আমরা আলোচনা করেছি । এছাড়া, কালোব্যাজ ও কালো পতাকা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ জানাব ।"

image
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
author img

By

Published : Dec 19, 2019, 8:23 AM IST

কলকাতা, 19 ডিসেম্বর : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান । 24 ডিসেম্বর অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করা হয়েছে । উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । কিন্তু ওই দিন রাজ্যপালকে বয়কটের ডাক দিল SFI-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা । অভিযোগ,রাজ্যপাল BJP, RSS এর দালালের ভূমিকা পালন করছেন । তাঁরা সমাবর্তন অনুষ্ঠানের দিন কালোব্যাজ পরে, কালো পতাকা দেখিয়ে NRC, NPR, CAAএর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।

এপ্রসঙ্গে SFI-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় লোকাল কমিটির সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন , "জগদীপ ধনকড়ের রাজ্যপাল হিসাবে যে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকার কথা ছিল, উনি সেটা না রেখে প্রকাশ্যে লাগাতার নানাভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন । কেন্দ্রীয় সরকারের যে দর্শন সেটাকেই প্রচার করছেন । তারই বিরোধিতা জানিয়েই আমাদের এই বয়কটের আহ্বান । আমরা শুধু SFI থেকে ডাক দিলেও কিন্তু আমরা চাইব সবাই এটাতে অংশগ্রহণ করুক । আমাদের আশা আছে, এর আগেও যাদবপুরের পড়ুয়ারা এক হয়ে দেখিয়েছে, এক্ষেত্রেও জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে সবাই এক হয়ে দেখাবে । জগদীপ ধনকড় আসলে একটা নাম । আসলে যাদের হয়ে আসছে BJP, RSS তাঁদের বিরুদ্ধেই আমাদের এই লড়াইটা । তাই ওদেরকে একটা বার্তা দেওয়ার জন্য আমরা জগদীপ ধনকড়কে বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছি । গণতান্ত্রিক পথেই আমরা এই বিরোধিতা জানাব । বয়কট কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, "বয়কট কর্মসূচি বলতে আমরা সার্টিফিকেট নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারোর হাত থেকে নেব । কিন্তু, জগদীপ ধনকড়ের কাছ থেকে নেব না । প্রাথমিকভাবে এটাই আমরা আলোচনা করেছি । এছাড়া, কালোব্যাজ ও কালো পতাকা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ জানাব ।"

উল্লেখ্য,আগেও রাজ্যপাল বয়কটের ঘটনা ঘটেছে । 2014 সালের 24 ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে উপস্থিত ছিল রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী । সেসময় তাঁর হাত থেকে শংসাপত্র ও মেডেল নেননি কলাবিভাগের শ্রেষ্ঠ স্নাতক গীতশ্রী সরকার । তিনি মঞ্চে উঠে হাতজোড় করে জানিয়েছিলেন, তিনি ওই শংসাপত্র ও মেডেল নেবেন না । তবে, সেবার সরাসরি রাজ্যপালকে বয়কট করেননি যাদবপুরের পড়ুয়ারা । তাঁরা ক্যাম্পাসে পুলিশি তাণ্ডবের জন্য তৎকালীন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানাতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বয়কট করেন । সেবার সমাবর্তন বয়কট করেছিলেন অধ্যাপক মহলও । বলা যেতে পারে আংশিকভাবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বছরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ।

কলকাতা, 19 ডিসেম্বর : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান । 24 ডিসেম্বর অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করা হয়েছে । উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । কিন্তু ওই দিন রাজ্যপালকে বয়কটের ডাক দিল SFI-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা । অভিযোগ,রাজ্যপাল BJP, RSS এর দালালের ভূমিকা পালন করছেন । তাঁরা সমাবর্তন অনুষ্ঠানের দিন কালোব্যাজ পরে, কালো পতাকা দেখিয়ে NRC, NPR, CAAএর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।

এপ্রসঙ্গে SFI-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় লোকাল কমিটির সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন , "জগদীপ ধনকড়ের রাজ্যপাল হিসাবে যে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকার কথা ছিল, উনি সেটা না রেখে প্রকাশ্যে লাগাতার নানাভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন । কেন্দ্রীয় সরকারের যে দর্শন সেটাকেই প্রচার করছেন । তারই বিরোধিতা জানিয়েই আমাদের এই বয়কটের আহ্বান । আমরা শুধু SFI থেকে ডাক দিলেও কিন্তু আমরা চাইব সবাই এটাতে অংশগ্রহণ করুক । আমাদের আশা আছে, এর আগেও যাদবপুরের পড়ুয়ারা এক হয়ে দেখিয়েছে, এক্ষেত্রেও জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে সবাই এক হয়ে দেখাবে । জগদীপ ধনকড় আসলে একটা নাম । আসলে যাদের হয়ে আসছে BJP, RSS তাঁদের বিরুদ্ধেই আমাদের এই লড়াইটা । তাই ওদেরকে একটা বার্তা দেওয়ার জন্য আমরা জগদীপ ধনকড়কে বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছি । গণতান্ত্রিক পথেই আমরা এই বিরোধিতা জানাব । বয়কট কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, "বয়কট কর্মসূচি বলতে আমরা সার্টিফিকেট নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারোর হাত থেকে নেব । কিন্তু, জগদীপ ধনকড়ের কাছ থেকে নেব না । প্রাথমিকভাবে এটাই আমরা আলোচনা করেছি । এছাড়া, কালোব্যাজ ও কালো পতাকা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ জানাব ।"

উল্লেখ্য,আগেও রাজ্যপাল বয়কটের ঘটনা ঘটেছে । 2014 সালের 24 ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে উপস্থিত ছিল রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী । সেসময় তাঁর হাত থেকে শংসাপত্র ও মেডেল নেননি কলাবিভাগের শ্রেষ্ঠ স্নাতক গীতশ্রী সরকার । তিনি মঞ্চে উঠে হাতজোড় করে জানিয়েছিলেন, তিনি ওই শংসাপত্র ও মেডেল নেবেন না । তবে, সেবার সরাসরি রাজ্যপালকে বয়কট করেননি যাদবপুরের পড়ুয়ারা । তাঁরা ক্যাম্পাসে পুলিশি তাণ্ডবের জন্য তৎকালীন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানাতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বয়কট করেন । সেবার সমাবর্তন বয়কট করেছিলেন অধ্যাপক মহলও । বলা যেতে পারে আংশিকভাবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বছরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ।

Intro:কলকাতা, ১৮ ডিসেম্বর: আগামী ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সমাবর্তনে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনকড়ের। তিনি BJP, RSS-এর দালালের ভূমিকা পালন করছেন। এই অভিযোগে সমাবর্তনে রাজ্যপালকে বয়কট করার ডাক দিল SFI-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ওইদিন তাঁরা কালোব্যাজ পড়ে, মানববন্ধন করে, কালো পতাকা দেখিয়ে NRC, NPR, CAA-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।Body:রাজ্যপালকে বয়কট করার বিষয়ে SFI-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় লোকাল কমিটির সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন, "জগদীপ ধনকড়, রাজ্যপাল, তাঁর যে 'নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি' থাকার কথা ছিল, উনি সেটা না রেখে প্রকাশ্যে লাগাতার নানাভাবে অ্যাটেনশন সিক করতে চাইছেন। লাগাতারভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের যে দর্শন, যে ভাবনা সেটাকেই বকলমে প্রচার করছেন। সেটার বিরোধিতা জানিয়েই আমাদের এই বয়কটের আহ্বান। আমরা শুধু SFI থেকে ডাক দিচ্ছি বটে, কিন্তু আমরা চাইব সবাই এটাতে অংশগ্রহণ করুক। আমাদের আশা আছে, এর আগেও যাদবপুরের পড়ুয়ারা এক হয়ে দেখিয়েছে, এক্ষেত্রেও জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে সবাই এক হয়ে দেখাবে। জগদীপ ধনকড় আসলে একটা নাম। আসলে যাদের হয়ে আসছে বিজেপি, RSS তাঁদের বিরুদ্ধেই আমাদের এই লড়াইটা। তাই ওদেরকে একটা বার্তা দেওয়ার জন্য আমরা জগদীপ ধনকড়কে বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছি। গণতান্ত্রিক পথেই আমরা এই বিরোধিতা জানাব।"

কী করে বয়কট করা হবে? দেবরাজ দেবনাথ বলেন, "বয়কট কর্মসুচি বলতে আমরা সার্টিফিকেট নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারোর হাত থেকে নেব। কিন্তু, জগদীপ ধনকড়ের মতো লোকের কাছ থেকে নেব না। প্রাথমিকভাবে এটাই আমরা আলোচনা করেছি। এছাড়া, কালোব্যাজ হোক, কালো পতাকা হোক নিয়ে আমরা প্রতিবাদ জানাব।"

SFI-এর তরফ থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পড়ুয়াকে বয়কটে সামিল হওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন। সেখানে উপস্থিত থাকবার কথা আমাদের 'অভিভাবক'(!) আচার্য ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। তাঁর বিভিন্ন কার্যক্রমে গত কয়েকমাসে এটা স্পষ্ট যে তিনি BJP, RSS-এর দালালি করে ফ্যাসিবাদের একনিষ্ঠ প্রচারকের ভূমিকাই পালন করে আসছেন লাগাতার। সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে আমাদের আহ্বান যে, একসাথে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দাঙ্গাবাজির সমর্থক এই জগদীপ ধনকড়কে বয়কট করি। কালো পতাকা ও কালোব্যাজ পরে আমরা আওয়াজ তুলব CAA, NRC, NPR-এর বিরুদ্ধে। এর সমর্থক সমস্ত ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে। আওয়াজ তুলব দেশজুড়ে চলা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। জগদীপ ধনকড়দের বিরুদ্ধে।

নজিরবিহীন মনে হলেও সমাবর্তনে রাজ্যপালকে বয়কট করার ঘটনা নজিরবিহীন নয়। এর আগে ২০১৪ সালে ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাত থেকে শংসাপত্র ও মেডেল নেননি সেই বছর কলা শাখার শ্রেষ্ঠ স্নাতক গীতশ্রী সরকার। তিনি মঞ্চে উঠে হাতজোড় করে জানিয়েছিলেন, তিনি ওই শংসাপত্র ও মেডেল নেবেন না। তবে, সেবার সরাসরি রাজ্যপালকে বয়কট করেননি যাদবপুরের পড়ুয়ারা। তাঁরা ক্যাম্পাসে পুলিশি তাণ্ডবের জন্য তৎকালীন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানাতে তিনি উপস্থিতি থাকায় সমাবর্তন অনুষ্ঠান বয়কট করেন। সেবার সমাবর্তন বয়কট করেছিলেন অধ্যাপক মহলও। বলা যেতে পারে আংশিকভাবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বছরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে।
Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.